Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::   চলছে প্যারিস অলিম্পিক। গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে অসংখ্য দেশ। আঙুল কেটে চলমান প্যারিস অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার হকি তারকা ম্যাট ডসন। তবে এবার নিবেদনের সব ধাপকে ছাড়িয়ে গেছেন মিশরীয় নারী ফেন্সার নাডা হাফেজ। সাত মাসের গর্ভাবস্থায় অলিম্পিকে অংশ নিয়েছেন এই ক্রীড়াবিদ।

২০১৬ ও ২০২০ অলিম্পিকসের অংশ নেওয়ার ধারাবাহিকতায় এবার প্যারিসেও আসেন নাডা। র‌্যাঙ্কিংয়ে ৪১ নম্বরে থাকা এই ফেন্সার প্রথম ম্যাচে হারিয়ে দেন সাত নম্বর থাকা যুক্তরাষ্ট্রের এলিজাবেথ তারতাকোভস্কিকে। পরে শেষ ষোলোতে তিনি হেরে যান কোরিয়ার জন হাইয়ংয়ের কাছে।

চলমান প্যারিস প্রথম ম্যাচে জয়ের পর খ্যাপাটে উদযাপনে মেতে ওঠেন নাডা। তার চোখে ছিল জলের ধারা। বিদায়ের পর দর্শকদের দিকে আবেগময় ভঙ্গিতে হাত নাড়েন তিনি। সেসবের কারণ বোঝা যায় পরে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, পোডিয়ামে আপনারা দুজন খেলোয়াড়কে দেখলেও আসলে ছিল তিনজন! আমি, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ও পৃথিবীতে আসার অপেক্ষায় থাকা আমার ছোট্ট বাচ্চা!

‘শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিতে পেরে নিজের দারুণ গর্বের কথা জানাতে পোস্টটি লিখছি। এবারের অলিম্পিক আমার জন্য আলাদা। আমি তিনবারের অলিম্পিয়ান, কিন্তু এবার বয়ে নিয়েছি ছোট্ট এক অলিম্পিয়ানকেও!’ নাডা হফেজ লিখেছেন, আমার বাচ্চাও আমার নিজের বেশ চ্যালেঞ্জ পার হতে হয়েছে, শারীরিক ও মানসিক, দুটোই। তবে মিশরের নারী হিসেবে আমাদের শক্তি ও অধ্যাবসায় তুলে ধরতে চেয়েছি আমি। গর্ভাবস্থার এই চড়াই-উতরাইয়ের ভ্রমণ নারীদের জন্য এমনিতেই অনেক কঠিন।

‘তবে জীবন ও খেলাধুলার মধ্যে এই সমন্বয়ের লড়াইটি কোনোমতেই তীব্র ও তেজোদীপ্ত কিছুর চেয়ে কম নয়। তবে সবটুকুই উপভোগ্য ও উপযুক্ত।’ এই যাত্রায় তার পাশেছিলেন স্বামী ইব্রাহিম ইহাব। তাকে নিয়ে এই ক্রীড়াবিদ আরও লিখেছেন, আমি সৌভাগ্যবান, আমার সঙ্গী (স্বামী ইব্রাহিম ইহাব) ও পরিবারের বিশ্বাস পেয়েছি বলে এতদূর আসতে পেরেছি। তবে প্রথম ম্যাচে দারুণ জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচেই থমকে গেলেন নাডা। তার তৃতীয় অলিম্পিকস অভিযান শেষ হয়ে গেছে দুই ম্যাচেই।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ৩০ জুলাই ২০২৪ /এমএম