বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: পাখি আর প্রকৃতি-এ যেন এক ভ্রাতৃত্বের মেলবন্ধন। কত স্বচ্ছ জীবন তাদের! সৃষ্টিকর্তার এ সৃষ্টির প্রশংসার জন্য যেন কোনো উপমাই যথেষ্ট নয়।দুঃসহ জীবনের ক্লান্তি, বিভীষিকাময় সব স্মৃতি, মনের অভিলাষ, অব্যক্ত ভাষা- সবকিছু ছাপিয়ে জীবন রাঙিয়ে তুলতেই প্রকৃতি আমাদের দান করেছে এই পাখি।
আমাদের মনের অলিন্দে আসন গেঁড়ে বসা সব বিষণ্ণতা দূর করার জন্য প্রকৃতির অনন্য দান পাখি। প্রকৃতির এই উপহার যারা গ্রহণ করতে চান, তাদের জন্য পাখি পালন হতে পারে আদর্শ।প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ বন্যপ্রাণীকে ভালোবেসে নিজেদের আয়ত্বে আনার চেষ্টা করেছে। এ ভালোবাসার সঙ্গে বাড়তি মাত্রা যোগ করে বর্তমানে আয়ের অন্যতম উৎসে পরিণত হয়েছে পোষা পাখি।
পোষা পাখির বিভিন্ন জাতের মধ্যে বাজরিগার, ককাটেল, কাকাতোয়া, লাভ বার্ড, প্রিন্স, রিংকনেক, কুনোর ম্যাকাও রয়েছে। এছাড়া ঘুঘু ও কবুতরেরও রয়েছে বিশেষ চাহিদা।পাঁচশ’ থেকে লাখ টাকার এসব পোষা পাখির মধ্য থেকে আপনি আপনার পছন্দেরটি বেছে নিতে পারেন।পোষা প্রাণীদের মধ্যে পাখিরা ভীষণ সংবেদনশীল। একেবারে দুগ্ধপোষ্য শিশুর মতো যত্ন না নিলে একদিন পাখি উড়ে যেতে পারে। এই উড়ে যাওয়া মানে মৃত্যু।ফলে পাখি পোষার আগে আপনার হাতে যথেষ্ট সময় এবং মনে যথেষ্ট ভালোবাসা আছে কিনা যাচাই করুন। সব ঠিক থাকলে পাখি কিনুন দেখেশুনে। কথা বলুন বড় বড় ব্রিডারদের সঙ্গে। পাখি বিক্রেতাদের কাছ থেকেও নিতে পারেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ।
আপনার পাখির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন। পাখি সামাজিক প্রাণী হিসবে কথা বলতে সক্ষম। পাখিকে কথা বলতে শিখানোর পূর্বে তার সঙ্গে ভালো সম্পর্কে গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ; যাতে সে আপনাকে বিশ্বাস করে এবং আপনার ভয়েস শুনতে অভ্যস্ত হয়।প্রথম কয়েক মাস পাখিকে যথেষ্ট পরিমাণ সময় দিতে হবে, পাখির স্বরে স্বর মিলিয়ে কথা বলতে হবে এবং খেলা করতে হবে। পাখি পালনে আগ্রহীদের প্রথমেই পরিকল্পনা করতে হবে।এরপর রুটিন অনুযায়ী সব কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। একইসঙ্গে পাখিদের প্রশিক্ষণের সংক্ষিপ্ত শব্দের ব্যবহারও শিখতে হবে।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ১৭ আগস্ট ২০১৯ / এমএম