Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: শেষমেশ ইতি ঘটল সমস্ত নাটকীয়তার। আনুষ্ঠানিকভাবে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। সেই ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত রাশিয়া বিশ্বকাপের পর থেকেই ছিল গুঞ্জন। তবে প্রতি মৌসুমেই আলোচনার জোয়ার উঠলেও পিএসজিতেই থেকে গিয়েছিলেন ফরাসি তারকা। অবশেষে ছয় বছর পর লস ব্লাঙ্কোদের ডেরায় নাম লেখালেন বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ড। সোমবার (৩ জুন) রাতে এই ফরাসি সুপারস্টারের যোগ দেয়ার বিষয়টি রিয়াল তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে নিশ্চিত করেছে। রিয়াল মাদ্রিদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী ৫ মৌসুমের জন্য এমবাপ্পেকে চুক্তি করিয়েছে তারা।

গত মাসেই পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন এমবাপ্পে। ফরাসি ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে প্যারিসেই আটকে রাখতে অনেক চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে তারা। চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় একদম মুফতেই এমবাপ্পেকে ছাড়তে হচ্ছে পিএসজির। যে কারণে তার ওপর অসন্তুষ্ট ক্লাবটির মালিক কাতারি ধনকুবের নাসের আল খেলাইফি। এমনকি এমবাপ্পের বেতন-বোনাস আটকে দেয়ার অভিযোগও উঠেছে পিএসজির বিরুদ্ধে।

এরই মধ্যে রবিবার (২ জুন) বোমা ফাটান ইতালিয়ান সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো। তিনি জানান, ফেব্রুয়ারি মাসেই রিয়ালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন এমবাপ্পে। এরপর থেকে একটু একটু করে সেরেছেন দলবদলের প্রক্রিয়া। রোমানো জানিয়েছেন, রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি করার ব্যাপারে সব ধরনের ফর্মালিটি সেরে ফেলেছেন এই তারকা। এমনকি চলতি সপ্তাহেই তার ক্লাবে যোগ দেয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে রিয়াল, এমনটাও জানিয়েছিলেন এই দলবদল বিশেষজ্ঞ।

তবে এতো তাড়াতাড়ি যে সে ঘোষণা আসবে তা হয়তো কেউই আশা করেনি। আজ রাতেই এমবাপ্পের রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসলো। এর আগে আজ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে প্রকাশ্য বৈঠকে এই কথা জানিয়েছেন এমবাপ্পে। এমবাপ্পে ২০১৭ সালে আরেক ফরাসি ক্লাব মোনাকো থেকে পিএসজিতে যোগ দেন। পরের বছর তাকে কিনে নেয় লিগ ওয়ানের জায়ান্টরা। কিন্তু এর কিছুদিন পর থেকেই এমবাপ্পের রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়ার গুঞ্জন শুরু হয়। এরপর ২০২২ সালের গ্রীষ্মে রিয়ালে প্রায় যোগ দিয়েই ফেলেছিলেন এমবাপ্পে। কিন্তু ফরাসি প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপে সে যাত্রায় রেকর্ড পারিশ্রমিকের বিনিময়ে পিএসজিতে থেকে যান এমবাপ্পে।

চলতি মৌসুমের শুরুতে ফের এমবাপ্পের দলবদলের গুঞ্জন ওঠে। পিএসজির সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করতে না চাওয়ায় তাকে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতির দল থেকে বাদও দেয়া হয়েছিল। পরে কোচ লুইস এনরিকের হস্তক্ষেপে আরও এক মৌসুম প্যারিসে কাটাতে রাজি হলে তাকে দলের সঙ্গে নেয়া হয়। কিন্তু কথা রাখলেন না এমবাপ্পে।

ফরাসি ক্লাবটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা এমবাপ্পে। ক্লাবটির জার্সি গায়ে ৩০৮ ম্যাচে ২৫৬ গোল ও ১০৮টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। ফ্রান্সে মোট সাতবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এমবাপ্পে। এছাড়া চারবার ফ্রেঞ্চ কাপ, দুইবার লিগ কাপ, তিনবার ফ্রেঞ্চ সুপার কাপ জিতেছেন ফরাসি এই তারকা।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ০৫ জুন ২০২৪ /এমএম