প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: আজ সারাদেশের বেশ কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি হওয়াতে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমে এসেছে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে তা আরও প্রশমিত হয়ে সারাদেশে বৃষ্টির দাপট থাকবে। এরই মধ্যে চোখ রাঙানি দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিম বাংলা ও বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়ার অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। চলতি মাসের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর নামকরণ করেছে ওমান। আরবিতে যার অর্থ বালি। অবশ্য এই নামে ফিলিস্তিনের গাজা থেকে ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দূরে একটি শহরও রয়েছে। এবার ধেয়ে আসতে পারে সেই ‘রেমাল’। তবে কতটা ভয়াবহ হবে সেই ঝড়, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগর তো বটেই, আরব সাগরেও একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২২ মে নাগাদ আরব সাগর এবং ২৩ মে নাগাদ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। কারণ নিম্নচাপের শক্তি বৃদ্ধির জন্য যে শর্তগুলো রয়েছে, তার মধ্যে বেশ অনেক শর্তই অনুকূল রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির শনিবার (১৮ মে) বিকেলে গণমাধ্যমকে জানান, সাধারণত মে ও জুন মাসে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় ২০ তারিখের পরবর্তী সময়ে একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। এটি আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হওয়ার আগ পর্যন্ত এর গতিবিধি ও প্রভাব সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাবে না। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সার্বক্ষণিক নজর রাখছে।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে, ভারতের তামিলনাড়ুর দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলের কাছাকাছি একটু ঘূর্ণিবার্তা হওয়ার প্রক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আগামী সাত দিনে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মে মাসে বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। সুন্দরবনের কারণে সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিল দেশের উপকূল। এর আগে ২০০৯ সালের মে মাসেই সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল প্রলয়ঙ্করী আইলা।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ১৯ মে ২০২৪ /এমএম





