Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::‌ মাঘের শেষে দেশের বিভিন্ন স্থানে ফের বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। শুক্রবার ১৯ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ছিল। তবে রাজধানীসহ দেশের সর্বনিু তাপমাত্রা বৃহস্পতিবারের চেয়ে এদিন বেড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এমন অবস্থা আর বেশি দিন থাকবে না। আজ থেকেই একটু একটু করে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তবে দেশের তিন বিভাগে তাপমাত্রা আবার কমতে পারে।শুক্রবার দেশের সর্বনিু তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিনও দেশের সর্বনিু তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়াতেই, ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ এবং কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জেলার সংখ্যা ১৬। সেই অনুযায়ী দেশের ১৯ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ ছিল এদিন।অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, তাপমাত্রা আজ থেকে একটু একটু করে বাড়তে থাকবে। অবশ্য চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের তাপমাত্রা একটু কমতে পারে।

তীব্র শীতে পাবনার চরাঞ্চলে দুর্ভোগ : পাবনা প্রতিনিধি জানান, দুই মাস ধরে তীব্র শীতের পর মাঝে এক সপ্তাহ তাপমাত্রা কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ছিল। বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা আবারও কমতে থাকে। শুক্রবার জেলার ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে তাপমাত্রা ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। তীব্র শীতে বিশেষ করে পদ্মা-যমুনাবেষ্টিত চরাঞ্চলের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। নি¤œবিত্ত ও দিনমজুরদের আয়-রোজগার কমে গেছে। অনেকের শীত নিবারণের পর্যাপ্ত পোশাকও নেই। এদিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব হাসপাতালে কমপক্ষে ২৫০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গায় জনজীবন বিপর্যস্ত : দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি জানান, শুক্রবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় এক মুরগি ব্যবসায়ী বলেন, ফের তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। গ্রাম থেকে খুব সকালে শহরে মুরগি বিক্রি করতে যেতে হয়। তীব্র শীতের কারণে পা চলে না। এক দিনমজুর বলেন, কনকনে শীত। সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস। ভোরে কৃষিকাজের জন্য মাঠে এসেছি। ঠান্ডায় হাত-পা যেন অবশ হয়ে গেছে।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, শীতজনিত কারণে রোটাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশুরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এছাড়াও নিউমোনিয়া রোগী বাড়ছে।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ /এমএম