প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: ২০০৮ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতা, মামলা আর অনিশ্চয়তার মধ্যে বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে।লন্ডনে সেই যাত্রা ছিল শুধু একটি ফ্লাইট নয়—ছিল দীর্ঘ এক নির্বাসনের শুরু। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং তখন মাত্র ১৩ বছরের কন্যা জাইমা রহমান। একটি পরিবার, একটি জীবন, হঠাৎ করেই দেশছাড়া। সময় গড়িয়েছে।১৭ বছর ৩ মাস—যা প্রায় দেড় যুগ, ব্যক্তিগত জীবনে যা প্রায় এক প্রজন্ম। সেই দীর্ঘ সময়ের পর ইতিহাস যেন নিজেকে নতুন করে লিখতে শুরু করল।
বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১০টায় তারেক রহমান স্ত্রী ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে হিথ্রো বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন। কালো প্যান্ট, সাদা শার্ট, তার ওপর ক্রিম রঙের চেক স্যুট—পরিচ্ছদে কোনো আড়ম্বর নেই, আচরণে নেই কোনো তাড়াহুড়ো। কন্যাকে আগলে ধরে ধীরে ধীরে হাঁটছিলেন তিনি।চারপাশে অসংখ্য ক্যামেরার ফ্ল্যাশ, সাংবাদিকদের দৃষ্টি, ইতিহাসের ভার—সবকিছুকে উপেক্ষা করে তিনি এগিয়ে গেলেন ডিপারচার গেটের দিকে।
কোনো ভিআইপি লাউঞ্জ নয়, কোনো বিশেষ সুবিধা নয়—সাধারণ যাত্রীর সারিতেই দাঁড়ালেন তিনি।বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ১৭ মিনিটের দিকে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশে লন্ডন ছেড়েছে।এই ফেরা শুধু একজন রাজনীতিবিদের দেশে ফেরা নয়। এটি একটি নির্বাসিত জীবনের সমাপ্তি, একটি পরিবারের দীর্ঘ অপেক্ষার ইতি এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা।
তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন এমন এক সময়ে ঘটছে, যখন বাংলাদেশ রাজনৈতিকভাবে এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। ফলে তার এই ফেরা নিছক ব্যক্তিগত ঘটনা নয়—এর প্রভাব পড়বে রাজনীতির সমীকরণে, জনমনে এবং আগামীর পথচলায়।লন্ডনের শীতল আকাশ পেছনে রেখে, তিনি ফিরছেন নিজের দেশের দিকে। এই যাত্রা কেবল ভূগোলের নয়—এটি স্মৃতি, সংগ্রাম আর প্রত্যাশার দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার গল্প। বাংলাদেশ এখন অপেক্ষায়।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ /এমএম





