বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: আমাদের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রতিকূলতার সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয়। ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়। সেই সঙ্গে মানুষসৃষ্ট বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সমাজ তথা রাষ্ট্রের উন্নয়ন হচ্ছে বাধাগ্রস্ত। অনেক অসাধু মানুষ নিজেদের আখের গোছানোর জন্য বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করছে।এর প্রভাব পড়ছে আমাদের সমাজ তথা রাষ্ট্রের ওপর। যুবসমাজ প্রতিনিয়ত ধ্বংসের দিকে পা বাড়াচ্ছে। বিভিন্ন ক্লাবে ক্যাসিনো বা জুয়ার আসর বসানো হয়েছে। মাদকের ছড়াছড়ি চারদিকে।
এদের প্রশ্রয় দিচ্ছে কিছু প্রভাবশালী মানুষ। এর ফলে যুবসমাজ হচ্ছে ধ্বংস। অনেক মানুষ হচ্ছে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন কার্যক্রমে জনজীবন হচ্ছে বিপর্যস্ত।সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। এ অভিযান সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ুক। যারা অন্যায়-অবিচার করছে, তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
সমাজে বার্তা দেয়া হোক- আপনি যত বড় ক্ষমতাশীল হোন না কেন, অন্যায় করে পার পাবেন না। আমরা সাধারণ মানুষ, আমরা চাই একটু শান্তিতে বসবাস করতে। চাই অন্যায়-অবিচারমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র, যেখানে কেউ কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করবে না, সবাই মিলেমিশে বসবাস করবে। সবাই এগিয়ে আসবে প্রিয় মাতৃভূমিকে শুদ্ধ করতে।শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে মাতৃভূমিকে শুদ্ধ করতে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সন্ত্রাসী-অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। রাজনীতিকদের এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক সম্রাটদের প্রশ্রয় না দিয়ে এদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
অনেক সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ আছে, যারা রাজনীতিকদের প্রশ্রয় পেয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। কারণ কিছু খারাপ রাজনীতিকের কারণে তারা অনেক অন্যায় করেও পার পেয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি পায়, আইনের ফাঁকফোকর পায়। তাই রাজনীতিকদের সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় বন্ধ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমরা সাধুবাদ জানাই।তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন শুদ্ধি অভিযানের। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে একা কিছু করা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য, সংসদ সদস্য, দেশের রাজনীতিকদের মাতৃভূমিকে শুদ্ধ করার কাজে নেমে পড়তে হবে।
এভাবে সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে শুদ্ধ হোক প্রিয় মাতৃভূমি। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বসবাসযোগ্য মাতৃভূমি আমরা দেখতে চাই, যেখানে অন্যায়-অবিচার, মাদক, ছিনতাই-রাহাজানি থাকবে না; সুখে-শান্তিতে বসবাস করবে সবাই।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ০১ অক্টোবর ২০১৯/এমএম