প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় যেন বাংলার স্বাধীন রক্তিম সূর্যের উদয় হয়েছিল। সেদিন মরহুম শেখ লুৎফর রহমান এবং শেখ সায়েরা খাতুনের কোল আলোকিত করে পৃথিবীতে এসেছিলেন বাঙালির মুক্তির মহানায়ক, অসহায় ও শোষিত বঞ্চিত মানুষের মুক্তির দিশারী, আশা, ভরসার কেন্দ্রবিন্দু, বিশ্বনেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
কেবলমাত্র একটি পরাধীন দেশের নাগরিকরাই জানেন স্বাধীনতা অর্জন কতটা কঠিন ও দুর্লভ এবং সেই স্বাধীনতা কতটা মহামূল্যবান। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালিরা বিশ্বের মানচিত্রে একটি স্বাধীন দেশ অর্জন করে। এই স্বাধীনতা প্রত্যেকটি বাঙালির জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি ও সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। আমাদের মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতা নামক এই সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাঙালির জীবনে কোনোদিনই সম্ভব হতো না যদি ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হতো।
স্কুলজীবনেই বঙ্গবন্ধুর মাঝে রাজনৈতিক চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল। গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে ৮ম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে তাকে জেলে যেতে হয়।
পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতির দাবিতে সাধারণ ধর্মঘট চলাকালীন বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফন্ট নির্বাচন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি সৃষ্টি ও নেতৃত্ব দানের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনা সম্ভব হয়। বঙ্গবন্ধু শুধু একটি স্বাধীন দেশই দিয়ে যাননি, বাংলাদেশের গরীব দুঃখীসহ সকল নাগরিক যাতে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারেন সেই ব্যবস্থাও করে দিয়ে গেছেন।
বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। সোনার বাংলার আদর্শিক ও মৌলিক চরিত্র হলো স্বনির্ভর অর্থনীতি, উন্নত শাসন ব্যবস্থার বাস্তবায়ন, শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা ও ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র গড়ে তোলা- যা এখনো একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। শোষণমুক্ত রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হলে মুজিব আর্দশকে ধারণ করে প্রত্যেক নাগরিককে অবশ্যই মানবিক হতে হবে।
বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হবে। ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের আদর্শের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “আমার রাষ্ট্র হবে ধর্মনিরপেক্ষ। মানে ধর্মহীনতা নয়। মুসলমান তার ধর্মকর্ম পালন করবে, হিন্দু তার ধর্মকর্ম পালন করবে, বুদ্ধিষ্ট তার ধর্মকর্ম পালন করবে। কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না। তবে একটা কথা হলো, ধর্মের নামে আর ব্যবসা করা যাবে না।” বঙ্গন্ধুর এই অমর বাণীর মর্মার্থ “বার্তা” হিসেবে প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। যাতে তারা এ বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেন। সচেতন হতে পারেন। তবেই আমরা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বাস্তবায়ন করতে পারব।
১৭ মার্চ ১৯২০ সালে বাংলার আকাশে শুধুমাত্র স্বাধীন রক্তিম সূর্যের উদয় হয়নি, প্রকৃতপক্ষে বিশ্বের বুকে সেদিন একটি নতুন উন্নত আর্দশিক রাষ্ট্রেরই জন্ম হয়েছিল বলে আমি মনে করি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা যে রাষ্ট্রটি অর্জন করি সেটা শুধু একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল না, আর্দশিক দিক থেকে সেটা ছিল একটি শোষণমুক্ত, গণমানুষের অধিকারপূর্ণ, সাম্যবাদী, সকল ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় স্বাধীনতার চির প্রতিষ্ঠা এবং সকল মানুষের মুক্ত চিন্তার নিশ্চিয়তা বিধানের অভাবনীয় বীরত্বপূর্ণ চেতনার বিজয়। সেই বিজয়ের একমাত্র মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আর সেই মহানায়কের দেখানোর পথেই চলছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইতিহাসের কী সুন্দর পরিণতি, একজন পিতা হাজারো অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে বিশ্বের বুকে সার্বজনিন আদর্শিক একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। আবার তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বাধীন দেশকে অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ সকল দিক থেকে বিশ্বের বুকে সফল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। পিতা ও কন্যার এমন সাফল্য, সুযোগ্য নেতৃত্ব বিশ্বের ইতিহাসে সত্যিই বিরল।
স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর, বঙ্গবন্ধু তার নিজস্ব চিন্তা-ভাবনার মাধ্যমে সুচিন্ত-পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ও দেশীয় রাজাকার কর্তৃক নির্মম নিষ্ঠুর ধ্বংসলীলায় ক্ষতবিক্ষত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। একটি উন্নত ও আধুনিক সংবিধান প্রণয়ন করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন, ত্রাণ কার্যক্রম, স্বাধীন বাংলার প্রশাসনিক পদক্ষেপ, ভারতীয় বাহিনীর সদস্যদের ভারতে ফেরত পাঠান, ১৯৭২ সালের সংবিধান রচনা, ১৯৭৩ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, উৎপাদন বৃদ্ধি, অবকাঠামোর উন্নয়ন, খাদ্য শস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ বিভিন্ন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন, বৈরী মনোভাব নয়-সকলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ববস্থা, ইন্টারন্যাশানাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্ট জারি, বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী চুক্তি সম্পাদন, শিক্ষাকমিশন গঠন, যমুনাসেতু নির্মাণের সূচনা, বিভিন্ন সংস্থার সদস্যপদ লাভ ও গ্রহণ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পুনর্গঠন, ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ, কৃষিঋণ মওকুফ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে ৫০০ ডাক্তারকে গ্রামে নিয়োগ, থানা স্বাস্থ্য প্রকল্প গ্রহণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী গঠন, বৈদেশিক বাণিজ্য শুরু, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানসহ বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে বাংলাদেশ রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনীতিসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি শক্ত অবস্থানে দাঁড়ায়।
যুদ্ধবিধস্ত বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু গৃহহীন মানুষের জন্য বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন। ১৯৭২ সালের জুন মাসে ১ লক্ষ ৬৬ হাজার বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পানা গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর সরকার ঘোষিত ৫০০ কোটি টাকার প্রথম বাজেটের কৃষিখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়। তারপরই অগ্রাধিকার দেওয়া হয় শিক্ষা ও সমাজকল্যাণে। শিশুদের জন্য সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে শিশু খাদ্য সরবরাহের উপর কর আরোপ করেননি। বঙ্গবন্ধু সরকার দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ বিতরণ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দেশের বড় সেতু, বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুননির্মাণের কাজ শুরু করেন। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, তিস্তা রেলওয়ে ব্রিজ পুননির্মাণ করেন।
চট্রগ্রাম বন্দর থেকে মাইন ও ভাঙ্গা জাহাজ অপসারণ করেন। শিল্পখাতের জন্য দীর্ঘমেয়াদী শিল্পঋণ প্রদানে নীতিমালা গ্রহণ করেন। পরমানু শক্তি কমিশন, বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদ, শিল্প ঋণ সংস্থা, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করেন। এরই মধ্যে ৪ হাজার ৫শত ৫৫ কোটি টাকার প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পানাও ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর প্রচেষ্টায় যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের জন্য জাতিসংঘ ৪ শত ১১ কোটি টাকা এবং ভারত সরকার ২ শত ৫৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেন। বঙ্গবন্ধু তার শাসনামলে শিল্প উন্নয়নেও বড় ধরনের পরিকল্পানা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করেন। এভাবেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের অবকাঠামোর শক্তিশালী ভিত তৈরি করেন। কৃষি, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুৎতায়ন, নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিত করা, বাস্তবসম্মত পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নসহ সকল দিক থেকেই মাত্র সাড়ে তিন বছরেই বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড় করাতে সক্ষম হন।
বঙ্গবন্ধুর হাতেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয়। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে গবেষণার জন্য তৎকালীন আইপিজিএমঅ্যান্ডআরকে গবেষণা করার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেন। এই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ১০০ থেকে ৫০০ বেডে উন্নীত করেন। দেশের এই অর্থনৈতিক দূরবস্থার মধ্যেও বঙ্গবন্ধু চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে সুষ্পষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনারও স্বাস্থ্যখাতের প্রতি বিশেষ সহানুভূতি রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে জননেত্রী শেখ হাসিনার রয়েছে অসামান্য অবদান। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কোভিড-১৯ জনিত প্যানডেমিকের সফল মোকাবিলা, অর্থনীতির পুনরুজ্জীন ও জীবনমান সচল রাখার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ প্রণীত সূচকে ‘কোভিড-১৯ সহনশীলতাক্রম’ অনুযায়ী বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ এবং সারা বিশ্বে ২০তম অবস্থান অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের এই সাফল্যকে প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের মান্যবর মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে ও সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্যাকসিন সেন্টার, ফিভার ক্লিনিক, টেলিমেডিসিন সেবা, পিসিআর ল্যাব সার্ভিস, হাসপাতালে পৃথক কোভিড-১৯ সেবা কার্যক্রম স্থাপন এবং বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ ফলোআপ ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। একই সাথে বিএসএমএমইউ এই দুর্যোগকালে চিকিৎসা শিক্ষা, সেবা ও বহুবিধ গবেষণার মাধ্যমে উন্নত সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করেছেন বলেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উন্নীত হতে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। সে কারণেই রাষ্ট্র পরিচালনায় রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প নাই। বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে, জনগণের মনের মনিকোঠায় বঙ্গবন্ধু ও তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা চির অমর হয়ে বেঁচে থাকবেন। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
চিরজীবী হোক মহান মুক্তিযোদ্ধার চেতনা। চির জাগ্রত থাকুক, অনির্বান শিখার মতো জ্বল জ্বল করুক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। বঙ্গবন্ধুকে স্মরণে রেখে তার নীতি-আর্দশ-ত্যাগকে কর্মে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালি জাতির পিতা, বাংলার আকাশের স্বাধীনতার লাল সূর্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ও মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, বিশ্বের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিশ্বনন্দিত জননেতা। বঙ্গবন্ধুই আমাদের মুক্তির সংগ্রাম ও মৃত্যুঞ্জয়ী চেতনা, বাঙালির আত্মার পরম আত্মীয়। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির অস্তিত্ব, আশা ও ভরসার স্থল। তিনি অন্ধকার, ঝড়, ঝঞ্জার মাঝে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাওয়ার আলোকবর্তিকা ও প্রধান শক্তি। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবসে আমাদের শপথ হোক মুজিব আদর্শকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান
অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ
কোষাধ্যক্ষ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ২৪ মার্চ ২০২১ /এমএম





