প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: ম্যাচের আগে পরিষ্কার ফেভারিট ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনার সঙ্গে জয়, দারুণ গোল স্কোরিং ফর্ম জানান দিচ্ছিল, অ্যানফিল্ডে জিততেই বুঝি পা রেখেছে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। ওদিকে শেষ আট ম্যাচের ৬টাতেই হেরেছিল লিভারপুল।তবে ম্যাচে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। শুরু থেকে রিয়াল আক্রমণে ত্রাস ছড়িয়েছে লিভারপুল। এতটাই যে থিবো কোর্তোয়া না থাকলে অন্তত ৪ বা ৫ গোল খেয়ে হারতে হতো সফরকারীদের।
রিয়ালের কাছে লিভারপুলের এমন জয়ের পেছনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে ৩টি বিষয়। কী সেগুলো? চলুন দেখে নেওয়া যাক–
মাঝমাঠের দখল
লিভারপুল শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়। আর এই নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পেছনে তাদের সাহায্য করেছে মাঝমাঠের দখল। মিডফিল্ডে আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার ছিলেন দলের সেরা খেলোয়াড়। ম্যাচের একমাত্র গোলটিও আসে তার মাথা থেকে। কিন্তু গোলের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল তার বুদ্ধিদীপ্ত খেলা। তিনি বল দখলে রাখার পাশাপাশি রিয়ালের আক্রমণ ভাঙতেও ছিলেন দুর্দান্ত।
বোতলবন্দি ভিনি
রাইটব্যাকে তরুণ কনর ব্র্যাডলির পারফরম্যান্সও ছিল অসাধারণ। তিনি ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে প্রায় পুরো সময় নিয়ন্ত্রণে রাখেন। যার ফলে রিয়ালের বাম পাশ থেকে আক্রমণই গড়ে ওঠেনি। ওদিকে ব্র্যাডলি এই সুযোগ নিয়ে আক্রমণেও বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেন।
গোলমুখে ব্যর্থ এমবাপ্পে-বেলিংহামরা
রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে ও বেলিংহাম ছিলেন নিষ্প্রভ। ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ বলের দখল রেখেছিল ৬১ শতাংশ সময়। তবে গোলের প্রকৃত সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। এমবাপ্পেদের মোট ‘এক্সজি’ বা প্রত্যাশিত গোল ছিল মাত্র ০.৪৫, যা দেখায় দলটা আক্রমণে কতটা দুর্বল আক্রমণ ছিল। এই সবকিছুর যোগ ফলে অ্যানফিল্ডে রিয়ালের নাভিশ্বাস উঠেছে গত রাতে।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ০৫ নভেম্বর ২০২৫ /এমএম





