প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: বরিশালের মুলাদী উপজেলার একটি নদী থেকে প্রয়াত অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের ছেলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ছেলের নাম এ টি এম খালেকুজ্জামান কুশল (৪৬)। সোমবার দুপুরে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নাসিরহাট এলাকায় জয়ন্তী নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে মুলাদী থানায় নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠাবে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘অর্ধগলিত লাশটি ভাসতে দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয়। সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। ধারণা করা হচ্ছে চার থেকে পাঁচ দিন লাশ নদীতে ভাসছিল। এ কারণে লাশে পচন ধরেছে।’
ওসি জানান, লাশের সঙ্গে পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। সেখানে ঢাকার সূত্রাপুর থানার দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনের ৪৬ নম্বর বাসার ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। পিতার নাম এ টি এম শামসুজ্জামান লেখা রয়েছে। পরে সূত্রাপুর থানায় যোগাযোগ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে লাশটি অভিনেতা শামসুজ্জামানের ছেলের।’
পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, এ টি এম খালেকুজ্জামান কোনো কাজ করতেন না এবং পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তেমন কোনো যোগাযোগ ছিল না তার। গত ২৪ অক্টোবর সকালে খুলনায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন খালেকুজ্জামান। এরপর তার মা কিংবা পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
মরদেহের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন না থাকায় মৃত্যুর বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ এবং তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি মো. মাহাবুবুর রহমান।
এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানার ওসি মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘মুলাদী থানার ওসি বিষয়টি জানানোর পর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। খবর পাওয়ার পর তার পরিবারের সদস্যরা মুলাদীতে রওনা হয়েছেন।’
২০১২ সালের ১৩ মার্চ খালেকুজ্জামান কুশলের হতে খুন হন এ টি এম শামসুজ্জামানের আরেক ছেলে কবির। এ ঘটনায় অভিনেতার করা মামলায় ২০১৪ সালে কুশলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।তবে তিনি কবে জামিন পান সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। শুধু জানা গেছে কুশল আগে থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ৩০ অক্টোবর ২০২৩ /এমএম