প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কোটা আন্দোলন এবং সহিংস ঘটনার ভেতর মানুষ বেশ উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটিয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এলেও অনিশ্চয়তা কাটেনি। এরই মধ্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বেশ কয়েকটি বার্তা দিয়েছেন, যা নতুন করে সংগঠিত হওয়ার ইঙ্গিত বহন করে। শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠানো বার্তাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, যারা যে স্থানে আন্দোলন করেছে, তারা যেন নতুন করে সংগঠিত হয়, ফেসবুকে ক্ষোভ না ঝেড়ে মাঠের প্রস্তুতি নেয়। হত্যা ও হামলায় সরাসরি জড়িত সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিত করে রাখার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থী হত্যা ও গুম-খুনের বিচার, মামলা প্রত্যাহার এবং সব ক্যাম্পাস থেকে চিরতরে সন্ত্রাসী রাজনীতির উৎখাতের দাবিতে দফাভিত্তিক আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা জানানো হয়েছে। এছাড়াও তারা প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে অনুরোধ করে বার্তা দিয়েছেন। বার্তাটি হলো, ‘প্রবাসীরা আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ক্র্যাকডাউন ও হত্যা-নিপীড়নের ঘটনা প্রচার করুন এবং দেশে আন্দোলনরত ছাত্র-নাগরিকদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়ান।’ অতএব বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের এ বার্তা আন্দোলন পুনঃজাগরণের প্রস্তুতিপর্ব বলেই প্রতীয়মান হয়।
ওদিকে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও সরকার যে খুব বেশি স্বস্তিতে নেই বোঝা যাচ্ছে। এ কারণেই হয়তো, এ লেখা যখন লিখছি, তখন পর্যন্ত সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে সম্পূর্ণ ব্যারাকে ফিরিয়ে নিয়ে ইন্টারনেটও পুরোপুরি চালু করতে পারছে না। যদিও ইন্টারনেট নিয়ে সরকারের অন্য ভাষ্য আছে। আন্দোলন চলাকালে ১৬ জুলাই রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে পুলিশ সরাসরি বুকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করার পর, সে দৃশ্য দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও সে ভিডিও দেখানো হয়। ফলে, আন্দোলন দমনে পুলিশের এ আচরণ নিয়ে শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও সমালোচনার ঝড় ওঠে। সরকারও এ ঘটনায় বেকায়দায় পড়ে যায়। ওদিকে এ বর্বরোচিত ঘটনার পর আন্দোলন আরও তীব্র হয়। তারপর থেকেই ইন্টারনেট ব্যবহারে বিঘ্ন ঘটতে থাকে। গ্রাহকরা দারুণ ভোগান্তিতে পড়ে যান। সরকারি নির্দেশে ইন্টারনেটের গতি এত কমিয়ে দেওয়া হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবু সাঈদের ওই ভিডিওসহ কোনো কনটেন্টই খুলে দেখা যাচ্ছিল না। ১৮ জুলাই তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, আন্দোলনে গুজব এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য সাময়িকভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকার সম্ভবত আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডের ভিডিওসহ আন্দোলনকে প্রভাবিত করতে পারে এমন কনটেন্ট অপসারণের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিল। তারা সরকারের অনুরোধ অগ্রাহ্য করে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব ও টিকটকের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ হয়েছে; তার ভাষায়, ‘বিতর্কিত কনটেন্ট’ অপসারণ নিয়ে তাদের প্রাইভেসি পলিসি সন্তোষজনক নয়। তিনি তাদের হুমকি দিয়ে বলেন, এরপর তাদের কারণে যদি একটি প্রাণহানিও ঘটে, তাহলে এসব কোম্পানিকে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি অবশ্য বলেন, আমরা আশা করছি, খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারব। তারপরও ইন্টারনেট চালু হয়নি। এভাবে ১৯ জুলাইও অতিবাহিত হয়। ২০ জুলাই হঠাৎ করেই সরকারের তরফ থেকে বলা হলো, ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালী ডেটা সেন্টারে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। ফলে, বন্ধ হয়ে যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। বৃহস্পতিবার অগ্নিসংযোগের কারণে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেলেও পরদিন না জানিয়ে আরও একদিন চলে যাওয়ার পর শনিবার এ অগ্নিসংযোগের কারণে ইন্টারনেট খোলা যাচ্ছে না বলে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক যে বক্তব্য দেন, সে বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে মানুষ সন্দেহ করেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ মুঠোফোন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেছেন, যে ভবনে আগুন লেগেছে বলে বলা হচ্ছে, সেখান থেকে সারা দেশের ব্রডব্যান্ডের মাত্র ১০ শতাংশ সরবরাহ করা হয়। তাই, শুধু ওই ভবনে আগুনের কারণে ইন্টারনেট বন্ধ হয়নি। চলমান পরিস্থিতিতে ইচ্ছাকৃতভাবে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। এরপর গণমাধ্যমে খবর হয়, দুর্বৃত্তদের হামলায় দেশের আরও কয়েকটি স্থানে ডেটা সেন্টার, আইএসপি এবং অপটিক ফাইবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এজন্য দেশব্যাপী পাঁচদিন ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। শোনা যাচ্ছে, ২৮ জুলাই নেট খুলে দেওয়া হতে পারে। ওদিকে ফেসবুকের ওপর রাগ করে নেট বন্ধ করে দিলেও মন্ত্রিপরিষদেরই একজন প্রতিমন্ত্রীর ফেসবুক ব্যবহারের তথ্য খবরের কাগজে প্রকাশিত হয়েছে। অথচ প্রতিমন্ত্রী পলক বলেছিলেন, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রাণহানি ও সহিংসতার ঘটনার জন্য ফেসবুক দায়ী।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ও সহিংসতা নিয়ে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীকে বেশ সরব দেখা যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই তাদের কারও না কারও বক্তব্য খবরের কাগজে দেখা যায়। এর মধ্যে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের দুটো বক্তব্য অনেকেরই খটকা লেগেছে। প্রথমেই নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে আসি। তিনি ২৫ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দর চত্বরে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের সময় বিরোধী দলের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, কোটা সংস্কার যখন শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে যাচ্ছিল, তখনই ঢাকা শহরে অগ্নিসন্ত্রাস, তাণ্ডব ও জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটল। এমনকি পুলিশের ড্রেস পরে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পোশাক পরেও সেদিন নিরীহ ছাত্রদের আক্রমণ করে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। প্রতিমন্ত্রী কীসের ভিত্তিতে এ কথা বলেছেন তিনিই জানেন। তার কাছে নিশ্চয়ই প্রমাণ আছে। তিনি প্রমাণসহ যদি এ বক্তব্য দিতেন, তাহলে ভালো হতো। কারণ, আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি আক্রমণের অনেক ভিডিও এখনো ইন্টারনেটে ভেসে বেড়াচ্ছে। কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে শোনা যায়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন ঘটনা যদি ঘটেই থাকত, তাহলে পুলিশের তরফ থেকে অথবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে এতবার টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে এলেন, কই একবারও তো তিনি এ কথা বলেননি! বরং পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর যে বর্বর আচরণ করেছে, তা নিয়ে দেশে এবং দেশের বাইরে এখনো সমালোচনা চলছে। প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ার আগে একবার খেয়াল করা উচিত ছিল এটি ডিজিটাল যুগ। তথ্যপ্রমাণ ছাড়া এদেশের মানুষ এখন আর তাদের কথা বিশ্বাস করতে চান না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও অনেক সময় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের মতো বেফাঁস কথা বলে ফেলেন। একে আবদুল মোমেন একবার ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে ‘স্বামী-স্ত্রীর’ সম্পর্ক বলে প্রচুর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। আমাদের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রীও গত মাসে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের আগে এমন একটি মন্তব্য করে সমালোচকদের কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে ভারতকে রেল করিডর ও তিস্তা প্রকল্প দেওয়ার চুক্তি নিয়ে মানুষ যখন সমালোচনামুখর, ঠিক সে সময় ‘প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে ভারতের কোনো আপত্তি নেই’ মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ শুধু নিজ দলকে বেকায়দায় ফেলেননি, একইসঙ্গে ভারতকেও লজ্জায় ফেলে দিয়েছিলেন। এবার তিনি নতুন এক মন্তব্য করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি স্থাপনা দেখানোর পর ঢাকায় এক সংবাদ ব্রিফিংকালে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের লসঅ্যাঞ্জলেসসহ বিদেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ মিশনের সামনে বিক্ষোভে প্রবাসী পাকিস্তানিরা অংশ নিয়েছেন বলে দাবি করেন। এ কথা বলে তিনি এটাই প্রমাণ করতে চেয়েছেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র এসব বিক্ষোভ আয়োজনে পাকিস্তানিদের সহায়তা নিয়েছে। অথচ, পাকিস্তান সরকারের কাছে এ প্রসঙ্গটি তোলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সাংবাদিককে বলেন, প্রবাসী পাকিস্তানিরা অংশ নেওয়ার বিষয়ে দেশটির সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়নি। মন্ত্রীদের এ ধরনের সস্তা রাজনৈতিক বক্তব্য মানুষ আজকাল আর নিতে চান না। এ ধরনের হালকা কথা বরং মানুষের কাছে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাকেই নষ্ট করে।
ওদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও পিছিয়ে নেই। তিনি এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সব দায়ভার বিএনপি-জামায়াতের কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে নিজেদের হাত সাফ করার চেষ্টা করছেন। ২৫ জুলাই দলের ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রদল, শিবির ও উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠীর সুইসাইড স্কোয়াড অনুপ্রবেশ করে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপিয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, ‘পুলিশ’ ও সাধারণ মানুষ হত্যায় অংশ নিতে পারেন না। তিনি এখন যে কথাই বলুন না কেন, তার কথায় কতটুকু সত্যতা আছে, তা দেশের জনগণই বিচার করবে। সমস্যা হলো, আমাদের মন্ত্রী-মিনিস্টাররা ভাবেন, তারা যা বলেন, মানুষ তাই বিশ্বাস করে অথবা তারা চান, তারা যা বলবেন, মানুষকে তা-ই বিশ্বাস করতে হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে একক কোনো আন্দোলনে এত বেশি আন্দোলনকারী খুন হয়নি। এমনকি পাকিস্তানি জান্তা আইয়ুব ও ইয়াহিয়া খানের শাসন আমলেও নয়। এ আন্দোলনে দুই শতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এ দুই শতাধিক হত্যাকাণ্ডের মধ্যে কেবল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডের কথাই যদি ধরা যায়, ওবায়দুল কাদের কী জবাব দেবেন? আবু সাঈদকে পুলিশ যেভাবে গুলি করে হত্যা করেছে, তা শুধু মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দখলদার পাকিস্তানি নরঘাতকদের বাঙালি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেই তুলনা চলে। ওবায়দুল কাদেররা এখন নিজেদের দোষ মোচনের জন্য যে কথাই বলুন না কেন, আবু সাঈদের মার মতো, এ আন্দোলনে সন্তানহারা শত মায়েরা যদি সমস্বরে চিৎকার করে বলে ওঠেন ‘তুই মোর ছাওয়াক মারলু ক্যানে,’ তখন কী জবাব দেবেন তিনি? মায়েদের বুকের অন্তর্জ্বালা নেভাতে পারে, এমন জবাব কি আছে ওবায়দুল কাদেরের কাছে?
গত কয়েকদিনে প্রধানমন্ত্রী সহিংসতায় সরকারি ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করেছেন। একইসঙ্গে তিনি সহিংসতায় আহত ব্যক্তিদের দেখতে হাসপাতালে যান। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অত্যন্ত বেদনাদায়ক অবস্থা, আজকে এতগুলো মানুষ আহত-নিহত। আমি কখনোই চাইনি এভাবে মানুষ আপনজন হারাবে, এভাবে মৃত্যুর মিছিল হবে এটি কখনো চাইনি।’ তিনি সহিংসতার জন্য বিরোধীপক্ষকে দোষারোপ করে এ বিষয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন। এ দেশের মানুষও চায় এ সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত হোক। একইসঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাঝপথে সমন্বয়কারীদের রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে গুম করে যারা শারীরিক ও মানসিক টর্চার করেছে, তদন্তের মাধ্যমে তাদের পরিচয়ও উন্মোচন করা হোক। এ ছাড়া আন্দোলন দমনে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের যেসব নেতাকর্মীকে মারণাস্ত্রসহ দেখা গেছে, তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। উল্লেখিত বিষয়গুলো সরকার নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে যদি নিশ্চিত করতে পারে, তাহলে যে ক্ষতি হয়ে গেছে তার কিছুটা হয়তো লাঘব করা সম্ভব হবে। আর তা না হলে, ভবিষ্যতে যদি আরও বিপজ্জনক কিছু ঘটে, তার সব দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।
একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ২৯ জুলাই ২০২৪ /এমএম