Menu

বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: মারণ ভাইরাস কোভিড-১৯ মানুষের মাঝেই বেঁচে থাকবে আরও অনেককাল। অন্তত এখনও পর্যন্ত এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মাত্র ৪ মাসে এ ক্ষুদ্র অণুজীবটি যেভাবে পৃথিবীর গতি কেড়ে নিয়েছে, জীবন ও জীবিকাকে নির্বিচারে তছনছ করেছে, তা রীতিমতো বিস্ময়কর। আর এ ভয়ংকর জীবাণুর সঙ্গে বসবাস কীভাবে সম্ভব বা সে রণশিল্পের স্বরূপই বা কী হবে, তা মানবজাতিকে ভাবিয়ে তুলেছে। কর্মহীনতা, বাস্তুচ্যুতি, অনাহার, আত্মহত্যা, মৃত্যু কিংবা একরাশ অনিশ্চয়তা- জীবনের এমন কোনো নেতিবাচক অভিঘাত অবশিষ্ট নেই; যার সাক্ষী হয়নি কালের বিষণ্ন এ অধ্যায়টুকু।

বিগত শতাব্দী সময়ের পরিক্রমায় নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ। শুধু একাধিক মহামারী নয়, দু-দুটো মহাযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ব। মৃত্যুর মিছিল আর ধ্বংসের উন্মত্ততায় স্তব্ধ হয়েছিল সভ্যতা। মনের কোণে শঙ্কা জেগেছিল- জগতের আলো বুঝি এবারই নিভে যাবে। কিন্তু বস্তুত তা হয়নি; বরং যুদ্ধোত্তর বিশ্বব্যবস্থায় ঘটে গেছে নতুন মেরুকরণ। চিন্তার বলয়ে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন ধারণা। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে ভিন্নমাত্রা পেয়েছে। নতুন বিশ্বব্যবস্থা নতুন রাজনীতির উদ্ভব, বিকাশ এমনকি দ্বন্দ্বকেও উসকে দিয়েছে। প্রযুক্তির বৈপ্লবিক বিস্তার রূপান্তরশীল সমাজ নিয়ে মানুষের ভাবনার জগৎকেও পাল্টে ফেলেছে। তবে সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের বৈশ্বিক আকাক্সক্ষা অপূর্ণই থেকে গেছে। সম্পদের সিংহভাগ এখনও মুষ্টিমেয় মানুষের দখলে। ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের লড়াই আজও অব্যাহত। মানবজাতি ৫ম শিল্পবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে, মানসম্মত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক অধিকারের বৃত্তে বিশ্বের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী এখনও ব্রাত্য। এমন বৈষম্যদুষ্ট বৈশ্বিক পটভূমিতে করোনার এ সর্বাত্মক আগ্রাসন গোটা মানবকুলকে একটা পক্ষে দাঁড় করিয়ে এক ধরনের ঐক্যবদ্ধতার ছকে নিয়ে এসেছে। প্রান্তিক কিংবা সম্পদশালী- সবাইকে বাঁচতে হবে, টিকে থাকতে হবে সভ্যতারই স্বার্থে- এ শাশ্বত বিজ্ঞানটি উপলব্ধি করাই হয়তো এখন অনেক জরুরি।

বিশ্ব অর্থনীতি যে বড় রকমের ক্ষতির মুখে পড়েছে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এডিবি অনুমান করছে, সে ক্ষতির পরিমাণ ৮.৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। কর্মহীন হতে পারে প্রায় ৪০ কোটি মানুষ। দারিদ্র্যের বহরে নতুন করে যুক্ত হতে পারে ২০ কোটি হতভাগা মানবসন্তান। বিশ্ব অর্থনীতির এ সংকোচন আমাদের মতো দুর্বল অর্থনীতিকে আঘাত করবে- সে কথা বলাই বাহুল্য। ২০২৪-এ এলডিসি থেকে উত্তরণ কিংবা ২০৩০-এ এসডিজির অভীষ্ট অর্জন বিঘ্নিতও হতে পারে। বলা হয়ে থাকে- কোভিড লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণে ধনী-দরিদ্র বাছাই করে না; কিন্তু পরোক্ষে হলেও ভেসে উঠেছে বিভেদের ছায়া। পরিসংখ্যান বলছে- মৃত্যুর হারে আফ্রো-আমেরিকান, হিসপ্যানিক বা এশিয়ান জনগোষ্ঠীই এগিয়ে। দারিদ্র্য, অপুষ্টি ও জীবনযাত্রার নিম্নমান রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয়ের পথে বাধা। ধনী-দরিদ্রের শতাব্দী লালিত বৈষম্য সমকালীন বিশ্বে কমেনি। তবে বিশ্বের উন্নত ও সভ্য রাষ্ট্রগুলোতে শক্তিশালী সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, সম্পদশালীদের জন্য ন্যায্য কর কাঠামো এবং উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এ দূরত্বকে অনেকটাই ঘুচিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। দেখা গেছে- ইউরোপ, আমেরিকা, এমনকি সিঙ্গাপুরের মতো এশিয়ার দেশগুলোতেও প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিনামূল্যে মানসম্পন্ন চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা ভোগ করেছে; যা আমাদের মতো দেশে অকল্পনীয়। করোনাই হয়তো এ দুর্যোগ মুহূর্তে মানুষ, বস্তুজগৎ ও পরিপার্শ্বের রসায়নটা ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে।

দুর্যোগ প্রতিরোধ কমিটির এক সভার প্রাক্কালে একজন অনুজপ্রতিম জনপ্রতিনিধি আমার কাছে একটা অদ্ভুত সরল প্রশ্ন করেছিল। জানতে চেয়েছিল মার্কিন মুলুকে করোনার তাণ্ডব নিয়ে বাঙালি জনমানসে তেমন কোনো হা-হুতাশ দেখা যায় না কেন। তাহলে কি বাঙালি আবেগে মার্কিনিদের তেমন কোনো ঠাঁই নেই। অনুসন্ধিৎসায় যেমন শ্লেষ ছিল, সততাও ছিল। নিউইয়র্কে অনেক বাঙালির মৃত্যুর খবর তাকে স্মরণ করিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করি- আচ্ছা আজই যদি আবার ডিভি লটারির লাইন আমাদের রাজপথ দখল করে নেয়, সে কাতারে সে নিজে শামিল হবে কিনা। খানিকটা লজ্জা পেয়েছিল প্রশ্নকর্তা। তাকে বলেছিলাম সে লাইনে শুধু তুমি নও, ‘সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক’ বলে বাম-ডান সবাই জড়ো হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এটাই আমাদের স্ববিরোধিতা। কোভিডের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কারের সংবাদ আছে কিনা সে তথ্যের নিরাপদ উৎসস্থলও হয়তো আমাদের কাছে সেই আমেরিকা কিংবা এ যুগের একজন স্মার্ট শিশু নাসার ওয়েবসাইট হাতড়ে বেড়াবে- যদি শোনে ব্রহ্মাণ্ডের কোনো গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে- কারণ ওর বিশ্বাস এ প্রতিষ্ঠানটিই ওকে জীবনের আশ্বাস দিতে পারে। রহিত শর্মা বাংলাদেশের মাঠে ভারতের পক্ষে উৎসাহ ধ্বনি দেয়ার মতো কোনো দর্শক খুঁজে না পেলেও- এটা সত্যি যে, অসুখ-বিসুখে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের ঢল অকাতরে সীমানা পেরোতে থাকে জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে, সেই ভারতীয় চিকিৎসকদের হাতেই জীবনের সব ভার সঁপে দিয়ে। উচ্চবিত্তের মানুষ উড়ে যান সিঙ্গাপুর বা আমেরিকায়। মানবমনে বৈপরীত্যের উপাদান এভাবেই বাস করে।

ইউরোপ, আমেরিকা বা পৃথিবীর সভ্য কোনো সমাজের সঙ্গে আমাদের আরও একটা পার্থক্য আছে। বিপদগ্রস্তের প্রতি মমত্ব বা সেবার মনোভাবে তারতম্য। আমরা যতই সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের বড়াই করি না কেন, একজন রোগী যদি করোনা শনাক্ত হয়- তবে তার প্রতি আমরা যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করি- উন্নত কোনো দেশে তা কল্পনার বাইরে। প্রাচ্যের অত্যুচ্চ মূল্যবোধ এখানে নিষ্ক্রিয় কেন তা ভেবে দেখা উচিত। করোনার কথা বাদ থাক, সাধারণ ছোঁয়াচে কোনো রোগে আক্রান্ত রোগীর সেবা বা সান্নিধ্যে স্বভাবতই চিকিৎসকরা কম যেতে চান। অনেক নার্সও কুণ্ঠাবোধ করেন। শেষ ভরসা হয়- স্রেফ পরিচ্ছন্নতা কর্মী। দুর্ভাগ্যের বিষয় এ দরিদ্র, নিরক্ষর, অসহায় জনগোষ্ঠী শুধু অরক্ষিত, অনিরাপদ নয়- সামাজিকভাবেও অবহেলিত, অনেক ক্ষেত্রেই ঘৃণার পাত্র। সভ্য দেশে যা ভাবনার অতীত। চিকিৎসকরা করোনাযুদ্ধে সম্মুখসারির যোদ্ধা, বিশেষ করে তরুণ ও একাংশ প্রবীণ চিকিৎসক দিনরাত পরিশ্রম করছেন, এমনকি দেশের সেবায় প্রাণপাত করতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি। এসব চিকিৎসক বা পুলিশ সদস্যদের প্রতি জাতি কৃতজ্ঞ এবং তা সতত উচ্চারিত। কিন্তু সমাজের এ অচ্ছুত স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি সামান্য সহমর্মিতা প্রকাশের চিহ্ন এ সমাজে খুব একটা দেখা যায় না; যা একটি মানবিক সমাজের অন্তর্গত নীতির সঙ্গে ভীষণ বেমানান।

এবার আসি প্রবাসে কর্মহীনতা ও শ্রমিকদের ফিরতি স্রোত প্রসঙ্গে। করোনা গ্রাসে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্যে প্রবাসী শ্রমিকরাই সর্বাধিক। সরকার ইতোমধ্যে ৮ লাখ প্রবাসীকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে। এখানেও লক্ষণীয়, ইউরোপ, আমেরিকা বা এশিয়ার সভ্য দেশগুলোতে কর্মজীবী বাঙালিরা কিন্তু কাজ হারাচ্ছে না কিংবা রাষ্ট্রীয় সমর্থনে তাদের চিকিৎসা বা জীবন ধারণ- কোথাও সমস্যা হচ্ছে না। সোজা কথা- এদের অন্তত মানবেতর অবস্থায় দেশে ফেরত আসতে হচ্ছে না; কিন্তু অধিকাংশ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। অথচ এ অঞ্চলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিক, আত্মিক ও পারস্পরিক নির্ভরতার জায়গা ঐতিহ্যগতভাবেই মজবুত। একদিকে কাজ নেই, খাবার নেই, দেশে থাকার অনুমতিও নেই। রীতিমতো মানবিক বিপর্যয়। শ্রমিক পীড়ন বা নারী নিগ্রহের অভিযোগও এসব দেশে যত পাওয়া যায়- তার ছিটেফোঁটাও বিশ্বের উন্নত, সভ্য দেশগুলোতে শোনা যায় না। করোনা হয়তো এ দিকেও আমাদের দৃষ্টি ফেরাবে।

করোনাকাল এদেশে আরও একটা দুর্বলতার দিকে আমাদের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিয়েছে। তা হল রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিষ্ক্রিয়তা। বিরোধী দলগুলো তো মোটামুটি বক্সের বাইরে, ক্ষমতাসীন প্রতিষ্ঠানকেও নিষ্প্রভ, ম্লান মনে হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের ধান কাটা বা কোনো কোনো জায়গায় স্বেচ্ছাশ্রম বা সেবামূলক কাজে নিয়োজিত হওয়া ছাড়া বোধ হয় রাজনৈতিক তৎপরতা বিশেষ একটা চোখে পড়েনি। স্বাভাবিকভাবেই এ শূন্যস্থান পূরণ করেছে আমলাতন্ত্র; যা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয়া একটা জাতিরাষ্ট্রের জন্য সম্মানজনক নয়। বিপুল তারুণ্যের সুবিধা ভোগ করেছে দেশ। দেশের এ সংকট মুহূর্তে এমন দুর্লভ শক্তিভাণ্ডারকে শৃঙ্খলায়, মেধায় ও তেজস্ক্রিতায় সুসজ্জিত করে করোনা যুদ্ধে নেতৃত্ব নিতে পারত রাজনৈতিক দলগুলো; যা ঘটেছে ভারতের বেশ ক’টি রাজ্যে, হংকং, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম বা চীনের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতে।

কোভিড-১৯ আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের দুর্বলতা ও অদক্ষতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ, যন্ত্রপাতি ব্যবহারে সক্ষমতা বা সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে দুর্বলতা ফুটে উঠেছে। চিকিৎসাশাস্ত্রে বিশ্বে যে উন্নতি হয়েছে তার সুফল খুব কমই ভোগ করেছে এ দেশের মানুষ। বিশেষ করে গবেষণার ক্ষেত্রে আমাদের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক পিছিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রাইভেট প্রাকটিসে মগ্ন- এমনটি হয়তো অন্য কোথাও দেখা যায় না। ওষুধ কোম্পানি বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে বোঝাপড়ার অভিযোগও এদেশে বেশি। রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক গড়ে না ওঠায় চিকিৎসাপ্রার্থীরা দলে দলে দেশের সীমানা পেরিয়ে যায়। করোনাকাল দেখিয়ে দিয়েছে- সেবা বলতে আসলে যা বোঝায় তার সঙ্গে এ দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা পরিচিত নয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চমূল্যে যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে; কিন্তু তা চালানোর লোক নেই, প্রশিক্ষণও নেই। বাজেট বরাদ্দ নিয়ে হৈচৈ হচ্ছে; কিন্তু মনে হয় বরাদ্দের আকারের চেয়ে গুণগত ব্যবহার নিশ্চিত করাই এখন বেশি জরুরি।

স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শিক্ষাও দেশের জন্য খুব স্বস্তির বার্তা দেয় না। বিশেষ করে মানসম্পন্ন শিক্ষাসেবা এখন বিভিন্ন কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সাম্প্রতিককালে নানাভাবে চেষ্টা হয়েছে। কারিগরি, বৃত্তিমূলক বা বিশেষায়িত শিক্ষাকে সাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা হয়েছে। শিক্ষাবৃত্তে নারী-শিশুর সর্বাত্মক অংশগ্রহণ বা প্রযুক্তির সংযোগ কিংবা স্নাতক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির আওতায় নেয়া বিরাট সাফল্য। কিন্তু তদারকিতে গাফিলতি থেকে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যের মতো শিক্ষায়ও গ্রাম-শহরে বৈষম্য আছে। মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসছে কম। অভিভাবক ও সমাজের চাহিদাও মুনাফামুখী। এমন সন্ধিক্ষণে কোভিড-১৯ যেসব ইতিবাচক সম্ভাবনার জানালা খুলে দিয়েছে তার মধ্যে অনলাইন শিক্ষাসেবা অন্যতম। বিনামূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ সবার জন্য নিশ্চিত করে ভার্চুয়াল মাধ্যমকে যদি মূলধারায় পরিপূরক হিসেবে গড়ে তোলা যায়, তাহলে শিক্ষক প্রস্তুতি নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করবে, শিক্ষার্থী কোচিং প্যাকেজের বাইরে এসে দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করবে; যা পরিণামে তাকে আধুনিক চাহিদার বাজারে প্রাসঙ্গিক করে তুলবে।

বিবর্তনের ধারায় নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছে মানুষ। মেধা, দূরদৃষ্টি ও সংঘবদ্ধতার সহজাত শক্তি নিয়ে মানবতার বিজয় কেতন উড়েছে কালচক্রের বাঁকেবাঁকে। প্রকৃতির খেয়ালিপনা বা মানুষের আত্মমগ্নতা সভ্যতাকে বিপন্ন করে তুললেও সর্বংসহা ধরিত্রী জীবের অস্তিত্বকে আগলে রেখেছে পরম মমতায়। জীবনে আছে জ্বরা, আছে মৃত্যু; কিন্তু এখানেই জীবনের শেষ নয়, সম্ভাবনার দিগন্তরেখা ক্রমেই স্পষ্ট হয়, ঠিক জমাট অন্ধকারে উজ্জ্বল তারার মতো।

অমিত রায় চৌধুরী : সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ০৮ জুন ২০২০/এমএম


Array