Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::  চলতি বছরের গোড়া থেকেই করোনার থাবায় সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও কার্যত অচল। এরপর মাস দুই ধরে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল এই মহামারী। সাধারণ মানুষের ধারণা ছিল নতুন বছরের আগেই মিলবে করোনামুক্তি।

কিন্তু সেই প্রত্যাশাকে ভুল প্রমাণ করে আবার হু-হু করে বাড়ছে করোনা। এবার শীত আসার আগেই ফের বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। গতকাল সোমবার দেশে বিগত ৭০ দিনের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের দিক দিয়ে এশিয়ার শীর্ষ পাঁচ ও বিশ্বে ২৪তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

একই চিত্র বিশ্বজুড়ে। প্রায় প্রতিটি দেশেই করোনা সংক্রমণের সূচক এখন ঊর্ধ্বমুখী। আর আমেরিকা-ইউরোপে বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। শীতপ্রধান দেশগুলোতে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। প্রথম দফার তুলনায় দ্বিতীয় দফায় করোনার প্রাদুর্ভাব আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। এমতাবস্থায় অনেক দেশই সংক্রমণ এড়াতে লকডাউনসহ নানা প্রদক্ষেপ নিয়েছে।

ইতালি, ব্রিটেন, লেবানন, ফ্রান্স, হাঙ্গেরিসহ বিভিন্ন দেশ ফিরে গেছে লকডাউন কিংবা কারফিউয়ে। বাংলাদেশও সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখতে কঠোর হচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় সর্বস্তরের মানুষের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে আগেই। এবার এই নিয়ম মানাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। ঢাকাসহ সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত নামিয়ে শুরু করছে জেল-জরিমানা।

স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিগত দিনের করোনা সংক্রমণের হার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল চলতি বছরের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর পর থেকেই বাড়তে শুরু করে সংক্রমণের গতি।

মে-জুন মাসে দেখা দেয় করোনা প্রাদুর্ভাবের ‘পিক’ সময়। ওই সময় প্রতিদিন ৪ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল এবং মারা গিয়েছিল গড়ে ৫০ জনের বেশি। শনাক্তের হার ছিল ২৪ থেকে ২৫ শতাংশ। অক্টোবরের শুরুর দিক থেকেই সংক্রমণ কিছুটা কমতে শুরু করে। একপর্যায়ে সংক্রমণ হার ১০-১১ শতাংশে নেমে আসে।

তবে নভেম্বরের শুরু থেকে দেশে ফের হু-হু করে বাড়তে শুরু করে করোনার সংক্রমণ। বর্তমানে দেশে করোনায় সংক্রমণের হার ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ, সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।

দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশে এই শীতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে তা আগেভাগেই ধারণা করা হয়েছিল। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গত ২০ সেপ্টেম্বর শীতে করোনার সংক্রমণ বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তখন প্রকোপ ঠেকাতে সবাইকে প্রস্তুত থাকারও আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। এখনো সারা দেশে শীত না পড়লেও গ্রামাঞ্চলে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চল ও পাহাড়ি অঞ্চলে শীত নেমেছে। ফলে অতীতের এই শঙ্কা বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করেছে।

বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালগুলোতে ক্রমশই বাড়তে শুরু করেছে রোগীর সংখ্যা। অনেক হাসপাতালেই শয্যা সংকটের কারণে রোগী ভর্তি করা সম্ভব হচ্ছে না। আইসিইউ সংকটও দেখা দিতে শুরু করেছে।

মূলত স্বাস্থ্যবিধি মানায় জনসাধারণের অনীহা আর ঢিলেঢালা সরকারি নজরদারির কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এরই মধ্যে ইউরোপের দেশগুলোসহ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হেনেছে।

পরিস্থিতি সামলাতে কয়েকটি দেশ নতুন করে লকডাউনও ঘোষণা করেছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশের আরো সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কারণ বাংলাদেশেও কিছুদিন সংক্রমণ পরিস্থিতি কিছুটা কমের দিকে থাকার পর এখন আবার বাড়ছে। তাই সংক্রমণ প্রতিরোধে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা না গেলে আবারও লকডাউনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা বলেছেন, দেশে করোনার সংকট ভয়াবহ আকারে রূপ নিচ্ছে। রাজনীতিক, সংসদ সদস্য, শিল্পীকলাকুশলীসহ অনেকেই করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু এ নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও সচেতনতা নেই।

সংক্রমণের প্রথম দিকে এই ভাইরাস নিয়ে মানুষ অনেক সচেতন ও ভয়ে থাকলেও এখন সেটি কমে গেছে। মানুষ প্রয়োজন ছাড়াই হাটেবাজারে যাচ্ছে, আড্ডা দিচ্ছে, চা-সিগারেট খাচ্ছে। অনেকের মুখের দেখা যাচ্ছে না মাস্ক, গণপরিবহনসহ বিপণিবিতান বা মার্কেটগুলোয় মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব।

কমে গেছে কিছুক্ষণ পরপর সাবান দিয়ে এক মিনিট ধরে হাত ধোয়ার প্রবণতা। কমেছে উপসর্গ থাকলে টেস্ট করানো ও পজিটিভ বলে শনাক্ত হলে আইসোলেশনে থাকাসহ অন্যান্য সতর্কতামূলক বিষয়গুলোও।

তবে করোনার সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ইতোমধ্যে সরকার ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’সহ স্বাস্থ্যবিধি মানাতে নানা প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু সরকারিভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি না থাকার কারণে মানুষ তা মানতে রাজি হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সোমবার মন্ত্রিসভার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ‘মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে দুই-তিন দিনের মধ্যে ঢাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘কোভিড নিয়ে আরো সতর্ক থাকার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীতে মাস্ক পরা নিয়ে নতুন করে অভিযান শুরু হচ্ছে।’

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এলে চিকিৎসার কোনো সমস্যা হবে না। ইতোমধ্যে চিকিৎসার সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রথম দিকে এলোমেলো অবস্থা ছিল। সেই অবস্থা আমরা কাঠিয়ে উঠেছি। অনেক অভিজ্ঞতাও অর্জন হয়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থাপনাও অনেক অগ্রগতি হয়েছে।’

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, ‘ইউরোপ-আমেরিকার মতো দেশে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ওই দেশগুলো একাধিকবার লকডাউন ও কারফিউ দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছে। তবে আমাদের দেশে শীত প্রধান দেশের মতো অবস্থা হবে না। কিন্তু প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।’

সরকারের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতি সন্তোষজনক বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি সার্বিক বিষয় মনিটরিং করছে এবং সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, করোনা সংক্রমণ আগের চেয়ে একটু বাড়ছে। তাই সবাইকে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে যা যা করার সরকারের তা-ই করতে হবে। নাহলে হঠাৎ করে সংক্রমণ বেড়ে গেলে তখন সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম ব্যবস্থা।

অন্যদিকে বিশ্বে প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দেয়া হিসাবে শনিবার গোটা বিশ্বে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৯০৫ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে এক দিনে এত মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়নি।

চলতি সপ্তাহের বেশির ভাগ দিন রেকর্ড করোনার সংক্রমণ প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ব। একদিন আগে অর্থাৎ গত শুক্রবারও ৬ লাখ ৪৫ হাজার ৪১০ হলে সেটাই ছিল সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। এর আগে দৈনিক সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড ছিল গত ৭ নভেম্বর। ওই দিন ৬ লাখ ১৪ হাজার ১৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

শনিবার নতুন করে রেকর্ড আক্রান্তের দিনে সবচেয়ে বেশি ২ লাখ ৬৯ হাজার ২২৫ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে দুই আমেরিকায়। এর আগে ওই দুই মহাদেশে এত মানুষ করোনায় আক্রান্ত হননি। প্রায় প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। গত শনি, রবি এবং মঙ্গল ও বুধবার ছিল রেকর্ড সংক্রমণ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করা হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে চীনের উহান শহর থেকে প্রথমবারের মতো প্রাদুর্ভাব ছড়ানোর পর বিশ্বের ৫ কোটি ৩৭ লাখের বেশি মানুষের দেহে সংক্রমণ ঘটিয়েছে মহামারী করোনা। এর মধ্যে ১৩ লাখের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে। পরিস্থিতি এখন আরো জটিল হচ্ছে।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক অঙ্গ সংস্থাটির প্রধান টেদ্রোস আধানম গেব্রেয়াসুসগত শুক্রবার সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘বৈশ্বিকভাবে এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে আরো অনেক দূরের পথ পাড়ি দিতে হবে আমাদের।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে এই প্রথম টানা তিন দিন বিশ্বজুড়ে ৯ হাজার ৫০০-এর বেশি মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ৯ হাজার ৯২৮, শুক্রবার ৯ হাজার ৫৬৭ এবং ৯ হাজার ৯২৪ জন। একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড অবশ্য গত ১৫ আগস্টের। ওই দিন ১০ হাজার ১২ জন কোভিড-১৯ রোগী প্রাণ হারিয়েছিল।

আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকার দুই মহাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় সংক্রমণ এখনো  দ্রুত বাড়ছে। অন্যদিকে ইউরোপকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে করোনা কিছুটা স্তিমিত হলেও সেখানে আবারও নতুন করে রোগটির প্রাদুর্ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ২১৪।

মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৫১ হাজার ৯০১ জনের। আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮ লাখ ৪৫ হাজার ৬১৭। এর মধ্যে এক লাখ ৩০ হাজার ১০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮ লাখ ৬৩ হাজার ৯৩। এর মধ্যে এক লাখ ৬৫ হাজার ৮১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিশ্বে করোনা আক্রান্ত প্রায় সাড়ে ৫ কোটি: করোনা ভাইরাসে সারা পৃথিবীতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ কোটি ৪৮ লাখ ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ সময় গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারস-এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ কোটি ৪৮ লাখ ৬৮ হাজার ২২৮। এর মধ্যে ১৩ লাখ ২৫ হাজার ১৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরইমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩ কোটি ৮১ লাখ ৬৮ হাজার ৪৮৩ জন।

সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ২১৪। মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৯০১ জনের। ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮ লাখ ৪৫ হাজার ৬১৭। এর মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার ১০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮ লাখ ৬৩ হাজার ৯৩। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ১৭  নভেম্বের ২০২০/এমএম

 


Array

এই বিভাগের আরও সংবাদ