Menu

আবারও দাবদাহ

বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: তীব্র দাবদাহে পুড়ছে রাজশাহী অঞ্চল। প্রচণ্ড রোদ আর ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা প্রাণিকূলের। একটু শীতল পরশের খোঁজে বাথানের গরু-মহিষও নেমে পড়েছে পানিতে। গতকাল পদ্মা নদীতে —আজাহার উদ্দিন

তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে দেশে। তার প্রভাবে তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। আবহাওয়া অফিস এই দাবদাহ খুব তাড়াতাড়ি কমে যাবার কোনো খবর না জানিয়ে বরং গভীর উদ্বেগের কথাই জানাচ্ছে। তারা বলছেন, এই দাবদাহ কমপক্ষে আরো আট দিন চলবে। ১৫-১৬ মের আগে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না তারা। ফলে দেশবাসীকে কমপক্ষে সাত থেকে আট দিন গরমে পুড়তে হবে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, দেশের ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, কুতুবদিয়া, রাজশাহী, পাবনা ও দিনাজপুর অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। গত সোমবার দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে যে দাবদাহ শুরু হয়েছিল তা এখন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে।

ঘূর্ণিঝড় ফণীর পরে গত সোমবার একদিনেই দেশের তাপমাত্রা ৮ থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পায়। ফলে তীব্র গরমে পুড়তে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। সেইসঙ্গে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক ইত্তেফাককে জানান, বছরের এই সময়টায় সূর্য বাংলাদেশের ওপরে খাড়াভাবে অবস্থান করে। ফলে সূর্যের আলো সরাসরি আসায় গরমের তীব্রতা বাড়ে। বছরের অন্য দিনগুলিতে সূর্যের আলো তীর্যকভাবে পৃথিবীতে পৌঁছায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশংকা রয়েছে। এর পাশাপাশি, দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে তিন থেকে পাঁচটি কালবৈশাখী এবং অন্যান্য স্থানে পাঁচ থেকে সাতটি বজ্রসহ ঝড়ের আশঙ্কা আছে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া, ঢাকায় ছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু বাতাসের আর্দ্রতার মাত্রা বেশি থাকায় মোবাইলের অ্যাপগুলোতে এই তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস অনুভূত হয়েছে। দেশের ফলে সবখানেই তাপমাত্রা যা পড়ছে বাতাসের আর্দ্রতার কারণে তা অনুভূত হচ্ছে বেশি। এছাড়া, দিন ও রাতের তাপমাত্রার তারতম্য খুব বেশি না হওয়ায় গরম অসহ্য হয়ে উঠেছে মানুষের কাছে।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ৯ মে ২০১৯/ এমএম


Array