প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::
ময়নুল ইসলাম
তুমি জলের শরীরে-
হেলান দেয়া ভাসমান পদ্ম পাতা;
তুমি নোলক পরা গাঁয়ের বধূ, তুমি-
রংতুলিতে আঁকা সুশ্রী নকশি কাঁথা!
তুমি চেনা তুমি অচেনা-অর্বাচীন, তুমি-
ইমারতে মাটি খুঁড়ে পাওয়া ফসিল;
তুমি কৃষ্ণের প্রেমে কাতর রাঁধা, তুমি-
অনন্ত-অনাবিল এক আনন্দ মঞ্জিল!
তুমি সতেজ অরণ্যের-
আড়ালে ফোটা টগবগে লাল গোলাপ;
তুমি পবিত্র-সুশান্ত-অস্থির, তুমি-
বিরহী মনে লুক্কায়িত অব্যক্ত প্রেমের প্রলাপ!
তুমি এলোকেশের আড়ালে থাকা-
কুমারীর রেশমী কাঁধ;
তুমি উচ্ছৃঙ্খল-উদ্ভ্রান্ত, তুমি-
ক্লান্ত পথিকের নিদ্রা আনা সেই সুদীর্ঘ রাত!
তুমি তন্দ্রা তুমি নিদ্রা তুমি দুঃস্বপ্নের-
ঘোর কাটানো নিরাশার মাঝে আশা;
তুমি সুচতুর-সুফল-কুফল, তুমি-
অসুর-অনাস্থার এক মহা সর্বনাশা!
তুমি উদ্ভট-কণ্টক-মহা আতঙ্ক, তুমি-
তুফান-মেঘ তুমি ঝুম ধারার বৃষ্টি;
তুমি সুবাস-সুরময় শান্তি তুমি মৌমাছির-
মুখের লালা তুমি এক বিস্ময়কর মহাসৃষ্টি!
তুমি সংশয় করো নিমিষেই মন জয়, তুমি-
নির্ভয়-দুর্জয়-মৃন্ময়-তুমি উৎপল;
তুমি খেচর-উর্বর-উশর, তুমি-
বর্ণচোরা-ধূসর-বিস্বাদ-অশান্ত উচ্ছৃঙ্খল!
তুমি সুন্দর-সুস্থ-তুমি অস্থির, তাই-
সর্বদা খুঁজো উৎপাতের অনুষঙ্গ;
তুমি তোমার খুশিতে ঝুলো রশিতে-
করো ধর্মের অনুশাসন ভঙ্গ!
তুমি দুর্বার-চঞ্চলা সুশ্রী, তুমি-
জলকেলিতে মগ্ন শান্তির পায়রা;
তুমি অপরিণামদর্শী-অবিবেচক, তুমি-
অনাচার-অবহেলা-অনিষ্ট সর্বকুলহারা!
তুমি দিঘীর জলে ভাসমান সাদা হংস, তুমি-
স্নিগ্ধ- সরস- অশথ্বের সু-শীতল ছায়া;
তুমি সুস্মিতা-অনিন্দ্য-অমায়িক চীরসহিষ্ণু, তুমি-
বিরহীর আরোহী, বিদগ্ধ হৃদয়ে মাতৃমায়া!
তুমি মহাকাল, তুমি মহাজন, তুমি রাজমাতা, তাই-
টেকেনা কোনো যুক্তি;
তুমি গণিত, গণিতের মহাসূত্র;
তাই শত মুশকিলে মিলে শুধু তোমাতেই মহামুক্তি!