Menu

নীলুফা আলমগীরের কবিতা

আমার গাঁয়ের কাদামাটি ধূলো
নীলুফা আলমগীর

হয়তো আলিঙ্গন করে দেখা হয়নি কখনো
তোমার মহামারী অথবা কালবৈশাখী ঝড়
শুধু দেখেছি তোমার বালুচর, সরিষার ক্ষেত
রসে ভরা বাতাবী লেবু আর সুস্বাদু আখের নির্যাস।

নদী পাড়ে বেড়ে উঠা বট আর বাবলার সারি
রোদেলা দুপুর, আমের মুকুল, ফুরফুরে বাতাস
নিবিড় মমতায় গায়ে মাখা সন্ধ্যার সুর্যাস্ত
পূর্ণিমার সফেদ আলোয় প্লাবিত নিভাঁজ রাত।

সবুজ খোলা প্রান্তর, বৃষ্টির রিমঝিম গান
খরের পালায় বন্ধুর সাথে লুকোচুরি খেলা
রাতজাগা আতস পাখির ডানা ঝাপটানো
নিকষিত প্রকৃতি, প্রজাপতির মধু আহরণ।

মাঘের কনকনে শীতের কুয়াশা নিমজ্জিত ভোরে
খড়কুটো জ্বালা অগ্নি কুন্ডের উত্তাপ গায়ে নিয়ে
টাটকা রুটির পোড়া অংশ খুটে খুটে তোলা
ভাঁপ ওঠা গরম ভাত, সবুজ ঘাসের সোনালী শিষ।

বুনো ফুলের ভেসে আসা ঘ্রাণ, জলে ভাসা শাপলা
বাঁশ পাতার মচমচ, গভীর রাতে শিয়ালের হাঁক
সেই সে পুরনো দিন, ফেলে আসা পুরনো স্মৃতি
ভাবনায় জলোচ্ছ্বাস আনে, কুঁড়ে কুঁড়ে খায়;

হয়তো আবার একদিন হেঁটে যাব
মটরের ক্ষেত অথবা সরিষার আল ধরে
আমার গাঁয়ের আঁকা বাঁকা মেঠো পথে ধরে
গায়ে নিয়ে পৃথিবীর সব আলো, কাদামাটি, ধূলো।