প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: জুয়াড়িদের কাছ থেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে তা গোপন করায় গত বছরের অক্টোবরে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন সাকিব আল হাসান। গত ২৯ অক্টোবর তার শাস্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে।
করোনাকালিন সময়ে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন সাকিব। চলতি মাসে দেশে ফিরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোয়ারিন্টনে থাকার কথা ছিল তার। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দেশে ফেরার কয়েক ঘণ্টা ব্যবধানে গুলশানে একটি সুপার শপ উদ্বোধন করতে যান।
এরপর কলকাতায় কালীপূজা উদ্বোধন করতে যাওয়ার পথে এক সমর্থকের মোবাইল ভাঙেন সাকিব। এসব বিষয় নিয়েই গত কয়েকদিনের তাকে নিয়ে সবজায়গায় সমালোচনা হচ্ছে।
কালীপূজা উদ্বোধন করতে যাওয়ার কারণে ‘মহসিন তালুকদার’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে সাকিবকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়। হুমকি দেয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফেসবুক লাইভে এসে সোমবার সন্ধ্যায় ক্ষমা চান সাকিব।
ফেসবুক লাইভে সাকিব যা বললেন-
আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। আশা করি, সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। জাস্ট দুটি বিষয় ক্লিয়ার করার জন্য আপনাদের উদ্দেশ্যে এই ভিডিওটি করা। প্রথমটি, ফোন ভাঙা নিয়ে। আমি কখনোই আসলে বুঝতে পারি না, আমি অন্য একজনের ফোন ভাঙলে সেটাতে আমার আসলে কী উপকার হবে কিংবা আমি কী বেনিফিট পাব। আপনারা হয়তো ভালো অ্যান্সার দিতে পারবেন।
ফোন ভাঙা নিয়ে কথা হচ্ছে, তার ফোন আমি কখনোই ইন্টেনশনালি ভাঙিনি। যেহেতু করোনাকালীন সময়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করছিলাম, সবসময় কীভাবে নিজেকে সেফ রেখে চলাফেরা করা যায় সেটারই চেষ্টা করছিলাম। যেহেতু অনেক মানুষ ছিল সেখানে এবং অনেক ভিড় ছিল, সবাই চেষ্টাও করছিল ছবি তুলতে, আমি আসলে চেষ্টা করছিলাম তাদের কাছে না গিয়ে কীভাবে আমার কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারি। ইমিগ্রেশনের।
তো স্বাভাবিকভাবেই একজন উৎসুক জনতা একদম আমার শরীরের উপর দিয়ে এসে ছবিটি তুলতে যায় এবং আমি তাকে সরিয়ে দিতে গেলে তার হাতের সাথে আমার হাতটি লাগে এবং তার ফোনটি পড়ে যায় এবং হয়তো পড়ে ভেঙেও গিয়েছে। তো তার ফোন ভাঙার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কিন্তু আমার মনে হয়, তারও সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ছিল। স্পেশালি এই করোনার সময় আমার মনে হয়, সবারই একটু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। যতদিন এই করোনার ইফেক্টটা থাকে।
প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ১৭ নভেম্বের ২০২০/এমএম