প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: খেতে হবে পর্যাপ্ত টাটকা ও পুষ্টিকর খাবার, প্রচুর তাজা ফলমূল ও শাকসবজি। এ সময়ে ভিটামিন ‘ডি’সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি, কারণ ভিটামিন ‘ডি’ ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নির্মূলে শক্তিশালী ভূমিকা রাখে।
খেতে হবে পর্যাপ্ত টাটকা ও পুষ্টিকর খাবার, প্রচুর তাজা ফলমূল ও শাকসবজি। এ সময়ে ভিটামিন ‘ডি’সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি, কারণ ভিটামিন ‘ডি’ ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নির্মূলে শক্তিশালী ভূমিকা রাখে।
দুধ, ডিম, গরুর কলিজা, কর্ড লিভার অয়েল, দই, পনির, মাখন, টুনামাছ, মাশরুম ইত্যাদি খাবারে পাওয়া যাবে ভিটামিন ‘ডি’। এছাড়া সূর্যের রোদও এই ভিটামিনের ভালো উৎস।
ফ্লুর বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখে ভিটামিন ‘সি’। তাই মৌসুমি টক ফল, ক্যাপসিকাম, পেঁপে, ব্রকোলি, পালংশাক, টক দইসহ ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ অন্যান্য খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবেন। তবে এই ভিটামিন যেহেতু শরীরে মজুত থাকে না, তাই খাবারগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে রোজই খেতে হবে। প্রচুর পানি (দিনে দুই থেকে তিন লিটার) ও তরল পান করুন।
চিনি ও চিনিযুক্ত খাবার বর্জন করুন; কারণ যে কোনো প্যাথোজেন (রোগ সংক্রামক জীবাণু) সুগারের কারণে বৃদ্ধি পায়। ফাস্টফুড, প্রসেসড ফুড ও কেমিক্যালযুক্ত খাবার এবং আইসক্রিমসহ কোনো ধরনের ঠান্ডাজাতীয় খাবার বা পানীয়, এমনকি ঠান্ডা পানিও এ সময়ে খাবেন না। ধূমপান, মাদক ও তামাকসেবন পুরোপুরি বর্জনীয়।
নিয়মিত কালোজিরা-মধুর মিশ্রণ খান। কালোজিরা বেটে এক চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাবেন দিনে দুবেলা। মধু প্রসঙ্গে সুরা আন-নহলের ৬৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘মৌমাছির উদর থেকে নিঃসৃত হয় বর্ণিল পানীয়। এতে মানুষের জন্য রয়েছে নিরাময়।’ আর হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা এই কালোজিরা ব্যবহার করবে। কেননা এতে মৃত্যু ছাড়া সব রোগের প্রতিষেধক রয়েছে’ (তিরমিজি)।
করোনা রোগ নিরাময়ে কালোজিরা-মধু যুগলের কার্যকারিতার বাস্তব প্রমাণ নাইজেরিয়ার একটি রাজ্যের গভর্নর সেয়ি ম্যাকেন্দি। করোনায় আক্রান্ত হলে তিনি চিকিৎসকের পরামর্শে কালোজিরা ও মধুর মিশ্রণ সেবন করে ১৫ দিনে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
খুসখুসে কাশি হলে আদা ও লবঙ্গ একসঙ্গে পিষে সেটাকে গরম পানিতে সিদ্ধ করে তার সঙ্গে কিছুটা চা দিয়ে সেটা এক কাপ মতো নিয়ে গারগল করে খান দিনে অন্তত তিন-চারবার। এতে গলার ভেতরের কোষগুলোয় রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। কোষগুলো শক্তিশালী হবে এবং সমর্থ হবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে।
যাদের গলা খুসখুস করে না বা কোনো কাশিও দেখা দেয়নি, তারাও এটা নিয়মিত দিনে দুবার অন্তত দুই কাপ খাবেন। পাশাপাশি যাদের সুযোগ আছে তারা নিমপাতা খেতে পারেন। নিমপাতা একটু পানি দিয়ে পিষতে হবে। যে সবুজ রঙের রস বের হবে সেটার সঙ্গে গরম পানি মিশিয়ে তা গরগরা করে খেতে হবে। এর ফলে গলার কোষগুলোর ইমিউনিটি বাড়বে।
সাজেদা কলি জ্যোতি : পুষ্টিবিদ
প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ৩০ এপ্রিল ২০২১ /এমএম





