আলমগীর দারাইন :: আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত। নানাবিধ কারনে সু-সম্পর্ক রেখে চলতে হয়।
ভারতের সাথে আমাদের সংস্কৃতি, অর্থনীতি, ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্ক জড়িত। তাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে, অর্থনীতি, ও রাজনীতি প্রভাবিত হচ্ছে। কখনো সেটা বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগনের আশা আকাংক্ষা ও স্বার্থের পরিপন্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামিলীগ যেটা ভারত সরকাকে বুঝাতে পেরেছে, বি,এন,পি,ও অন্যান্য দলগুলো সেটা পারেনি। ভারত শিল্প, শিক্ষা, সামরিক শক্তি, কারিগরি জ্ঞান-বিজ্ঞান, চিকিৎসা, সংস্কৃতি সব দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। বিশ্বে জুড়ে তাদের বিশাল বাজার। তাছাড়া ভারত বিরোধিতা মানে একশ্রেণীর, অন্ধ কঠোর হিন্দুত্ববাদিদের উস্কে দেওয়া। আমি মনে করি ভারতীয়দের চেয়ে বাংলাদেশীদের ভারতের প্রয়োজন বেশি। বাংলাদেশ নীচু সমতল ভূমি দ্বারা বেষ্টিত। নদীমাতৃক বাংলাদেশ। বেশির ভাগ নদনদী ভারতে ভিতর দিয়ে প্রবাহিত। তারা যদি পানির গতিপথ ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করে তাহলে বাংলাদেশের পক্ষে কিছু করার নেই।
সবকিছুতে দোষ ধরলে চলবে না। আমাদের চাল-ডাল, পিয়াজ-রসুন, মসলা, মহিলাদের পোশাক, প্রসাধনী, বিয়ের বাজার, চিকিৎসা, দেশ ভ্রমণ, কারখানা ও গাড়ির যন্ত্রাংশ, বিনোদনের জন্য সিনেমা, নাটক, ইত্যাদি ভারতের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। দামে সস্তা, খরচ কম। ভারতের বিকল্প চায়না। চায়না আরও বেশি বেনেরি/ ব্যবসায়ী জাতি। নেপাল ও ভূটান ছোট্ট দেশ, অল্প জনসংখ্যা। ওরা যেটা বলতে ও করতে পারে, বাংলাদেশ সেটা পারে না।
স্বাধীনতা যুদ্ধে আশ্রয় ও সাহায্যের প্রয়োজন ছিল। তারা সেটা দিয়েছে। কভিডের সময় দ্রুত টিকার প্রয়োজন ছিল। তারাও সেটা যুগিয়েছে। দেশে কোন বিপদ হলে যেমন ভুমিকম্প, মহামারি, দূর্যোগ হলে বৃহত্তর প্রতিবেশীই ভারতই আগে সাহায্যের হাত বাড়াবে। বাংলাদেশে বাজার ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল রাখতে, দ্রুত পন্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ভারতের। এই সকল বিষয় বিবেচনা করলে দেখা যায় বাংলাদেশের স্বার্থে ভারতের প্রয়োজন। ভারতের ততটা নয়।
লেখক: আলমগীর দারাইন,ক্যালগেরি, কানাডা।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ০৪ মার্চ ২০২৪ /এমএম