Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::‌ স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছেন সিলেটবাসী। ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে সিলেট নগরীসহ জেলার ১৩টি উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকা। অন্তত ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তাদের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ওসমানী বিমানবন্দরের কার্যক্রম। সিলেটসহ সারা দেশে স্থগিত করা হয়েছে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এদিকে লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, নেত্রকোনা, শেরপুরেও ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব অঞ্চলে টানা বৃষ্টি ও নদ-নদীর পানি বাড়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা।

বিপর্যস্ত সিলেটে সেনাবাহিনী: বন্যাদুর্গত সিলেট ও সুনামগঞ্জে উদ্ধার এবং ত্রাণকাজে সেনা সদস্যরা কাজ শুর’ করেছেন বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মানুষকে উদ্ধার করা এবং নিরাপদে নিয়ে আসা। স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’

ভেসে যাচ্ছে কাঁচা ও টিনশেড বাড়ি: ভারি বর্ষণ আর উজানের ঢলে সুরমা-কুশিয়ারার পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে বেশি প্লাবিত হয়েছে সিলেটের সীমান্তবর্তী অঞ্চল কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট এলাকার বিস্তৃণ জনপদ। বানের জলে ভেসে যাচ্ছে কাঁচা ও টিনশেড বাড়িঘর। অনেক জায়গায় নদী ভাঙনও দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এমন অবস্থায় এখন পর্যন্ত সরকারি সহায়তাও পৌঁছেনি। গত বৃহস্পতিবার বিকেলেও এসব এলাকায় হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি থাকলেও রাতের মধ্যে তা বেড়ে গলা সমান হয়ে গেছে। ফলে শুক্রবার সকালে অনেক মানুষকে ঘরের চালায় আশ্রয় নিতে হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় সেখানেও তারা থাকতে পারছেন না।

নৌকা না থাকায় আশ্রয়কেন্দ্রেও যেতে পারছেন না। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক উপচে পানি তীব্র বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, সুরমা, কুশিয়ারাসহ সিলেটের নদ-নদীর পানি সবগুলো পয়েন্টেই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে সিলেটর উজানে ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্যে। এই দুই রাজ্যে রের্ড এলার্ট জারি করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে ৫ দিনের জন্য সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে মেঘালয়ে। মেঘালয় ও আসামের বৃষ্টির পানি ঢল হয়ে নামে সিলেটে। এই ঢলেই দেখা দেয় বন্যা।

সিলেট বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা: সিলেট এমএজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তিনদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে বিমানবন্দরটিতে শুক্রবার থেকে তিনদিন কোনো ধরনের ফ্লাইট ওঠানামা করবে না বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ। তিনি জানান, বিমানবন্দরের রানওয়ের কাছাকাছি বন্যার পানি চলে এসেছে। এছাড়া সিলেটজুড়ে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় তিনদিনের জন্য বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয় হবে।

সিলেটের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ার শঙ্কা: বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র তলিয়ে যাওয়ায় দুই জেলার কয়েক লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন। কুমারগাঁও গ্রিড উপকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, পুরো সিলেটের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে। এই গ্রিড উপকেন্দ্রের সুইচ ইয়ার্ডে (কন্ট্রোল রুমের বাইরের অংশ) বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এখন যদি কন্ট্রোল রুমের ভেতরে পানি প্রবেশ করে তাহলে এই উপকেন্দ্র বন্ধ রাখতে হবে। যার ফলে বন্ধ হয়ে যাবে সারা সিলেটের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। এ অবস্থায় সিলেটের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে সেনাবাহিনী, সিলেট সিটি করপোরেশন ও বিদ্যুৎ বিভাগ।

শুক্রবার দুপুর থেকে কুমারগাও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের চারপাশে বালির বস্তা দিয়ে দিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে সেনাবাহিনী। এছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশনের সাকার মেশিন দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঢুকে পড়া পানি শুকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদির বলেন, বুধবার রাতেই কুমারগাও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি ঢুকে পড়েছে। আর ৪ ইঞ্চি পানি বাড়লেই এই কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হবে। সুনামগঞ্জ, ছাতক, কোম্পানীগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কুমারগাঁও উপকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে পুরো সিলেট বিদ্যুৎহীন হয়ে যাবে।

সারা দেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন সুনামগঞ্জ: সড়ক তলিয়ে সারা দেশের সঙ্গে সুনামগঞ্জের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। তাদের মধ্যে খাবার ও সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে। গত বন্যা ২০০৪ সালের সালের বন্যাকে অতিক্রম করেছে। আর এবারের বন্যা ১৯৮৮ সালের বন্যাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। অবস্থা এতই বেগতিক যে, মানুষ এখন আশ্রয়ের ঠাঁইটুকুও পাচ্ছেন না।

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত:সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় বন্যার কারণে ১৯ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার শুক্রবার বলেন, পরীক্ষা শুরুর পরিবর্তিত তারিখ পরে জানানো হবে।

শাবিপ্রবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসেও বন্যার পানি ঢুকেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। জরুরি ভিত্তিতে আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৫ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হল সমূহ খোলা থাকবে।

১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি: স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও বন্যাকবলিতরা জানিয়েছেন, সিলেট নগরের অন্তত ২০টি এলাকার পাশাপাশি জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, সদর, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ছয় শতাধিক গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। চলাচলের জন্য মিলছে না নৌকা। ফলে জরুরি প্রয়োজনে কেউ ঘরের বাইরে বেরোতে পারছেন না। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক উপচে পানি তীব্র বেগে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় গোয়াইনঘাট উপজেলাও জেলা শহরের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সিলেট নগরের তালতলা, জামতলা, মির্জাজাঙ্গাল, কালীঘাট, মাছিমপুর, মেন্দিবাগ, উপশহর, তেরোরতন, যতরপুর, সোবহানীঘাট, চালিবন্দর ও ঘাসিটুলা এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার অনেক রাস্তায় পানি থই থই করছে। বাসা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। বানের পানির সঙ্গে ভেসে আসছে ময়লা-আবর্জনা। এসব পানি থেকে দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে।

খাবার ও সুপেয় পানির সংকট: বন্যার কারণে বানভাসি মানুষের অনেকে বাড়িঘরে আটকা পড়েছেন। এছাড়া অনেক বন্যার্ত খাবার ও পানির সংকটে সবচেয়ে বেশি পড়েছেন। ঘরে হাঁটু থেকে গলা সমান পানি ওঠায় অনেকে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। অনেকে ত্রাণও পাচ্ছেন না। এতে তৈরি হয়েছে চরম মানবিক বিপর্যয়। পানি যত বাড়ছে, সংকটও তত বাড়ছে। গত বন্যায় উপদ্রুত এলাকায় ত্রাণ সহযোগীতা নিয়ে প্রশাসন তৎপর থাকলেও এবার তা অপ্রতুল মনে করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।

তারা বলেন, আগে বন্যা কবলিত মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন। সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সিটি করপোরেশন, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও সিলেট সদরে ২ হাজার ৯ বস্তা শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে ১১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৩৪ টন চাল, ২ হাজার ৯০০ বস্তা শুকনো খাবার ও ১১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, পুরো জুন মাসে ৮১৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা। কিন্তু ১৬ তারিখ পর্যন্ত ৯৪ দশমিক ৮১ শতাংশ অর্থাৎ ৭৭৪ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়ে গেছে। আগামী ২৬ জুন পর্য সিলেটে ভারি বর্ষণ হবে। তাতে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন আন্তরিকভাবে কাজ করছে। যাদের বাড়িঘরে পানি উঠেছে, তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নতুবা নিরাপদ স্থানে চলে আসতে বলা হচ্ছে। খাদ্যসংকট দূর করতে দেয়া হচ্ছে ত্রাণ সহায়তা।

নেত্রকোনার ৩ উপজেলা প্লাবিত: নেত্রকোনার তিনটি উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এমএল সৈকত জানান, শুক্রবার জেলার সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার, উব্ধাখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ও ধনু নদীর পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও জেলার সবকয়টি নদনদীর পানি হু হু করে বেড়ে চলেছে। বন্যার পানি বাড়তে থাকায় স্থানীয় প্রশাসন পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাচ্ছে। তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করছে প্রশাসন।

তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা থেকে ওঠানামা: ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা থেকে ওঠানামা করছে। শুক্রবার সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর পানি জেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে দুপুর ১২টার দিকে একই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচে নেমেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ওই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যা ৬টায় পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসে। ওই পয়েন্টে তিস্তা নদীর বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ মিটার। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমলা উপজেলার তিস্তাবেষ্টিত পূর্ব ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রাম মিলিয়ে প্রায় ৫ সহস্রাধিক পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।

কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার ওপরে ধরলার পানি: কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও বাড়ছে। তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নিুাঞ্চলে বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করায় জেলা সদর, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী, চিলমারী ও উলিপুর উপজেলার হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ধান, পাট ও শাক-সবজি ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা।

শেরপুরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত: পাহাড়ি ঢলে বেড়েই চলছে মহারশী, সোমেশ্বরী ও চেল্লাখালী নদীর পানি। ফলে ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের অন্তত ৫ গ্রাম, ধানশাইল ইউনিয়নের ৫ গ্রাম ও নালিতাবাড়ী উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ১৮ জুন  ২০২২ /এমএম

 


এই বিভাগের আরও সংবাদ