Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::‌ আমি তাকিয়ে থাকি উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ে;
ঢেউ দেখি না!

আমি তাকিয়ে থাকি বর্ষার অবিরত বর্ষণধারায়;
বৃষ্টি দেখি না!

আমি তাকিয়ে থাকি নক্ষত্রের চোখের আগুনে;
আলো দেখি না!

আমি বিশেষ মুহূর্তে রমণীর চোখে তাকিয়ে-
পাপড়ি দেখি না!

হতাশায়, আমি ফুটন্ত গোলাপ হতে ফিরিয়ে নেই মুখ!
আমি হারিয়ে ফেলি দৃষ্টিশক্তি, হারাই দু’চোখ!

আমি নিস্তব্দ রাতের অন্ধকারে তাকিয়ে থাকি;
কষ্ট দেখি না!

আমি পর্বতের চূড়ায় তাকিয়ে থাকি;
দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয় দেখি না!

আমি গহীন অরণ্যের দিকে তাকিয়ে থাকি;
প্রকৃতি দেখি না!

আমি আকাশ-পাখি-প্রজাপতি অথবা
একটি সাধারণ রমনীর দিকে তাকিয়ে,
কোনো আকাশ-পাখি-প্রজাপতি অথবা
রমনী না দেখে-
প্রচণ্ড কষ্টে চরম অনাগ্রহে ফিরিয়ে নেই মুখ!

আমার বুকের ভেতর অবিরতভাবে-
চৈত্রের তপ্ত দুপুরের তাপদাহ ধেয়ে আসে-
একটি বিরহী মরুভূমি হৃদয় হতে!

আমি কৃষকের চোখে চোখ রেখে-
করি দীর্ঘ আলিঙ্গন!

আমি পানা পুকুরের সাথে গলাগলি করে-
আমার বিদগ্ধ বুকের জমিনে-
রবিশষ্যের বীজ বপনের সুবন্দোবস্ত করতে,
ছায়াসুনিবিড় গাঁয়ের দিকে নিবিষ্টচিত্তে তাকিয়ে থাকি!

আমি স্বপ্নপিয়াসী কিছু চোখ দেখি!
আমি মাটি-মানুষ আর মৃত্যুর মতো-
পরম সত্য জীবন দেখি!
আমি পল্লীবধূর মুখে তাকিয়ে থেকে-
স্পষ্ট চোখে দেখি মায়ের প্রিয়মুখ!

সৌন্দর্যের মাধুর্যে আমার অন্য কোথাও-
তাকানোর মতো সময় থাকে না আর!
অপলকদৃষ্টিতে মায়ের মুখই দেখি বার বার!

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ /এমএম