অবশেষে নিঃসঙ্গতা ঘুচল শিবনারায়ণ চন্দরপলের! ২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে শেষ বলে ৬ রানের সমীকরণ মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিতিয়েছিলেন চন্দরপল। চামিন্ডা ভাসের ওভারে শেষ ২ বলে ১০ রান নিয়েছিলেন মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
কাল ওমানের আল আমেরাতে হল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে শেষ বলে ৬ রান দরকার ছিল আয়ারল্যান্ডের। আগের বলে রান নিতে ব্যর্থ স্টুয়ার্ট পয়েন্টার মেরে দিলেন ছক্কাই। শেষ বলের এই ছক্কায় মাত্র ১ উইকেটে জেতে আইরিশরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে শেষ বলে ৬ রানের সমীকরণ মিলিয়ে দলকে জেতানোর উদাহরণ এই দুটিই।
চন্দরপল ও পয়েন্টার শেষ বলে প্রয়োজন মিটিয়েছেন ৬ রানের। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষ বলে ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়েছেন আরও পাঁচ ব্যাটসম্যান। যাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত তো ১৯৮৬ সালে অস্ট্রেলেশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদের সেই ছক্কা। শেষ বলে ৪ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের, চেতন শর্মার ফুল টসে ছক্কা মেরে দেন মিয়াঁদাদ।
এরপর এই দলে যোগ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ল্যান্স ক্লুজনার ও রায়ান ম্যাকলারেন, জিম্বাবুয়ের ব্রেন্ডন টেলর এবং ভারতের দিনেশ কার্তিকের নাম। ২০০৬ সালে ওয়ানডেতে টেলর ও ২০১৮ সালে টি-টোয়েন্টিতে কার্তিকের দলের শেষ বলে দরকার ছিল ৫ রান। দুবারই প্রতিপক্ষের নাম বাংলাদেশ।
জাভেদ মিয়াঁদাদ (শারজা, ১৯৮৬)
কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করতেই যেন বেশি ভালোবাসতেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। পাকিস্তানের ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান ম্যাচের শেষ বলে ছক্কা মেরে ১৯৮৬ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে দেশকে এনে দিয়েছিলেন অবিস্মরণীয় এক জয়। ছিয়াশির এপ্রিলে অস্ট্রেলেশিয়া কাপের ফাইনালের শেষ ওভার ছিল ওটা। ভারতীয় পেসার চেতন শর্মার শেষ বলটিতে পাকিস্তানের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪ রানের। মোটামুটি বল করা শর্মা শেষ বলটি ফুলটস দিয়েই সর্বনাশ করেন। উইকেটে জমে থাকা মিয়াঁদাদ ফুলটসটি লং অনের ওপর দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন। পাকিস্তান জিতল ইতিহাসের প্রথম অস্ট্রেলেশিয়া কাপ। ইতিহাসেও জায়গা করে নিল মিয়াঁদাদের সেই ছক্কা।