বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ একটি বৃষ্টিপ্রবণ এলাকা। আমাদের গড় বৃষ্টিপাতের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ হয় জুন থেকে অক্টোবর মাসে।মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের ছোট-বড় সব শহরেই কমবেশি জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। চলতি বছর ভারি বর্ষণের ফলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের প্রধান প্রধান সড়কে প্রায় কোমর পর্যন্ত পানি উঠে যায়।
প্রায় প্রতিবছর বর্ষায় জলাবদ্ধতার সমস্যা পোহাতে হবে, এটা যেন সবাই মেনে নিয়েছে। অথচ আমাদের একটু সচেতনতাই পারে অস্বাভাবিক জলাবদ্ধতা থেকে অনেকাংশে মুক্তি দিতে।বৃষ্টির পানি যদি সঠিকভাবে ড্রেনের মাধ্যমে নদীতে চলে যেতে পারে, তাহলেই এ জলাবদ্ধতা দূর হয়ে যাবে। আমাদের শহরগুলোয় প্রয়োজনের তুলনায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা খারাপ; কিন্তু যেগুলো আছে, আমাদের অসচেতনতার ফলে সেগুলো দিয়েও সঠিকভাবে পানি যেতে পারে না।
সারা বছর আমরা বিভিন্ন পানীয় বোতল, খাবারের প্যাকেট, পলিথিন ইত্যাদি যত্রতত্র ফেলে ড্রেনগুলো আবর্জনা দ্বারা পরিপূর্ণ করে রাখি। এর ফলে বৃষ্টির পানি আটকে থাকে।
আমরা কথায় কথায় বিভিন্ন উন্নত দেশের উন্নত শহরগুলোর কথা বলে বেড়াই এবং বলি- সেসব শহরে কোনো জলাবদ্ধতা নেই। আমাদের জানা দরকার, সেসব দেশ ও শহরের মানুষজনও যথেষ্ট সচেতন।সরকার হাজার চেষ্টা করেও জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধান করতে পারবে না, যদি সাধারণ নাগরিকরা সচেতন না হয়।
আমাদের ফেলে রাখা ময়লা-আবর্জনাই জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ- এ বোধটুকু নাগরিকদের মধ্যে থাকতে হবে; তাহলেই জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারি উদ্যোগ সাফল্য পাবে এবং আমরা পাব জলাবদ্ধতামুক্ত সুন্দর শহর।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ৩১ আগস্ট ২০১৯ / এমএম