Menu

কানাডায় প্রবাসী বাঙালিদের রমজান পালন আর ইফতারির আয়োজন

আহসান রাজীব বুলবুল, কানাডা :: বরফাচ্ছন্ন কানাডার প্রায় ৮ মাসই বরফে আচ্ছাদিত থাকে। এ বছর রমজান মাসের শুরুতেও এর ব্যপ্তয় ঘটেনি। প্রচন্ড বৈরি আবহাওয়াতেও ম্লান করতে পারেনি প্রবাসী বাঙালিদের ইফতার আয়োজন আর মিলনমেলার।

মাল্টি কালচারইজমের দেশ কানাডা। আয়তনে বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হলেও জনসংখ্যা ৩ কোটির সামান্য বেশি। কানাডার ইমিগ্রেশন সংস্থার হিসাব অনুযায়ী প্রতি বছর প্রায় আড়াই লাখ অভিবাসন কানাডায় পাড়ি জমায়। দেশটির জন্মলগ্ন থেকে এ পর্যন্ত ১কোটি ৭০ লাখেরও বেশি অভিবাসী এখানে স্থায়ী ভাবে বসবাস করছে। প্রবাসী বাঙালিরা বাংলাদেশ থেকে কানাডায় এলেও রমজান মাসে রোজাদাররা ভুলে যায়নি তাদের বাঙালি সংস্কৃতির।

কানাডায় প্রবাসী বাঙালিদের রমজান পালন আর ইফতারির আয়োজন

সারাদিন শেষে বাড়িতে বাড়িতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসাথে বসে চলছে ইফতারের আয়োজন। বাংলাদেশের মত এখানেও বাঙালিরা ছোলা মুড়ি মেখে মুয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনির অপেক্ষায় থাকে। ইফতারের এ আয়োজনে আরো থাকছে পেয়াজি, কলা, আলুর চপ, জিলাপি,খেজুর, চিকেন হালিম আর শরবত। বিশেষ খাবার হিসেবে কমলা, আঙুর, আপেল সহ নানা দেশের বৈচিত্রময় ফল। বাংলাদেশী হোটেলগুলোতেও বেচাকেনি চলছে জমজমাট ইফতারি সহ খিচুরি বিরিয়ানি।

বেঙ্গল ফার্মেসী ও কমিউনিটি জী বাংলাদেশী ফার্মেসী গ্রুপের স্বত্তাধিকারী ড. ইব্রাহিম খান বলেন, পবিত্র রমজান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটি মাস, এই মাসে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন নাযিল হয়, সংযম আর আত্মশুদ্ধির মধ্যে দিয়ে আমরা মাসটি পালন করি। এই মাসটিতে আমরা প্রবাসী বাঙ্গালীরা সবাই মিলে একসাথে ইফতার করার চেষ্টা করি। যদিও যান্ত্রিকতাময় এই প্রবাস জীবনে কখনো সম্ভব হয়, কখনো হয় না। পবিত্র মাসে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে কবুল করুন।

ক্যালগেরির ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান ডা. জাকির হোসেন বলেন, রমজান মাস এমন একটা মাস, যে মাসে গুনাহ মাফ হয়। আর ইফতারির আগে দোয়া কবুল হয়। যদিও আমরা দেশে নেই তবুও প্রবাসী বাঙ্গালীরা সবাই মিলে আমরা ইফতার এর এই সময়টা খুব উপভোগ করি, মিস করি বাংলাদেশকে।

কানাডায় প্রবাসী বাঙালিদের রমজান পালন আর ইফতারির আয়োজন

ক্যালগেরিতে বাঙালিদের রয়েছে নিজস্ব একটি মসজিদ। প্রতি বছরের মতো প্রবাসী বাঙালিদের বিএমআইসিসি নামের মসজিদটিতে এবারো আয়োজন করেছে ইফতারের। অসংখ্য নারী পুরুষ এই ইফতারিতে অংশ নিচ্ছে। আদায় করছে তারাবি নামাজ। প্রবাস জীবনে যান্ত্রিকতাময় দিনগুলোতে ইফতার আর তারাবি নামাজ শেষে এই সময়টাতে প্রবাসী বাঙালিরা মিলিত হয় একে অপরের সাথে। পরিণত হয় মিলনমেলায়। এশিয়ান এলাকায় উৎসব মুখর পরিবেশে সবাই মিলে যখন ইফতার করছে তখন যেন মনে হয় একখন্ড বাংলাদেশ।

সিয়াম সাধনার এই মাসে সংযম আর আত্মশুদ্ধির মধ্য দিয়ে যাবতীয় ভোগ বিলাস, অন্যায়, অপরাধ, হিংসা, বিদ্বেষ, সংঘাত পরিহার করে ব্যক্তিগত ও সমাজ জীবনে বয়ে নিয়ে আসবে শান্তির বার্তা ক্যালগেরিতে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালিদের এমনটাই প্রত্যাশা।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/১৮ মে ২০১৯/ইএন


এই বিভাগের আরও সংবাদ