Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::‌  রেকর্ডসংখ্যক সংগঠক পাচ্ছেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। কীর্তিমানদের সঙ্গে ক্রীড়া পুরস্কার বাগিয়ে নিচ্ছেন অখ্যাতরাও। মিথ্যা তথ্য ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ক্রীড়া পুরস্কারের তালিকায় নিজেদের নাম যুক্ত করেছেন কয়েকজন। এদের মধ্যে এক নারী খেলোয়াড় ও সংগঠক রয়েছেন।

হকি সংগঠক শামসুল বারী, টেবিল টেনিসের এটিএম শামসুল আলম আনু, বাস্কেটবল কোচ মাহতাবুর রহমান বুলবুল অন্যলোকে পাড়ি জমিয়েছেন। শুনে যেতে পারেননি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে তাদের নাম ঘোষণার সুখবর। শেষ পর্যন্ত এসব কীর্তিমান ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাচ্ছেন তারা। বুধবার ওসমানী মিলনায়তনে ২০১৩ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আট বছরে ৮৫ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আট বছরে ৪৬ জন ক্রীড়াবিদের সঙ্গে ৩৯ জন ক্রীড়া সংগঠক পাচ্ছেন পুরস্কার। এদের মধ্যে দুজন রেফারি ও তিনজন কোচ রয়েছেন। তিন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদকেও দেওয়া হচ্ছে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। অথচ অতীতের ধারাবাহিকতায় আট বছরে সর্বোচ্চ ১৬ জন ক্রীড়া সংগঠকের পুরস্কার পাওয়ার কথা। যদিও ক্রীড়া পুরস্কারকে অনেকেই আড়ালে তদবির পুরস্কার নামে আখ্যায়িত করেন।

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেজ ছেলে সাবেক ফুটবলার শহিদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল (মরণোত্তর)। ১৯৯৯ সালে কাঠমান্ডু সাফ গেমসে স্বর্ণজয়ী বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জুয়েল রানা, গোলকিপার মো. মহসিন, কাজী আনোয়ার হোসেন, খন্দকার রকিবুর রহমান, ইমতিয়াজ সুলতান জনি, ইলিয়াস হোসেনদের সঙ্গে পুরস্কার পাচ্ছেন সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী ফুটবলার আরিফ খান জয় এবং বরুন বিকাশ দেওয়ান। আটবারের দ্রুততম মানবী সুলতানা পারভীন লাভলি, ফরহাদ জেসমিন লিটি, রোকেয়া বেগম খুকি, সাঈদ-উর-রব, মিউরেল গোমেজ ও বেগম কামরুন্নেসার নাম রয়েছে চূড়ান্ত তালিকায়। সাঁতারু মাহফুজা রহমান তানিয়া, নিবেদিতা দাস, প্রয়াত সংগঠক আফজালুর রহমান সিনহা ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মইনুল ইসলাম, মোজাফফর হোসেন পল্টু ও তার সহোদর এনায়েত হোসেন সিরাজ, বিওএ’র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা পাচ্ছেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। ক্রিকেটে খালেদ মাহমুদ সুজন, হাবিবুল বাশার সুমন, আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি ও জালাল ইউনুসের হাতেও শোভা পাবে এই পদক। ৮৮ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের নাম প্রস্তাব করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটি ৮৮ জনের নাম চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেয়। কিন্তু চূড়ান্ত যাচাই-বাছাইয়ে তিনজন বাদ পড়েন।

২০১৫ সালের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়া এক নারী খেলোয়াড় মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৮ সালের পুরস্কার পাচ্ছেন বেমানান এক ক্রীড়া সংগঠক। উল্লেখ করার মতো কোনো কীর্তি নেই তার। ২০১৯ সালের জন্য মনোনীতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ম্যানেজার, প্রতিথযশা ক্রীড়া সংগঠক তানভীর মাজহার তান্না।

দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ১৯৭৬ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের প্রবর্তন করেন। ওই বছর আটজনকে দেওয়া হয়েছিল ক্রীড়া পুরস্কার। ছয় বছর নিয়মিত দেওয়ার পর ১৯৮২ সালে বন্ধ হয়ে যায় জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। ১৯৯৬ সালে আবার শুরু হয় পুরস্কার প্রদান। ২০১২ সাল পর্যন্ত ২২৯ জন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক পেয়েছেন এ পুরস্কার। তবে ২০০৮ সালে সাবেক সেনাপ্রধান ও অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি জেনারেল (অব.) মঈন ইউ আহমেদকে পুরস্কারের জন্য চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। তার অনুপস্থিতির কারণে ওই পুরস্কারটি দেওয়া হয়নি। একটি স্বর্ণপদক, সনদপত্র, নগদ এক লাখ টাকা ও একটি ব্লেজার দেওয়া হবে পুরস্কারপ্রাপ্তদের।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ১০ মে  ২০২২ /এমএম