Menu

খসরু মামার জিনের ভয়

বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: আমার মামার নাম খসরুল। আমাদের একটা মাত্র মামা। আমি আর কিমি আপু ডাকি খসরু মামা। মা-ও এই নামে ডাকে। বাবা ডাকে খুসরু। নানা ডাকে খইসরু আর নানি সঠিক নামটাই ডাকে, খসরুল।

আমাদের নানার গোষ্ঠীর সবাই মোটামুটি হাসিখুশি। তবে খসরু মামা একটু ব্যতিক্রম। ব্যতিক্রম মানুষের গল্পও থাকে একটু বেশি। তাই এই গল্পের অবতারণা।

গল্পটা জিনপরীদের। খসরু মামার জিনভীতি প্রবল। জিনের কথা শুনলেই তিনি ভয়ে সিঁধিয়ে যান। ছয় হাত লম্বা আর সত্তর কেজি ওজনের খসরু মামাকে সরাসরি দেখলে কিন্তু তার জিনভীতির কথা বিশ্বাসই হবে না, মনে হবে চওড়া বুকটার ভিতরে ডাকাবুকো সাহসে ভরা।

বাস্তবে খসরু মামার বুকটা বড্ড ফাঁকা। অল্পতেই ভয় পেয়ে যান। গভীর রাতে খসরু মামা ভয়ে একা একা কাঁদেন। এরকম পরিস্থিতিতে সাধারণত তাবিজ ব্যবহার করা হয়। তবে ভয়াবহ ব্যাপারটি হচ্ছে, নানাদের গোষ্ঠীতে সবচেয়ে ঘৃণার বস্তু হলো তাবিজ। ওই পরিবারে তাবিজ কবজ সম্পূর্ন নিষিদ্ধ।

পরিবারের সবাই মোটামুটি তাবিজ অপছন্দ করে। এ অপছন্দের পেছনে নানাজানের চোখ রাঙানির ভয়টাও সবার মধ্যে কাজ করে। তবে খসরু মামা তাবিজের পক্ষে। প্রকাশ্যে না, গোপনে। খসরু মামার লজিক, তাবিজ কবজ মানবদেহের জন্য এতোটাই জরুরি যেমন মাছের জন্য পানি জরুরি।

খসরু মামার তাবিজের পক্ষে থাকার ব্যাপারটা আমি আর কিমি আপু ছাড়া কেউ জানে না। খসরু মামা আমাদের দুইবোনকে অনেক ভালোবাসেন। ভালোবাসার মানুষদেরক গোপন কথা বলা যায়। আর তাই আমরা তার তাবিজপ্রীতির কথা জানি। এটা অবশ্য নানাজান জানলে এলাহি কাণ্ড বাধাবেন আর নানীজান জানলে কেঁদেকেটে সারা। মা জানলে অবশ্য অঘটন হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তবে বাবা জানলে কিছু একটা তো হবেই।

আব্বু নানাজানকে নিয়ে কথায় কথায় আম্মুর সাথে ঠাট্টা করেন। ঠাট্টা কখনো সিরিয়াজ ঝগড়ার দিকেও মোড় নেয়। ঝগড়া শেষে বাবা হাসেন আর মা কাঁদেন। আমরা দুই বোন দূর থেকে শুধু দেখি, কারো পক্ষ নিতে পারি না। কারণ আমরা দুইবোন আব্বু আম্মু দুইজনকেই ভীষণ রকমের ভালোবাসি।

নানাবাড়ি এসেছি আজ চারদিন। রাতের উঠোন জুড়ে জোছনা। আমরা উঠোনে বসে সবাই গল্প করি। আমি, কিমি আপু, আব্বু আম্মু, নানীজান, ছোট খালামণি আর কাজের ছেলে শাহীন। ছোট খালামণিকে আম্মু রিকোয়েস্ট করে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে এসেছে।

আম্মু মজলিশি মানুষ, আড্ডা দিতে পছন্দ করেন এই কারণে খালামণিকে নিয়ে আসা। এই আসা বাবদ খালামণি একটা এমাউন্ট পাবে। তা না হলে খালামণি আসতো না। বিনিময় ছাড়া আজকাল কেউ কাজ করে না। এই কারণে সেদিন দুষ্ট কিমিটা আমাকে বলছে, ওর যদি বিয়ে হয়ে যায় তাহলে আম্মু যদি ওকে খালামণির মতো এমাউন্টের অফার না দেয় তাহলে সে আসবে না, হা হা হা।

আমরা উঠোনে বসে গল্প করছি। করে খসরু মামা আমাদের মজলিশে এসে বসলেন। তিনি আড্ডা দেয়ার মানুষ না। উনাকে দেখে সবাই একটু চমকে গেল। তবে আমি আর কিমি আপু চমকালাম না।

আব্বু বলল, কি ব্যাপার খুসরু, ঘুমাবে না? যাও যাও ঘুমাও গিয়ে।

আম্মু বলল, এ্যাই, কি শুরু করেছ তুমি? প্রত্যেকদিনই তো খসরু ঘুমায়। আজকে না হয় আমাদের সাথে একটু আড্ডা দিক।

আব্বুকে ক্ষেপাতে আম্মু আরো যোগ করলেন, কিমির বাবা, আমার ভাইয়ের নামটা খসরু, খুসরু না। মানুষকে সম্মান দিতে শিখো।

আব্বু পায়ের মশা মারছিলেন। আম্মুর উপদেশটা ঠিকমতো কানে পড়ল না। খসরু মামা আমাদের পাশের চেয়ারটায় বসলেন। মুখটা ফ্যাকাশে। ভয় পেয়ে দৌড়ে এসেছেন বোধহয়। কিমি আপু খসরু মামার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে জিগ্যেস করল, মামা! মুখটা ফ্যাকাশে কেন? ভয় পেয়েছ নাকি?
খসরু মামা সহজ সরল ভাষার মানুষ, ভিতরে প্যাচগোঁজ নেই। মাথা নেড়ে বললেন, হ ভয় পাইলাম কিছুক্ষণ আগে।

কিছু দেখে ভয় পেয়েছো?

হ।

কি দেখছ, বলো তো?

একটা সাদা দুধের মতো ধবধবে মেয়ে। চুলগুলো সোনালি রঙের। শরীরে মিষ্টি গন্ধ। বিছানায় শুয়ে পড়েছি অমনি কাছে এসে আমাকে ধরতে চেয়েছিল। তখনই দৌড়ে চলে আসলাম। এই দ্যাখ, আমার বুকটা কাঁপছে।

কিমি আপু খসরু মামার বুক ধরে দেখল, সত্যি বুক ভীষণ জোরে উঠানামা করছে। আমিও মামার বুক স্পর্শ করলাম। অবস্থা বেগতিক। একটা সমাধান হওয়ার দরকার। কিন্তু সমাধানটা করবে কে? সবাই যার যার মতো ব্যস্ত। কাউকে যে বলব তারও কোনো ব্যবস্থা নেই।

এ বাড়ির সবাই রাগী। রাগী মানুষরা কারো কোনো সমস্যার কথাই শুনতে চায় না। সমস্যা বয়ে বেড়ানো মানুষগুলোকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে পারলেই রাগী মানুষগুলো বাঁচে।

রাত সাড়ে বারোটায় মজলিশ শেষ হলো। সবাই উঠে গেছে। শুধু খসরু মামা একা বসে আছে। কিমি আপু বলল, ঘুমাবে না মামা?

খসরু মামা ভয়ার্ত গলায় বলল, ও যদি আবার আসে? আমাকে যদি আবার জড়িয়ে ধরতে চায়?

কিমি আপু ভালো অভয় দিতে পারে। হাত নেড়ে বলল, আরে, ও আর আসবে না।

তুমি লাইট জ্বেলে ঘুমাবে। আর তোমার পাশের রুমে আমরা দুইজন ঘুমাব। দরজা খোলা রাখবে। ও আসলেই তুমি আমাদের ডাক দিবে, ঠিক আছে?

আর আগামীকাল সকালে তোমাকে একটা তাবিজ এনে দিব, খুশি তো?

খসরু মামা হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়ল। পুরো বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে গেছে। শুধু আমি আর কিমি আপু জেগে। খসরু মামাও ঘুমিয়ে গেছে, রুমের লাইটটা জ্বলছে। মামার চেহারাটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। চোখের নীচে কালি পড়েছে। চুলগুলো কেমন আউলানো। গভীর রাতে বেচারা খসরু মামার জন্য আমাদের দুইবোনের বিরাট মায়া লাগল।

পরেরদিন আম্মুকে সব খুলে বললাম। বলার আগে আম্মুর কাছ থেকে কসম আদায় করে নিতে হলো। এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আম্মুকে বুঝাতে সক্ষম হলাম যে, সিচুয়েশন অনুযায়ী খসরু মামার জন্য এই মুহুর্তে একটা তাবিজ লাগবেই লাগবে। তবে এর জন্য গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে। নানাজান কস্মিনকালেও জানবে না।

সেদিন সন্ধ্যায় একজন মাওলানা কবিরাজের কাছে খসরু মামাকে নিয়ে যাওয়া হলো। দুয়া কালাম পড়ে মাওলানা সাহেব খসরু মামার শরীরে ফুঁ দিলেন। ওষুধ হিসেবে অলটাইম সুরায়ে নাস পড়ার জন্য বলে দিলেন আর ছোট্ট একটা তাবিজ দিলেন। আর প্রেসক্রিপশন হিসেবে বললেন, খসরু মামাকে অতিসত্বর বিয়ে করিয়ে দিতে। বিয়ে ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব না। দিন যত যাবে তত বিষয়টা আরো জটিল হয়ে যাবে। শেষে বিয়ে শাদীতেও কাজ হবে না।

প্রেসক্রিপশন শুনে আম্মুর মাথা নষ্ট। পরেরদিন থেকেই খসরু মামার জন্য পাত্রী দেখা শুরু। নানাজানের বাড়ি ছিলাম দেড় সপ্তাহ। এরমধ্যেই আমাদের তিনটা পাত্রী দেখা হয়ে গেলো।

প্রথম পাত্রী খুবই সুন্দর। মনে হলো, দুধে আলতা মেশানো। তবে খসরু মামার পছন্দ হলো না। কিমি আপুকে কানে কানে বললেন, মেয়েটাকে কেমন কেমন চেনা লাগছে। কোথায় যেন এরে দেখছি।

কি বলছ এসব?

হুম, আমার ভয় লাগছে রে কিমি। সেদিন যে মেয়েটা আমাকে স্পর্শ করতে চেয়েছিলো সেই মেয়েটার মতো লাগছে।

কি বলছো তুমি, সেই মেয়েটার চুল না সোনালী কালারের? এই মেয়ের চুলগুলো তো কুচকুচে কালো। ভয়ের কি আছে মামা? মেয়েটার কাছে যাও, ঘুটিয়ে ঘুটিয়ে দেখো।

খসরু মামা মেয়েটার মুখোমুখি হয়ে প্রথমেই সূরা নাস জিগ্যেস করলেন। দুই লাইনের সুরা তারপরেও মেয়েটা তিন তিনটা ভুল করলো। এরপর খসরু মামা মেয়ের ঘোমটা খুলে চুল হাতিয়ে দেখলেন। সর্বশেষে জ্বীন শনাক্ত করার পদ্ধতি ব্যবহার করার জন্য মেয়ের বাম হাতটা এগিয়ে দিতে বললেন । মেয়ের কনূই আঙুলের নখের চারির উপর খসরু মামা বুড়ো আঙুল দিয়ে চাপ দিলেন।

যদি মেয়েটা এই ব্যাথা সহ্য করতে পারে তাহলে বোঝা যাবে শরীরে জ্বীন নেই আর যদি মেয়েটা ব্যাথায় উহ আহ করে তাহলে বুঝতে হবে শরীরে জ্বীন আছে। অবশ্য আমরা দুইবোন জ্বীন শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় খসরু মামার সাথে একমত নই। মেয়েটা উরে মা উরে মা করে চিৎকার করল। অর্থাৎ শরীরে জ্বীন আছে। ব্যস, বিয়েটা আর হলো না। আমরা বাধা দিলাম না, কারণ খসরু মামা সন্দেহমুক্ত হয়ে যেনো একটা মেয়েকে বিবাহ করে সুখী হতে পারে সেটাই মনেপ্রাণে চাচ্ছিলাম। মা অবশ্য বাধ সাধলেন। কিন্তু আমাদের দুইবোনের যুক্তির কাছে আম্মুকে চুপ করে যেতে হলো।

দ্বিতীয় মেয়েটার ক্ষেত্রেও একই কাণ্ড হলো। তবে এখানের ব্যাপারটা ছিলো একটু ভয়াবহ। সুন্দরী, রুপসী মেয়েটার কনুই খসরু মামার আঙুলের চাপ খেয়ে পুরো বাড়ি মাথায় তুলে নিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলল।

আঙুলে চাপ দেয়ার তো একটা সীমা আছে, তাই না? সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন খসরু মামা। সুতরাং এটাও হলো না। কারণ খসরু মামার অমত আছে। আর মেয়েটার অমতের তো কথাই নেই। দাজ্জাল বলে মেয়েটা গালিও দিয়ে ফেলেছে।

তৃতীয় মেয়েটাকে দেখার ক্ষেত্রে একটু নাটকীয়তা হলো। হয়েই যাচ্ছিল কিন্তু রবীন্দ্রনাথের উক্তি আছে না, শেষ হইয়াও হইলনা শেষ।

একটা নাটকেই যেন রোল করছিলাম আমরা। নাটকটার নাম দেয়া যায় লজিক। একটা লজিকই বারবার আমাদের সব আশা শেষ করে দিচ্ছিল। পাত্রী দেখার ক্ষেত্রে খসরু মামার লজিক হলো, অতি রুপবতী মেয়েদের অধিকাংশের শরীরেই জ্বীনের দোষ থাকে। সুতরাং সুন্দরী দেখলেই পাগলের মতো ঝাঁপ দিতে নেই। ঝাঁপ দিলেই আজীবন পস্তাতে হবে। বউয়ের হাতে কারণে অকারণে গভীর রাতে চড় থাপ্পড় খেতে হবে। পরবর্তী প্রজন্ম জ্বীনের খপ্পরে শেষ হয়ে যাবে। দেখা যাবে দিনে দুপুরে নাতি পুতিরা আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে। কল্পনা করা যায়? কথায় কথায় ঝগড়া হবে, সংসারে স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া হলো পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ জিনিস। সুতরাং প্রত্যেকটা মেয়ে দেখার ক্ষেত্রে মামার মাথায় এই লজিকটা কাজ করে।

খসরু মামার জন্য মেয়ে দেখাদেখির একমাসের মাথায় আমি আর কিমি আপু স্কলারশিপ নিয়ে আমেরিকায় চলে আসলাম। এয়ারপোর্টে আমাদের দুইবোনকে জড়িয়ে ধরে খসরু মামা এমন হাউমাউ কাঁদা কাঁদলো তাতে করে আমাদের বিমানযাত্রা বিষাদে আচ্ছন্ন হয়ে গেল। আমরাও খুব কান্নাকাটি করলাম। কারণ খসরু মামার ব্যথা আমরা দুইজন ছাড়া পৃথিবীর আর কারোরই জানার কথা না।

আমেরিকায় আমাদের পড়াশোনার চাপ অনেক। সুতরাং আমাদের ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ কম। আমাদের বন্ধু বান্ধবও কম। আমরা দুইবোনই আমাদের বন্ধু।

প্রত্যেকদিন আম্মু স্কাইপিতে ফোন দেয়। আমরা অনেক গল্প করি আর এই গল্পের অধিকাংশ জায়গা জুড়ে থাকে খসরু মামা। কবে কোন মেয়েটা দেখা হচ্ছে, মেয়েটা খসরু মামার পছন্দ হলো কি না কিম্বা জ্বীন বিষয়ক পরীক্ষায় মেয়েগুলো ফেল করলো নাকি পাশ সে বিষয়েও আম্মুর সাথে আলোচনা হয়।

আমরা তিনজন মানুষ ভীষণ সিরিয়াস কিন্তু আব্বু বিষয়টাকে ফাইজলামি হিসেবে নিয়েছে। স্কাইপিতে যখন খসরু মামার বিষয়ে কথা বলি তখন হো হো করে আব্বুর হাসি শোনা যায়। তবুও আমরা দমার পাত্র নই। আব্বুর সাথে আমাদের চ্যালেঞ্জ লেগেই আছে। একুশটা মেয়ে দেখা হয়েছে, দরকার হয় আরো একুশটা দেখা হবে।

চ্যালেঞ্জ তো চ্যালেঞ্জ। চার মাস পরে আম্মু একদিন বিকালে ফোন দিলেন। কিমি আপু বাসার নীচের শপিং করতে গিয়েছে। ফোনটা রিসিভ করতেই আম্মু হেসে দিলেন। আমাকে বললেন, একটা খুশির সংবাদ আছে, শুনবি? তোর কিমি আপু কোথায়?

আমি ভীষণ উত্তেজিত হয়ে বললাম, তাড়াতাড়ি বলো। কিমি আপু বাসার নীচে একটু শপ করতে গিয়েছে।

ও।

কেন আম্মু ?

খুশির সংবাদ তো তাই দুইজনকে একসাথে দিবো। কিমি আসলে আমাকে ফোন দিস।

আমরা দুইবোন ফোন হাতে নিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আম্মু ফোন রিসিভ করছে না। খুশির সংবাদ শোনার জন্য বোধহয় ওয়েটিংয়ে থাকতে হয়। আমরা দুইবোন প্রায় দেড় ঘন্টা রুদ্ধশ্বাসে আম্মুর ফোনের জন্য ওয়েটিংয়ে আছি। দেড়ঘন্টা পরে আম্মু ফোন দিয়ে বললেন, তোদের খসরু মামার জন্য একটা মেয়ে দেখা হয়েছিল সেই মেয়েটা পছন্দ হয়েছে। আজকে সকালে বিয়েও হয়েছে। বিয়ের ছবি পাঠাচ্ছি, দাঁড়া।

আম্মু মোট আটটা ছবি পাঠিয়েছে। একটা ছবি বাদে অন্যসব গুলোয় খসরু মামা হাস্যোজ্জ্বল। মামার পাশে শ্যামলা রঙের একটা মেয়ে বসে আছে। ফেইস কাটিংটা বেশ মায়াবী। খসরু মামার পাশে বেশ মানিয়েছে। আমাদের দুইবোনের চোখে আনন্দে পানি চলে এসেছে। খসরু মামা কখনোই হাসেনা কিন্তু মামীকে পাশে নিয়ে দাঁত বের করে হাসছে। এই হাসিটা যেনো আজীবন অটুট থাকে আল্লাহ পাকের কাছে সেই প্রার্থনাই করছি।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ২০ জুন ২০১৯/ এমএম