Menu

বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: গতানুগতিক ধারার বাইরেই দেখা গেল নেপালকে। দেশটির জাতীয় খেলা ভলিবল। জনপ্রিয়তার শীর্ষে ফুটবল।কিন্তু এসবের বাইরে গিয়ে এসএগেমসে মশাল প্রজ্বালনের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে এসএ গেমসে চারবারের সোনাজয়ী সাবেক তায়কোয়ান্ডোকা দীপক বিস্টাকে।এমন সম্মান হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি তিনি। তাই আবেগাপ্লুত হয়ে দীপক বলেন, ‘এটা আমার জীবনের বিশেষ দিন হবে। অনেক পদক জিতেছি খেলোয়াড়ি জীবনে। কিন্তু এটা পদক জয়ের চেয়েও অনেক বড় সম্মান। যত দিন বেঁচে থাকব এই মুহূর্তটির কথা মনে রাখব।’

১৯৯৯, ২০০৪, ২০০৬ এবং ২০১০ টানা চার এসএ গেমসে তায়কোয়ান্ডোতে স্বর্ণ পদক জেতেন দীপক। এশিয়ান গেমসেও পদক রয়েছে তার। ২০০২ বুশান ও ২০০৬ দোহা এশিয়ান গেমসে দুটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন। টানা দুই এশিয়াডে পদক পাওয়া একমাত্র নেপালি ক্রীড়াবিদ তিনি।

এটাই মূলত তাকে নেপালের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ১৯৯৯ সালের পর আবার এসএ গেমসের আয়োজক নেপাল। গত দেড় দশকে নেপালের ক্রীড়াঙ্গনে দীপকের অবদানে ২০১৯ গেমসের মশাল প্রজ্বালনকারী নিয়ে আয়োজকদের গলদঘর্ম হতে হয়নি।এমন আরেকটি বিশেষ সম্মান পেয়েছিলেন তিনি ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে। অলিম্পিকে নেপাল দলের পতাকা বহন করেছিলেন। অলিম্পিকে দেশের পতাকা বহন এবং এসএ গেমসে মশাল জ্বালানো দুটিকে আলাদাভাবে দেখছেন এই কৃতী ক্রীড়াবিদ।

দীপকের কথায়, ‘দুটি সম্মানই ভিন্ন। একজন ক্রীড়াবিদের স্বপ্ন থাকে অলিম্পিকে খেলা। অলিম্পিকে আমি অংশ নিয়েছি এবং দেশের পতাকা বহন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। এসএ গেমস দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক হিসেবে পরিচিত। মশাল জ্বালানো গেমসের আনুষ্ঠানিকতা ও ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যের অংশ হওয়াটাও বিশাল গৌরবের।’

তার ক্যারিয়ারের সঙ্গে বাংলাদেশের নামটি বিশেষভাবেই জড়িয়ে রয়েছে বলে জানান দীপক। তিনি বলেন, ‘২০১০ ঢাকা এসএ গেমসেই আমার আন্তর্জাতিক শেষ স্বর্ণপদক আসে। ২০১২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আমি খেলা থেকে বিদায় নিয়েছি।’অবসর নিলেও তায়কোয়ান্ডোর সঙ্গেই রয়েছেন দীপক। এবারের এসএ গেমসে নেপালে তায়কোয়ান্ডো দলের কোচ হিসেবে থাকছেন তিনি। দীপকের স্ত্রী আয়শা সায়কাও একজন তারকা তায়কোয়ান্ডো খেলোয়াড়। এসএ গেমসে স্বর্ণ পদক রয়েছে আয়শারও।

দীপক বলেন, ‘সে (আয়শা) ভালো ক্রীড়াবিদ। মা হওয়ার পরও তার ইভেন্টে সে এখনও শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রেখেছে। আয়শা ছাড়াও আরও কয়েকটি ইভেন্টে স্বর্ণ প্রত্যাশা করছি।’নেপালে তরুণরা ভলিবল ও ফুটবলেই বেশি আকৃষ্ট হয়। সেখানে তায়কোয়ান্ডো বেছে নেয়ার কারণ জানালেন এই কৃতী ক্রীড়াবিদ, ‘আমিও ভলিবল দিয়ে খেলাধুলার জীবন শুরু করেছিলাম। ভলিবল খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়ি। পাশাপাশি দেখলাম ভলিবলে পদক সংখ্যাও কম। তায়কোয়ান্ডোতে অনেক পদক জেতা যায়। দেশের সুনাম বৃদ্ধি করার সুযোগ থাকে। এরপর থেকেই তায়কোয়ান্ডোতেই মনোযোগ দেই।’

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ /এমএম


Array