বাংলানিউজ সিএ ডেস্ক :: আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যায় ম্যাচ। সুযোগ সৃষ্টি আর সেই সুযোগগুলোর হাতছাড়ার মিছিলে একটা সময় মনে হচ্ছিল গোলশূন্য ড্রয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে জুভেন্টাস ও অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের ম্যাচ।
গোল পায় না তারকা খেলোয়াড়রা। ফরোয়ার্ড লাইন বসে চুপসে। জমাট রক্ষণ ভাঙার উপায় জানা ছিল না ম্যাচের শেষ অর্ধ পর্যন্ত। শেষ দিকে এগিয়ে আসলেন অ্যাথলেটিকোর দুই রক্ষণের খেলোয়াড়। উরুগুয়ের মারিয়া হিমেনেস লক্ষ্যভেদ করলেন। খানিকবাদেই স্বদেশি দিয়েগো গদিন ব্যবধান দ্বিগুন করেন। শেষ ১২ মিনিটের ঝড়ে বড় পরাজয়ের স্বাদ পেল জুভেন্টাস।
স্পেনে ফিরে হারের তিক্ত স্বাদ পেলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। চ্যাম্পিয়নস লিগের মঞ্চে রোনালদোর জুভেন্টাসকে ২-০ গোলে হারিয়েছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে অ্যাথলেটিকোর মাঠে গতকাল হেরেছে জুভেন্টাস।
রিয়াল মাদ্রিদ থেকে রোনালদোকে জুভেন্টাসে উড়িয়ে আনা হয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাতে। কিন্তু ইউরোপীয়ান এ লড়াইয়ে রোনালদো যেন নিষ্প্রাণ, নিষ্প্রভ। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চারটি এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে একবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন সিআর সেভেন। টুর্নামেন্টে সবথেকে বেশি গোলের মালিকও রোনালদো, ১২১। কিন্তু জুভেন্টাসের জার্সিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে সেভাবে মেলে ধরতে পারছেন না রোনালদো। ছয় ম্যাচে মাত্র গোল পেয়েছেন একটি, নিজের অভিষেকেই ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে পেয়েছিলেন লাল কার্ড।
গতকাল অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে সাতটি শট নিলে অন টার্গেটে ছিল মাত্র একটি। ম্যাচের শুরুতেই তার নেওয়া দূর পাল্লার ফ্রি কিক ফিরিয়ে দেনন ওবলাক। এরপর একাধিক সুযোগ তৈরি করেছিলেন। সতীর্থদের দিয়েও গোল করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অ্যাথলেটিকোর জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারেননি পর্তুগিজ তারকা। ম্যাচের শেষ প্রান্তেও হেডে গোল করার সুযোগ এসেছিল তার। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় অ্যাওয়ে গোলের স্বাদ পাওয়া হয়নি রোনালদোর।
গোলশূন্য প্রথমার্ধে স্বাগতিকদের থেকে এগিয়ে ছিল জুভেন্টাস। কিন্তু বিরতির পর অন্য রূপ নিয়ে ফেরে অ্যাথলেটিকো। একের পর এক আক্রমণে জুভেন্টাসের রক্ষণ কাঁপিয়ে তোলে তারা। জুভেন্টাস যতটা না আক্রমণ ফেরাতে পারছিল তার থেকেও বেশি সুযোগ হাতছাড়া করছিল অ্যাথলেটিকোর খেলোয়াড়রা। ৫০তম মিনিটে জুভেন্টাসের গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি দিয়েগো কস্তা। এরপর গ্রিজম্যানের শট ফিরে আসে বারপোস্টে লেগে।
৭৮তম মিনিটে প্রথম গোলের স্বাদ পায় অ্যাথলেটিকো। জুভেন্টাসের ডি বক্সের ভেতরে জটলা থেকে বল পেয়ে তা আলতো ছোঁয়ায় জালে পাঠান হিমেনেস। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে ডানপায়ের কোনাকুনি শটে জুভেন্টাসের জালে দ্বিতীয় গোলটি করেন গদিন।
১২ মার্চ জুভেন্টাসের মাঠে আবার দুই দল মুখোমুখি হবে। জুভেন্টাস শেষ চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে। কোয়ার্টার ফাইনালে টিকিট পেতে দ্বিতীয় লেগে জিততেই হবে সিরিআ লিগের শিরোপাধারীদের। নয়তো রোনালদো, জুভেন্টাসের অপেক্ষা আরও বাড়বে।
বাংলানিউজসিএ/ইএন/২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ইং