Menu

বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: আধুনিক যুগের সব বিস্ময়কর আবিষ্কারের মধ্যে অন্যতম স্মার্টফোন। সময়ের সঙ্গে যেমন নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়; তেমনি স্মার্টফোনগুলো দিনে দিনে পরিবর্তিত হচ্ছে। আজকাল প্রায় সবার হাতেই স্মার্টফোন।

এই স্মার্টফোন মানুষের জীবনযাত্রা অনেকটা সহজ করে দিয়েছে। আজকাল মুহূর্তের খবর মুহূর্তেই হাতে আসছে; কিন্তু কথায় আছে, খারাপ গুজব বাতাসের আগে দৌড়ায়। এমনটাই ঘটছে স্মার্টফোনের বদৌলতে।

শুধু সঠিক তথ্য নয়, অনেক ভুল তথ্য জেনেও সহজে বিভ্রান্ত হচ্ছি আমরা। আজকাল অধিকাংশ মানুষই হয়ে উঠছে প্রযুক্তিনির্ভর। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কথাই ধরা যাক। যারা এখন তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাববে, আজ তারা প্রযুক্তির নেশায় আসক্ত হয়ে মূল্যবান সময়ের অপচয় করছে। ঠিকমতো পড়াশোনা করার সময়টুকু তাদের নেই; দিনরাত ব্যস্ত ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা মেসেঞ্জার নিয়ে।

আমেরিকায় সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, একজন শিক্ষার্থী গড়ে ১০ ঘণ্টা ফোন ব্যবহার করে প্রতিদিন বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে যতগুলো তথ্য আদান-প্রদান করে, তত কথা তারা সারাদিনে কারও সঙ্গে বলে না।

আরও একটি গবেষণায় তারা তথ্য দিয়েছে, আমেরিকায় প্রতি ৫ জন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর মধ্যে ৩ জনই ৬০ মিনিটের বেশি একবারও ফোন চেক না করে থাকতে পারে না। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মও কোনো অংশে কম নয়। বিবিসি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ৬০টি দেশের ওপর জরিপ চালিয়ে যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে, সেখানে বলা হয়েছে- সাইবার নিরাপত্তার দিক দিয়ে সবচেয়ে অনিরাপদ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। তাহলে আমরা কতটা ঝুঁকিতে আছি, ভাবার বিষয় নয় কি?

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আধুনিকতার খারাপ দিকগুলোই আমরা বেছে নিচ্ছি। ইন্টারনেটের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনছি। British Chiropractic Association-এর মতে, গত কয়েক বছরে তরুণ সমাজের মধ্যে ব্যাকপেইনসহ মেরুদণ্ডের নানা সমস্যা নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে। তারা আরও যেসব সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন, তার মধ্যে মাইগ্রেন সমস্যা, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন ইত্যাদি অন্যতম।

তাই আমাদের উচিত, সময় থাকতে প্রযুক্তির ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসা। প্রযুক্তি আমাদের ব্যবহার করবে না; বরং আমরাই প্রয়োজন অনুযায়ী প্রযুক্তিকে ব্যবহার করব- এমন প্রতিজ্ঞা করা উচিত।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯/ এমএম


Array