Menu

বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটা …

রিডিংরুমের আলো তখনো জ্বলছে। বেশ ক’জন সেখানে পড়াশোনা করছে। এক নাগাড়ে পড়ে যাচ্ছে। কোনো থামাথামি নেই। রিডিংরুম থেকে বের হলে হলের পুরোটাই চোখে পড়ে। এই রাত সাড়ে তিনটার দিকেও দুই-একটা ছেলে হলের বারান্দায় পায়চারি করছে। দোতলার বারান্দা থেকে একজন উত্তেজিত ভঙ্গিতে ফোনে কথা বলছে। ওইদিকে ডাইনিংয়ের ছাদের এক কোণে বসে আছে একজন। সেও ফোনে কথা বলছে। একটু পরপর হাসির শব্দ আসছে। বোঝা যায়, রোমান্স জমে গেছে। হলের জীবন কত বৈচিত্র্যময়!

রাত আনুমানিক চারটে…

কোনো এক ছেলে গান ধরেছে- কখনো বুঝিনি চলে যাবে তুমি, আমাকে এভাবে কাঁদিয়ে। কোনো বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই এতো সুন্দর গান করা যায়, সেটা জানতাম না। জীবন রহস্যময়। হলের ছেলেদের জীবন আরও বেশি রহস্যময়। যে ছেলেটি সারারাত পড়াশোনা করেছে, সে হয়তো সকালে গিয়ে বন্ধুদের বলবে- আমি তো কিছুই পড়ি নাই। সারারাত বান্ধবীর সঙ্গে ঝগড়া করা ছেলেটি হয়তো সকালে গিয়েই স্যরি বলতে বলতে অস্থির হয়ে যাবে।

রাত জেগে বিরহের গান করা ছেলেটিও হয়তো সকালবেলা গায়ে পারফিউম আর চুলে জেল মেখে নতুন কারও খোঁজে বের হয়ে যাবে। এক বিরহের গান আর কতবার গাওয়া যায়। প্রতিদিন অনিয়ম করে ঘুম থেকে ওঠা ছেলেটাও একদিন খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠবে ‘অ্যটেন্ডেন্স’, ‘অ্যাসাইনমেন্ট’, ‘প্রেজেন্টেশন’ বা পরীক্ষার কথা ভেবে। অগোছালো চুলের ছেলেটি একদিন চুল পরিপাটি করে যাবে ভাইবা আছে বলে।

কত ধরনের মানুষ, সবার আলাদা আলাদা স্টাইল। কত রকমের চিন্তাধারা; কিন্ত সবার একটাই স্বপ্ন, একটাই আশা- জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া। এক সময় এই রাতজাগা, প্রেম পাগল, এলোমেলো চুলের ছেলেগুলোই প্রতিষ্ঠিত হবে। তারা দেশের জন্য কাজ করবে, মানবতার জন্য ইতিহাস রচনা করবে।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ /এমএম


Array