Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::  ঈদের ছুটি শেষে কর্মজীবী মানুষেরা ঢাকা ফিরতে শুরু করেছেন। তবে ঈদ যাত্রায় ফিরতি ট্রেন-লঞ্চ ও বাসে যাত্রীর চাপ খুব বেশি নেই। এ জন্য অনেকটা স্বস্তিতে ফিরছে মানুষ। স্কুল ছুটি থাকায় অনেকে পরিবারকে রেখে একাই ঢাকা ফিরছেন। অন্যদিকে ঈদের আগে যারা বাড়ি যেতে পারেননি তারা অনেকে এখন ঢাকা ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, সদরঘাট লঞ্চ স্টেশন, গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাসটার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঈদ যাত্রা শেষে ফিরতি মানুষের থেকে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের উপস্থিতি বেশি। অধিকাংশ মানুষই ঢাকা ছেড়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। কেউ কেউ আবার টিকিট সংগ্রহ করতে ব্যস্ত। রাজগঞ্জ থেকে এসেছেনে বেসরকারি সংস্থার কর্মচারী লালন হোসেন। তিনি জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা পরিবারসহ। তবে ছুটি তাড়াতাড়ি শেষ হওয়ায় পরিবারের অন্যদের রেখে এসেছি, এখান থেকে সরাসরি অফিসে চলে যাবে। অফিস শেষ করে বাসায় ফিরবো।

পাবনা থেকে আসা সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবার ঈদে মাত্র চার দিনের ছুটি পেয়েছিলেন। ছুটি শেষ করে বাড়ি থেকে ফিরলাম। কম ছুটিতে তাড়াহুড়া হয়ে যায়। পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না। তারপরও কর্মের কারণেতো ইচ্ছেমতো ছুটি কাটানো সম্ভব হবে না। ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে কথা হয় নাটোরগামী নাজমুস সায়াদাতের সঙ্গে। তিনি জানান, একটি সেবা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। আমাদের অফিসে একবারে সবাইকে ছুটি দেওয়ার সুযোগ নেই। গত ঈদে আমি ছুটি কাটানোয় এই ঈদে আগে ছুটি পাইনি। আজ থেকে অন্যদের ডিউটি শুরু হয়েছে, আর আমরা যারা ঈদে ডিউটি করেছি আমাদের ছুটি হল। এখন ছুটি না কাটালে পরে আর ছুটি পাওয়া যাবে না। এজন্য গ্রামে যাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার সকালে সদরঘাট লঞ্চ ঘাটেও একই অবস্থা দেখা গেছে। স্বস্তিতে নির্বিঘ্নে ঢাকায় ফিরছে ঈদে গ্রামে যাওয়া মানুষেরা। যাত্রীর তেমন চাপ নেই। লঞ্চ ঘাটেও ঈদে যারা যেতে পারেননি তারা এখন গ্রামে যাচ্ছেন। বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ যাচ্ছেন ভোলা। যুগান্তরকে জানান, কোম্পানি ফ্যাক্টরী দেখাশোনার জন্য ছুটির সময়ে কাউকে না কাউকে দায়িত্বে থাকতে হয়। একেক ঈদে এক গ্র“প ছুটি পাই এবং অন্যগ্র“প দায়িত্ব পালন করে। গত ঈদে আমার ছুটি ছিল, সেবার ঈদের আগে গ্রামে গিয়েছিলাম। আর এবার ঈদে আমি ডিউটি করেছি অন্যরা ছুটি কাটিয়েছে। এখন ঈদের ছুটি শেষে অন্যরা ফিরেছি এবং আমরা যারা দায়িত্ব পালন করেছি, তারা ছুটিতে যাচ্ছি। এখনো ঈদের আমেজ রয়েছে, গ্রামে গেলে সময়টা ভালোই কাটবে।

যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ, গাবতলী এবং মহাখালী বাসটার্মিনাল ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঈদে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষেরা ঢাকা ফিরছে। তবে খুব বেশি ভিড় নেই। এসব স্পটেও ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। ঢাকায় ফেরা ও ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের উপস্থিতি সমান সমান মনে হয়েছে। এদিকে ঈদের ছুটির পর অফিস খুললেও বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও ঢিলেঢালা চলেছে। তেমন কোনো কাজ হয়নি। কুলশ বিনিময় এবং কে এসেছে, কে আসেনি, কবে আসবে। এমন আলাপ-আলোচনায় দিনপার হয়েছে। আগামী সপ্তাহের কমপরিকল্পনা, মিটিং কি করা যায় সেসব নিয়ে কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ হয়েছে। অফিসগুলোতে মানুষের উপস্থিতিও অনেক কম ছিল। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরেও বাইরে মানুষের উপস্থিতি খুবই কম দেখা গেছে। আগামীকাল (শুক্রবার), শনিবারও অফিস বন্ধ থাকবে। রবিবার থেকে অফিসগুলো পুরোদমে জমে উঠবে। তখন শহরে মানুষের উপস্থিতিও বাড়বে। দোকানপাট, শপিংমল এবং গণপরিসরগুলোও জমে উঠবে।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ২০ জুন ২০২৪ /এমএম


Array