Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: কাঁচামরিচ, আলু, পেঁয়াজ, মাছ ও ডিমের দামও চড়া। অসহায় মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে আরও বেড়েছে শাক-সবজি, মসলা, আদা-রসুনসহ আরও বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। তবে চাল, ডাল ও আটা-ময়দার দাম আগের মতোই স্থিতিশীল। কিছু কিছু পণ্যের দাম বাড়ার পেছনে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবকেই কারণ হিসেবে বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। বিশেষত, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছে শাক-সবজির বাজারে।

বিক্রেতারা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ে কৃষকের সবজি ক্ষেতের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এতে বাজারে সরবরাহ কমেছে। এ কারণে দামও বাড়তি। তবে তাদের এ ধরনের ব্যাখ্যাকে অজুহাত বলছেন ক্রেতারা। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর শ্যামলী ও মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজার ঘুরে বাজারের এ চিত্র দেখা গেছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ও হিমাগারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে আলুর দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় কাঁচামরিচসহ অন্যান্য সবজির দাম বাড়তি। মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছরের মাঝামাঝি থেকে বাড়তে শুরু করে আলুর দাম। আমদানির আলু আসার পর দাম কিছুটা কমে। তবে চলতি মৌসুমে আলুর দাম তেমন কমেনি। ওই বাজারের ব্যবসায়ী খলিল রহমান বলেন, হিমাগারের গেটে পাইকারিতে প্রতি কেজি আলু কিনতে হচ্ছে ৪২ টাকায়। এরপর পরিবহন ও লেবার খরচ আছে। ৫৫ টাকার কমে আলু বিক্রি করলে লাভ থাকে না। এদিকে, সরবরাহ ঘাটতির অজুহাতে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক মাস ধরে কাঁচামরিচের বাজার চড়া। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে এবং ফলন তুলনামূলক কম হওয়ায় চলতি মাসে পণ্যটির দাম দ্বিগুণ হয়েছে। অথচ দুই সপ্তাহ আগেই কাঁচামরিচের কেজি ছিল ১০০ টাকা। যা গত সপ্তাহে দ্বিগুণ হয়ে ২০০ টাকায় উঠে। দীর্ঘদিন ধরেই চড়া ডিমের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনপ্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। বাজারে এখন প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকায়। হালি হিসেবে কিনতে গেলে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা। কোথাওবা ৬০ টাকাও রাখা হচ্ছে। এছাড়া সাদা রঙের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকায়। বাজারের তুলনায় অলিগলির দোকানে দাম আরও কিছুটা বেশি। এসব দোকানে ডিমের ডজন এখন ১৬০ টাকায় ঠেকেছে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে মাংসের বাজার। রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি ব্রয়লার ২০০-২২০ টাকা এবং সোনালি জাতের মুরগি ৩৫০-৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ টাকা আর খাসি মাস ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। বাজারে এখন মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। প্রতি কেজি দেশি রসুন ২০০-২২০ টাকা এবং আমদানি করা চায়না রসুন ২২০- ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহে আদার দাম কেজিতে বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। মানভেদে প্রতি কেজি দেশি বা বিদেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পড়েছে শাক-সবজির বাজারে। বিক্রেতারা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ে কৃষকের সবজির অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে সরবরাহ কিছুটা ব্যাহত হওয়ায় কিছু সবজির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া টমেটো সপ্তাহের ব্যবধানে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাঝারি আকারে লাউয়ের দাম প্রতি পিসে ১০-২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। বাজারে এসেছে নতুন কচুরমুখি। এ পণ্যটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৮০ টাকায়, পেঁপে ও শসা ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে ও শসার দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা।

অপরদিকে তেলাপিয়া কিংবা পাঙাশ, কার্ফু কিংবা ব্রিগেড সব মাছের দামই বাড়ন্ত। তারপরও মধ্যবিত্তের বাজারের ব্যাগে কমবেশি মাছ উঠলেও নিম্ন মধ্যবিত্তের দীর্ঘশ্বাস মাছ বাজারে হাঁক-ডাকেই মিলিয়ে যাচ্ছে। একটু বড় সাইজের পাঙাশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকায়, তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২২০ টাকায়। মধ্যবিত্ত শ্রেণি মাছের স্বাদ নিতে পারলেও নিম্নবিত্ত কিংবা শ্রমজীবী মানুষজন কেনার কথা চিন্তাও করতে পারছেন না।

গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সরেজমিনে রাজধানীর নিউমার্কেট এবং আশপাশের কাঁচাবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হরেক রকমের এবং ভিন্ন-ভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় মাছের ব্যাপক সমাহার। রুই, কাতলা, ইলিশ, গলদা চিংড়ি, বাগদা চিংড়ি, হরিণা চিংড়ি, কার্ফু, নলা, কই (দেশি), কৈ (থাই), শিং, মাগুর, শৈল, টেংরা, পাঙাশ, তেলাপিয়া, কাচকি, মলা, পাবদা, রূপচাঁদা, আইড়, শিং, টাকি, বোয়ালসহ বাজারজুড়ে অসংখ্য মাছ উঠেছে। তবে এসব মাছ একদামের ঘরে আটকে আছে। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি কেজি বড় রুই মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, মাঝারি রুই ২৬০-২৯০ টাকা, রুই মাছের পোনা ২০০-২৫০ টাকা, কাতলা ৩০০-৩৫০ টাকা, বড় পাঙাশ ২০০-২৫০, ছোট পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, পাবদা (আকারভেদে) ৪০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি (আকারভেদে) ৬৫০-৭৫০ টাকা ও শিং মাছ (দেশি ও থাই) ৩০০-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার ছোট, মাঝারি, বড় ইলিশ যথাক্রমে ৭০০-৮০০, ১০০০-১৩০০ ও ১৪০০-২০০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ছোট মাছও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। কাঁচকি মাছ ৩০০ টাকা, মলা মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, কৈ মাছ ৩৬০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে সামুদ্রিক মাছের মধ্যে সুরমা, রুপচাঁদা, লাল কোরাল এবং বাটা মাছ ২০০-১২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারভেদে এসব মাছের দাম ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত কমবেশি হতে দেখা গেছে। রুহুল আমিন নামের এক মাছ বিক্রেতা বলেন, সামনে মাছের দাম আরো বাড়ার সম্ভবনা আছে। কারণ, বন্যার কারণে দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ মাছের ঘের ভেসে গিয়েছে। যার প্রভাব এখন বাজারে পড়বে। মাছের দাম আগে যেমন ছিল আজও তেমন আছে। হয়তো ছুটির দিন হিসেবে পাঁচ-দশ টাকা এদিক সেদিকে হচ্ছে।

শরিফুল ইসলাম নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, গতকাল শুক্রবার দিন আমরা বেশি করেই মাছ রাখি। কারণ সবাই ছুটির দিন হিসেবে একটু বেশি কেনাকাটা করে। অনেকেই পুরো সপ্তাহের কেনাকাটা করে রাখে। বিক্রিও ভালোই হয়। আর দামও আগের মতোই আছে। তবে সবকিছুর দাম যেমন বেশি মাছের দাম একটু বেশি। মাছ চাষেও এখন অনেক বেশি খরচ। তারপর ঢাকায় আনার পরিবহন খরচও বেশি। সবমিলিয়ে ঢাকার সব খুচরা বাজারগুলোতেই বাড়তি দামের প্রভাব একটু রয়েছে। অপরদিকে ক্রেতারা বলছেন, একটু ভালো এবং বড় সাইজের মাছ নিতে হলে দেড় হাজার টাকার নিচে নেয়া যাচ্ছে না। সেটা রুই হোক আর কাতলা হোক। আর পাঙাশ মাছ একটি নিতে গেলেও ৫০০-৭০০ টাকার উপরে দাম পড়ে যায়। সেজন্য এখন মাছ ভাগ হিসেবে কেনার সুযোগ থাকা দরকার। হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, মেসের জন্য বাজার করতে এসেছি। এখন মাথা ঘুরিয়ে যাচ্ছে। এক মাছ কিনেই মনে হচ্ছে সব টাকা শেষ হয়ে যাবে। তেলাপিয়া আর পাঙাশ ছাড়া অন্য কোনো মাছ কেনার সাহস করতে পারছি না। দাম এমন বেশি হলে আমাদের মতো শিক্ষার্থী বা মেসের বাসিন্দাদের মাছ খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে। বাশার আহমেদ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ঢাকার অধিকাংশ বাজারগুলোতে মাছ বলতে রুই, কাতলা, ইলিশ মাছই। আর আছে পাঙাস এবং তেলাপিয়া। সবকিছুর যেমন বাড়তি দাম তেমনি মাছেরও একই অবস্থা। সেজন্য যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী কমবেশি কিনে চালিয়ে নিতে হচ্ছে। তবে রমজান মাসে যেমন বিভিন্ন জায়গায় সাশ্রয়ী দামে সরকারিভাবে মাছ-মাংস বিক্রি হয়েছিল এখনও যদি মাসে অন্তত একবার এই ব্যবস্থা করা যায় তাহলে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য ভালো হয়।

আলুই বেশি খেতাম, এখন খাব কী?: বেশি করে আলু খান, ভাতের ওপর চাপ কমান’ এ রকম একটি সেøাগান একসময় বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। কেননা তখন চাল-ডাল ও অন্যান্য সব সবজির তুলনায় আলুর দামটাই কম ছিল। তবে, সেই প্রেক্ষাপট এখন অনেকটাই পাল্টে গেছে। বাজারে যে আলুর দাম থাকতো সবসময় ২০ থেকে ২৫ টাকা, সেই আলুই এখন সবকিছু ছাপিয়ে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল রাজধানীর বাড্ডা এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে আলুর দামের এই চিত্র দেখা গেছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারিতেও ঢাকার বিভিন্ন বাজারে ৩০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি হয়েছে। এরপর ঈদুল ফিতরের পর থেকেই বাড়তে শুরু করে দাম। তিন মাসের ব্যবধানে বর্তমানে সাধারণ ডায়মন্ড আলুর দাম প্রতি কেজি ৬০ টাকা। অলি-গলির দোকানপাটে কোথাও আবার এই আলুই বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজিতে।

এছাড়া, লাল গোল আলু ৭০ টাকা এবং জাম আলু খ্যাত লাল ও লম্বা আলুর কেজি ৮০ টাকা ছাড়িয়েছে। ক্রেতারা বলছেন, কারসাজি করে বাজারে আলুর সংকট দেখিয়ে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বিপরীতে খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে আলুর সংকট থাকায় নতুন করে দাম বেড়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশে আলুর বাড়তি দামের কারণে আমদানিও কমে গেছে।

বাজার করতে আসা মোহাম্মদ আল আমিন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বাজারে প্রায় প্রতিটি পণ্যেরই দাম ঊর্ধ্বমুখী। যে কারণে মাসের খাবার খরচ বেড়েছে প্রায় অর্ধেক। কিন্তু আমাদের আয় তো বাড়েনি। দুইটি টিউশনি করিয়ে আগে যা পেতাম, এখনও তাই পাই। কিন্তু যেভাবে সবকিছুর দাম বাড়ছে, তাতে আমাদের মতো মানুষদের কিছুই কিনে খাবার উপায় নেই। তিনি বলেন, খরচ কমানোর জন্য আগে অন্যান্য সবজির চেয়ে আলুটাই বেশি খেতাম। এখন দেখি অন্য সবকিছুর চেয়ে আলুর দামই বেশি, তাহলে আমরা এখন খাব কী?। বাজারে আলুর ঊর্ধ্বমুখী দাম প্রসঙ্গে মো. কবির হোসেন নামের এক বিক্রেতা বলেন, বেশি দামে আলু কিনে তো আর কম দামে বিক্রির সুযোগ নেই। পাইকারি বাজারেই আলুর দাম বেশি। হয়তো এই সিজনে আর আলুর দাম কমবে না। কমার কোনো লক্ষণও নেই। তাহলে কি দাম বাড়তেই থাকবে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাজারে নতুন আলু না আসা পর্যন্ত হয়তো দামটা আরেকটু বাড়তে পারে। তবে, আমদানি বাড়লে আবার দাম কমেও আসতে পারে। জসিম উদ্দিন নামক এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, আমাদের স্বল্প বেতনে প্রতিদিন মাছ বা মাংস খাওয়া যায় না। কিন্তু সবজির দামও যদি এমন বাড়তি যায়, তাহলে এটা খাওয়াও কমিয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, বাজারে সব ধরনের সবজিতে ভরপুর। কোনও সংকট নেই। তারপরও ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে দাম বাড়িয়ে দেয়। সবজির দাম প্রসঙ্গে বিক্রেতা সায়েদুল ইসলাম বলেন, কিছু জিনিসের দাম শুক্রবার এলে এমনিতেই বেড়ে যায়। যেমন, শসা অন্যান্য দিনে ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি করি, কিন্তু শুক্রবারে ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি করি। শুক্রবার গাজরের চাহিদাও বাড়ে, যে কারণে দামটাও বাড়ে। অন্যান্য সবজির দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ার দামটা একটু বাড়তি। গরম কমলে সামনে দাম কিছুটা কমতে পারে। শ্যামলী নতুন কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা শাহজাহান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সবজি খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাজারে সবজির ঘাটতিও রয়েছে। এ কারণে দাম একটু বেশি। এছাড়া পটোল, ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা, ঝিঙে ও করলা আগের মতোই ৬০ টাকা বা এর আশপাশের দামে কিনতে পারছেন ভোক্তারা।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ০১ জুন ২০২৪ /এমএম