Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::‌ ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে নির্মূলের নামে ইসরাইল গাজায় যে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে, তা বন্ধে বিশ্বরাজনীতির কোনো পক্ষকেই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। জাতিসংঘও এ ক্ষেত্রে অসহায়। গণহত্যা বন্ধের উদ্যোগ বিশ্বনেতাদের বক্তৃতা ও বিবৃতিতেই সীমাবদ্ধ আছে। গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরাইল। গাজায় ইসরাইলি বাহিনী এখন পর্যন্ত সাড়ে ২৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এর মধ্যে শিশু ১০ হাজারের বেশি। গণহত্যায় নিহত ফিলিস্তিনির ৭০ শতাংশ নারী-শিশু। ইসরাইলের অব্যাহত হামলায় গাজায় বেশিরভাগ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। খাবারের সংকটে দেখা দিয়েছে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি। বৃদ্ধি পাচ্ছে নানাবিধ রোগের প্রাদুর্ভাব। সংঘাত, অপুষ্টি ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতির জন্য গাজায় এমন প্রাণঘাতী পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, ওই অঞ্চলের প্রায় ১১ লাখের বেশি শিশু মৃত্যুর হুমকির মুখে পড়েছে। ফলে মানবিক সংকট আরও গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। ইসরাইলের চলমান ধ্বংসযজ্ঞ ও নৃশংসতায় গাজা এখন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংসের নামে ইসরাইলের এ গণহত্যা বিশ্ববাসীর বিবেককে নাড়া দিলেও, বিশ্বের মোড়ল বলে খ্যাত যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের বিবেক সাড়া দিচ্ছে না। বরং এ দেশগুলোর দেওয়া অলিখিত লাইসেন্স নিয়েই ইসরাইল গাজায় নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে।

ইসরাইলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে গাজা উপত্যকাকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েই এ হামলা করা হয়। হামাসের সামরিক ও শাসনক্ষমতা ভেঙে ফেলা এবং অবশিষ্ট যদি কোনো সামরিক হুমকি থাকে, তা অপসারণ না করা পর্যন্ত গাজায় ইসরাইল এ গণহত্যা চালিয়ে যাবে। তারা নিশ্চিত হতে চায়, হামাস আর গাজা নিয়ন্ত্রণ করবে না, হামাস ভবিষ্যতে ইসরাইলের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ হবে না এবং ইসরাইল যখন ইচ্ছা তখন গাজার অভ্যন্তরে যে কোনো তৎপরতা চালানোর অধিকার রাখবে। তবে ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ও কট্টর ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের গাজা ছেড়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানান। তারা ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র চলে যাওয়ার মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতির সমাধান খুঁজছেন। ইসরাইলের আসল উদ্দেশ্য হলো, ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোর ওপর দখলদারি কীভাবে আরোপ করা যায় এবং ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীকে তাদের পদাবনত করা যায়। বিশ্বনেতারা এসব জেনেও হাত গুটিয়ে বসে আছেন। মাঝে-মধ্যে মৃদু স্বরে ইসরাইলের এ ভূমি দখলকে অবৈধ বলে থাকেন ঠিকই; কিন্তু বাস্তবে কিছুই করেন না।

আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে একটি ইহুদি শ্রেষ্ঠত্ববাদী ও বর্ণবাদী সরকার হিসাবে বিবেচনা করেন। পশ্চিমা মূলধারার রাজনীতিক, এমনকি ইসরাইলের বিরোধী নেতারাও এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন। তাদের মতে, বর্তমান সরকারের এ নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ড এটিই স্পষ্ট করে যে, দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে উগ্র, সবচেয়ে মৌলবাদী এবং সবচেয়ে বর্ণবাদী ভোটাররাই এ সরকারকে নির্বাচিত করেছে এবং তারাই এখন সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ। ইসরাইল কর্তৃক গাজায় ব্যাপক বোমা হামলার পরপর চালানো এক জরিপে দেখা গেছে, ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ ইহুদি মনে করেন, ইসরাইল গাজায় যে বোমা হামলা চালিয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ মনে করেন, ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স যথার্থ পরিমাণ গোলাবারুদ নিক্ষেপ করছে এবং মাত্র ১ দশমিক ৮ শতাংশ ইহুদি বিশ্বাস করেন, গাজায় অধিক পরিমাণ বোমা হামলা চালানো হয়েছে। সমাজের সব শ্রেণির মানুষের ওপর এ জরিপ করা হয়েছিল। এর মধ্যে সেনা কর্মকর্তা, সংগীতশিল্পী, চিত্রশিল্পী ও রাজনীতিকরাও ছিলেন। মনে করা হয়, এ শ্রেণির মানুষই ইসরাইলের মূলধারার চিন্তার প্রতিনিধিত্ব করেন। তবে বিশ্লেষকদের অনেকেই এ সরকারকে ইসরাইলের ‘প্রথম ফ্যাসিবাদী’ সরকার বলে আখ্যায়িত করেছেন। এমনকি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইহুদি বসতি স্থাপন শুরুর পর থেকে ইসরাইলপন্থি পশ্চিমা মানবাধিকার সংগঠনগুলোও ইসরাইলকে ‘বর্ণবাদী’ রাষ্ট্র বলে আসছে। বর্তমানে যে ব্যক্তি ইসরাইলের ক্ষমতায় আছেন, সেই নেতানিয়াহু বরাবরই আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দিত ব্যক্তি হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। তিনি সেই ব্যক্তি, যিনি ফিলিস্তিনি মানুষের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা শুরু করেছেন। এটি সেই সরকার, যে কিনা এ পর্যন্ত ১ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি হত্যা করেছে এবং ২০ লাখের বেশি মানুষকে বাস্তুহারা করেছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্র ও তার তল্পিবাহক পশ্চিমা দেশগুলো কখনো ইসরাইলের এ অপরাধকে ন্যায্যতা দিতে পিছপা হয়নি। বরং তারা এ ফ্যাসিবাদী ও বর্ণবাদী সরকারকে অর্থ, অস্ত্র ও পরামর্শ দিয়ে গণহত্যায় শামিল হয়েছে।

গাজায় গণহত্যার তীব্রতা যতই বৃদ্ধি পাক, হামাসকে ধ্বংস করার জন্য ইসরাইল যতই মরিয়া হয়ে উঠুক, এর শেষ ফল ভালো হবে না। গাজাকে ধুলার সঙ্গে মিশিয়ে দিলেও ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের জাতিগত পরিচয় মুছে দিতে পারবে না; এমনকি হামাসকে ধ্বংসও করতে পারবে না। হয়তো তাদের সাময়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে, কিন্তু নির্মূল করতে সক্ষম হবে না। ইসরাইল বা তার মিত্র রাষ্ট্রগুলো যতই সন্ত্রাসী সংগঠন বলুক না কেন, হামাস হলো একটি মতাদর্শের নাম, মুক্তিকামী মানুষের আন্দোলনের নাম। গত পঁচাত্তর বছর ধরে অবর্ণনীয় নির্যাতনে নিষ্পেষিত একটি জাতির মুক্তির জন্য দখলদারদের বিরুদ্ধে যে সংগঠন লড়াই করে যাচ্ছে, তাদের আর যাই হোক, সন্ত্রাসী বলা যায় না। ইসরাইল ও তার মিত্ররা ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারের দোহাই দিয়ে গাজার বাসিন্দাদের ধারাবাহিক নির্যাতনকে যতই জাস্টিফাই করার চেষ্টা করুক না কেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে, যতদিন না ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত ইসরাইলের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যাবে না। একটি জাতির ওপর সার্বক্ষণিক নির্যাতন করে তাদের মৌলিক অধিকার হরণ করে নিজেরা নিরাপদে থাকবে-এটা ভাবা ঠিক নয়। অব্যাহত-অনাচারের প্রত্যুত্তর ব্যাপকভাবে আসবে এটাই স্বাভাবিক। বছরের পর বছর দুঃখ-দুর্দশা ও জমে থাকা পুঞ্জীভূত ক্ষোভে অত্যাচারিত জাতি যদি চরমপন্থাও বেছে নেয়, তাকে অন্যায় বলা ঠিক হবে না।

হামাস নির্মূলে ইসরাইল যে সামরিক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে কোনো ফল হবে না বলে ইসরাইলের সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও মনে করে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন ইসরাইল সফরে গিয়ে নেতানিয়াহুকে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হামাস নির্মূলে যে সামরিক সমাধান নেই, তা ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীকে স্বীকার করতে হবে। তা নাহলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকবে। নেতানিয়াহু ব্লিংকেনের এ কথায় কর্ণপাত না করে তার সিদ্ধান্তেই অটল আছেন। ইসরাইলের রক্ষণশীল রাজনৈতিক দলগুলোও নেতানিয়াহুর সঙ্গে সহমত পোষণ করে। তবে, তারা গাজায় ইসরাইলের আধিপত্যের পক্ষে থাকলেও মধ্যপন্থিরা এ ভাবনা থেকে কিছুটা হলেও সরে আসছে। তারা মনে করেন, গাজা থেকে ইসরাইলের বের হয়ে আসার পন্থা খোঁজা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রও যুদ্ধ শেষে গাজার রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন হবে নেতানিয়াহুর কাছে জানতে চেয়েছেন। নেতানিয়াহু এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো উত্তর দেননি। যুক্তরাষ্ট্র সংকট সমাধানে নতুন ও পুনর্গঠিত প্যালেস্টিনিয়ান অথরিটি গড়ার পক্ষে মত দিলেও নেতানিয়াহু তা নাকচ করে দেন। তিনি মনে করেন, পুনর্গঠিত হোক বা নতুন করে গড়া হোক, প্যালেস্টিনিয়ান অথরিটি ভবিষ্যতে ইসরাইল ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠবে। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে প্যালেস্টিনিয়ান অথরিটিকে হটিয়ে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল।

ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের এ বর্বরোচিত গণহত্যার বিচার চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা অভিযোগ করেছে, ইসরাইল শুধু হামাসকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই নয়, একইসঙ্গে ফিলিস্তিন জাতিকে নির্মূল করা অথবা এ অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করার লক্ষ্যে গত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে নজিরবিহীন হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলের সামরিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সে দেশের প্রতিরক্ষা ও বিচারমন্ত্রী গাজাবাসীকে নিশ্চিহ্ন ও বিতাড়িত না করা পর্যন্ত তাদের এ অভিযান বন্ধ হবে না বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা প্রমাণ হিসাবে তা আদালতে উপস্থাপন করে। ইসরাইলের এসব নেতা ফিলিস্তিনিদের মিসরের সিনাই মরুভূমিতে পাঠিয়ে দিয়ে গাজায় ইহুদি বসতি গড়া হবে বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটিও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। নেতানিয়াহুর অনুরূপ একটি বক্তব্যের কথা আদালতে উপস্থাপন করে জরুরি পদক্ষেপ হিসাবে অবিলম্বে গাজায় ইসরাইলের অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ইসরাইল, দক্ষিণ আফ্রিকার এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তাদের সেই পুরোনো ও বহুল উচ্চারিত দাবি উপস্থাপন করে। তারা আদালতকে জানান, নিজেদের রক্ষার অধিকার আছে ইসরাইলের। তারা হামাসের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষাযুদ্ধে লিপ্ত, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে নয়। ইসরাইল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ করে বলেছে, গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরাইলকে নিজেদের রক্ষার অধিকার খর্ব ও প্রতিরক্ষাহীন করতে চাইছে। তাই এ আবেদন খারিজ করা উচিত। ইসরাইল দাবি করেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা হামাসের একটি মুখপত্র হিসাবে কাজ করছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে পারে, তা হয়তো ইসরাইল কখনো ভাবেনি। মামলা করার পর এত অধিকসংখ্যক দেশ সমর্থন করবে তা-ও হয়তো তাদের ধারণার বাইরে ছিল। তবে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা হওয়ার পর নেতানিয়াহুর অনেক বক্তব্যেই কিছুটা নরম সুরের আভাস পাওয়া গেছে। তিনি ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বেফাঁস মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন। এ মামলার ফল কী হবে এখনই হয়তো কিছু বলা যাবে না। মামলার রায় হতে সম্ভবত আরও দু’তিন বছর লেগে যেতে পারে। তখন, রায় যদি ইসরাইলের বিরুদ্ধে যায়, তাহলে শুধু ইসরাইল নয়, সে রায় যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও অস্বস্তির কারণ হবে। তবে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায় চূড়ান্ত এবং রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ নেই। রায় বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার কোনো এখতিয়ারও নেই এ আদালতের। যদি ইসরাইলের বিরুদ্ধে রায় হয়, ইসরাইল যে তা মানবে না, তা নিশ্চিত বলা যায়। ২০০৪ সালেও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের দেওয়া অন্য একটি রায় ইসরাইল মানেনি। ওই রায়ে আদালত, অধিকৃত ফিলিস্তিনে প্রতিবন্ধক দেওয়াল নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দিলে ইসরাইল সে নির্দেশ আদৌ আমলে নেয়নি। এবারের রায় যদি ইসরাইল প্রত্যাখ্যান করে এবং এ রায় বাস্তবায়নের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা যদি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যায়, তাহলেও ফল একই হবে। কারণ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র ‘ভেটো পাওয়ার’ ব্যবহার করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিরা আদৌ এ গণহত্যার বিচার পাবে না। তবে এ মামলার ফল জানার জন্য আমাদের হয়তো লম্বা সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এখন যেটা জরুরি, তা হলো গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করা। এ ব্যাপারে দক্ষিণ আফ্রিকা জরুরি পদক্ষেপ হিসাবে যুদ্ধ বন্ধের যে আবেদন করেছে, আদালত সম্ভাব্য জরুরি এ পদক্ষেপ সম্পর্কে এ মাসের শেষের দিকে একটি সিদ্ধান্ত দিতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, ইসরাইল কি এ সিদ্ধান্ত মেনে নেবে? ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং পশ্চিমা দেশগুলো যদি সত্যিকার অর্থে রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে, তাহলে ইসরাইল হয়তো শর্তসাপেক্ষে তা মেনে নিতে পারে।

একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ /এমএম