Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: জীবন মানেই– বহতা নদী। জীবন মানেই– বাঁচার অভিনয় এই আছে তো এই নেই। মানুষ একটা সময় নীরবে চলে যায় ঠিকই কিন্তু চিরকালের জন্য ফেলে রেখে যায় মনের মাঝে হাজারও স্মৃতি। আর সেই স্মৃতিগুলো কুড়িয়ে নেন মানুষ। আর সেই স্মৃতি যদি হয় বাবার থেকে পাওয়া কিছুকে ঘিরে তা হলে তো সেই অনুভূতি প্রকাশের অতীত।

রোববার না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এই অভিনেতার মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে নানা স্মৃতি শেয়ার করছেন তার ভক্তরা।

এরই অংশ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাওয়া গেছে একটি ভিডিও। যেখানে স্ত্রী দীপা চ্যাটার্জি ও মেয়ে পৌলমি বোসকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন প্রয়াত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।যেখানে ১৯৭৭ সালে ২১ সেপ্টেম্বর বাবার থেকে পাওয়া একটি চিঠি পড়ে শোনান পৌলমি।

পৌলমিকে পাঠানো ওই চিঠিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন– ‘বড় হওয়াটা যেমন ভীষণ মজার, তেমনি খানিকটা দায়িত্বেরও। বড় হলে নিজের ভালো-মন্দ নিজেরই বুঝতে শিখতে হয়। আর যে আরও বড় হয়, সে নিজের সঙ্গে সঙ্গে আরও সবার ভালো-মন্দ বুঝতে শিখে। তুমি (পৌলমি বোস) যে তেমন করেই বড় হবে, সে বিশ্বাস তোমার ওপর আমার (সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়) আছে।

আমার কেবল মনে হয়, আমার ছেলেমেয়েদের কার টাকা হলো, পয়সা হলো, নাম-খ্যাতি কী হলো, তার চাইতে আমি আরও বেশি সুখী হব– যদি দেখি তারা মানুষের মতো মানুষ হয়েছে। তারা অলস নয়, অকর্মন্য নয়, অগোছালো নয়, তারা মিথ্যে বলে না, খারাপ কাজ করে না, বাহিরের চাকচিক্য না করে তারা সত্যি সত্যি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। তারা অযথা ভয় পায় না। কারণ ভয় পাওয়ার মতো কাজ তারা করে না। তুমি তোমার দাদা নিশ্চয়ই তেমনি সহজ-সরল নির্ভীক সত্যাশ্রয়ে মানুষ হবে– এমন বিশ্বাস আমার আছে।’

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ১৭  নভেম্বের ২০২০/এমএম