প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: যশোর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়ছে জনজীবনে। টানা তাপপ্রবাহের কারণে কোথাও কোথাও গরম বাতাস তথা লু হাওয়া বইছে। যা চোখ মুখ ও শরীর ঝলসে দেয়। ফলে দেশজুড়েই সাধারণ মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এটি দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এর আগে ১৯৭২ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বাংলাদেশের ইতিহাসের রেকর্ড সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। একই দিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল যশোরের আগে রেকর্ড হওয়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এর আগে দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায়। সে সময় জেলার তাপমাত্রা ওঠে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মঙ্গলবার সেই তাপমাত্রা ছাড়াল চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে। গত সোমবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ৩০ এপ্রিল ২০২৪ /এমএম





