Menu

 

বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে উপ-নির্বাচন এবং দুই সিটি করপোরেশনের সম্প্রসারিত ১৮টি করে মোট ৩৬টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ চলছে। তবে বৃষ্টির কারণে ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা কম। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে রাজধানীতে সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপক্ষো করেই কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন ভোটাররা। যদিও সকালে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতির সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ ও আগের সিটি করপোরেশনগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হলেও এ নির্বাচনে তা ব্যবহার করছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এদিকে ঢাকার দুই সিটির প্রধান সড়কে যান চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বন্ধ রযেছে মোটরযান চলাচল। বন্ধ রয়েছে নির্বাচনী এলাকায় অন্যান্য পরিবহনও।

এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কর্মকর্তাদের সতর্কভাবে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ‘নির্বাচনে কে জয়ী হলো, সেটা আপনাদের দেখার বিষয় নয়। আপনাদের বিষয় হলো আচরণবিধি তারা কীভাবে পালন করে, সেটা দেখা। জনগণ যাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন, তিনিই হবেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আইনানুগ নির্বাচন করতে হবে।’

ডিএনসিসিতে মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ঢাকা উত্তরে মেয়র পদের উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির শাফিন আহমেদ, আম প্রতীকে এনপিপির আনিসুর রহমান, বাঘ প্রতীকে পিডিপির শাহীন খান এবং টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রহিম।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়। ঢাকা উত্তর সিটিতে মেয়র পদে নির্বাচিত হন আনিসুল হক। আড়াই বছর পর ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি লন্ডনে মারা যান। পরে ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি ইসি ডিএনসিসি উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে উচ্চ আদালতে এক রিটের কারণে নির্বাচন আটকে যায়। ওই সময় আওয়ামী লীগ বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলামকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছিল। বিএনপি প্রার্থী করেছিল তাবিথ আউয়ালকে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।

উত্তর সিটির সম্প্রসারিত ১৮ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১১৬ জন ও নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৬টি ওয়ার্ডে ৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১২৫ জন ও ৬টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ঢাকা উত্তরের ৫৪ ওয়ার্ডে ভোটার ২৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫১০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ ২২ হাজার ৭২৬ ও নারী ১৪ লাখ ২৫ হাজার ৭৮৪ জন। আর উত্তরে নতুন করে যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডে ভোটার ৫ লাখ ৭১ হাজার ৬৮৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৭৯ হাজার ৩৫ ও নারী ২ লাখ ৮২ হাজার ৬৪৯ জন।

দক্ষিণের ১৮ ওয়ার্ডে ভোটার ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫১০ জন । এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৫ হাজার ৪১৬ ও নারী ২ লাখ ৩২ হাজার ৯৪ জন।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/রাআ