Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::‌ বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিত রায় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে পঞ্চাশের মন্বন্তরের ওপর ভিত্তি করে ১৯৭৩ সালে ‘অশনি সংকেত’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। ১৩৫০ বঙ্গাব্দে (১৯৪৩ খ্রি.) দুই বাংলায় দুর্ভিক্ষের করাল থাবা বিস্তৃত হয়ে লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করায় সেই দুর্ভিক্ষের নাম হয়েছিল পঞ্চাশের মন্বন্তর।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন চাল, ডাল, তেল, নুন সবকিছুর মূল্য আকাশচুম্বী হয়ে পড়ায় সেসব পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেলে লাখ লাখ মানুষ অনাহারে প্রাণ হারিয়েছিল। কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় শত শত মানুষের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। খাদ্যাভাবে সারা বাংলার মানুষ দীর্ঘদিন বন জঙ্গলের কচু-ঘেঁচু, শাকপাতা খেয়ে প্রাণধারণ করতে গিয়ে বিভিন্ন রোগে রোগাক্রান্ত হওয়াসহ অপুষ্টির কারণে মারা গেলেও যুদ্ধকালীন ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে খাবার সরবরাহ করে সেসব মানুষের প্রাণরক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

সে সময়ে ব্রিটিশ ভারতের দুই বাংলায় ছয় কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ অনাহার, অপুষ্টি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশসহ চিকিৎসার অভাব ইত্যাদি কারণে মৃত্যুবরণ করে। তাছাড়া সারা বাংলার অর্ধেকেরও বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়ায় সামাজিক কাঠামোও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। এ কারণে চালের দোকান ও গুদাম লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছিল। আর সত্যজিৎ রায় সেসব ঘটনাই তার চলচ্চিত্রে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। আমাদের বাংলাদেশের স্বনামধন্য অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতাও সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।

সম্ভবত ১৯৭৪ সালে সে চলচ্চিত্রটি আমিও দেখেছিলাম। কিন্তু স্মৃতি প্রতারণার কারণে চলচ্চিত্রের সেসব ঘটনা এখন আর সঠিকভাবে মনে নেই। তবে চালের অভাবে স্কুলের একজন পণ্ডিতের থলি হাতে এখানে-সেখানে ঘোরাঘুরি করা, চালের দোকান লুট হওয়া, অভুক্ত মানুষের রাস্তায় মরে পড়ে থাকা, কোনো গৃহবধূকে পর্যন্ত একজন লম্পট বা সামন্তপ্রভুর কাছে আত্মসমর্পণের ঘটনায় সাঁঝবেলায় তাকে পরিত্যক্ত ইটভাটায় ডেকে নিয়ে সেখানে আধঘণ্টা রেখে তার শাড়ির আঁচলে কিছু চাল ধরিয়ে দেওয়া ইত্যাদি কিছু ঘটনার দৃশ্য এখনো মনে আছে। আর সেসব কারণেই দুর্ভিক্ষের নাম শুনলেই গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।

আমি পঞ্চাশের মন্বন্তর না দেখলেও ১৯৭৪ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখেছি। এ সময়ও দুর্ভিক্ষের কারণে অনাহারে অনেক মানুষ মারা গেছে, সরকারি হিসাবে যার সংখ্যা ২৭ হাজার; আর বেসরকারি হিসাবে এক লাখ। তাছাড়া দুর্ভিক্ষের প্রভাবে সে সময়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আরও বহু মানুষ মৃত্যুমুখে পতিত হন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ’৭৪-এর দুর্ভিক্ষের সময়ও চালের অভাব দেখা দেওয়ায় এক লাফে চালের মূল্য বেড়ে গিয়ে তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিল।

আর একশ্রেণির মুনাফাখোর এবং মজুতদারের কারসাজিতে ধান-চালের মজুতদারি এবং চোরাচালানির কারণে দেশে খাদ্যশস্যের প্রকট অভাব দেখা দিয়েছিল। তাছাড়া খাদ্যশস্য মজুতে সরকারি অব্যবস্থাপনা, ব্যাপক দুর্নীতি, প্রতিবেশী দেশে খাদ্যশস্য চোরাচালানসহ বিতরণ ব্যবস্থায় ব্যর্থতা ইত্যাদি কারণগুলোকেও চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের অন্যতম কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।

১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ নিয়ে গবেষণায় পাওয়া বিশেষজ্ঞদের অভিমতে দেখা গেছে, সে বছর খাদ্যশস্যের স্থানীয় উৎপাদন ছিল সর্বোচ্চ। ফলে কেবল খাদ্যশস্যের অপ্রতুলতাই দুর্ভিক্ষের কারণ ছিল না; বরং বাজারে খাদ্যশস্যের ওপর আধিপত্য বিস্তারসহ ব্যাপক দুর্নীতিও এজন্য বিশেষ দায়ী ছিল। আর অভ্যন্তরীণ এসব অব্যবস্থা, দুর্নীতি ছাড়া বাহ্যিক যে কারণটি দুর্ভিক্ষের জন্য দায়ী ছিল, তা হলো-যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক প্রতিশ্রুত ২.২ মিলিয়ন টন খাদ্য সহায়তা যথাসময়ে প্রদান না করা।

কারণ, যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দিয়েছিল, ‘কিউবায় বাংলাদেশের পাট রপ্তানি বন্ধ না করলে যুক্তরাষ্ট্র খাদ্য সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দিতে পারবে না।’ এ অবস্থায় আমেরিকার চাপের মুখে বাংলাদেশ কিউবায় পাট রপ্তানি বন্ধ করে দিলেও অতঃপর খাদ্য সহায়তা দেরিতে পৌঁছানোর কারণে মার্চ থেকে শুরু হওয়া দুর্ভিক্ষ ডিসেম্বর ’৭৪ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

আগেই বলেছি, পঞ্চাশের মন্বন্তর আমি স্বচক্ষে না দেখলেও ’৭৪-এর দুর্ভিক্ষ আমি স্বচক্ষে দেখেছি। পঞ্চাশের মন্বন্তরের কারণ ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সে সময়ে জাপান কর্তৃক সিঙ্গাপুর ও বার্মা (মিয়ানমার) দখল করে নেওয়ায় যুদ্ধ ভারতের দ্বারপ্রান্তে এসে গিয়েছিল এবং কলকাতাতেও বোমাবাজি শুরু হয়ে গিয়েছিল। তখনকার সময়ে দুই বাংলার মানুষের প্রধান খাদ্য চালের অধিকাংশই বার্মা থেকে সরবরাহ করা হতো। কিন্তু জাপান কর্তৃক বার্মা দখলের পর সে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চালের ভীষণ অভাব দেখা দেয়। আর সেই সুযোগে মজুতদার মহাজনরাও গুদামের চাল অন্যত্র সরিয়ে ফেলে ছয় টাকা মন দরের এক মন চালের দাম একলাফে বাড়িয়ে প্রথমে দশ-বার টাকা এবং তারপর ত্রিশ-চল্লিশ টাকায় নিয়ে ঠেকায়! এতে দরিদ্ররা তো বটেই, নিুমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের পক্ষেও চাল কিনে ভাত খাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে।

আর দীর্ঘদিন এ অবস্থা অব্যাহত থাকার পরিপ্রেক্ষিতে দরিদ্র শ্রেণির মানুষ অনাহার-অপুষ্টিতে মৃত্যুবরণ করতে থাকায় দুই বাংলার মানুষই পরিবার-পরিজন নিয়ে কলকাতা পানে ছুটে যায় এবং সেখানে গিয়েও খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবে তাদের প্রাণ হারাতে হয়। কারণ, অনাহারক্লিষ্ট এসব মানুষের ঢল সামলানো বা তাদের খাদ্যের জোগান দেওয়া কলকাতার পক্ষেও সম্ভব ছিল না। এতে কলকাতার রাস্তাঘাটে ঘুরেফিরে সেখানকার অট্টালিকাবাসীর ভাতের মাড় ড্রেনে গড়ানোর পাইপের মুখে সানকি পেতে ধরে কখনো সেসব খেয়ে বেঁচে থাকার বৃথা চেষ্টা করে শিশুসন্তান, পরিবার-পরিজনসহ একসময় সেসব মানুষ রাস্তার ওপরই মরে পড়ে থাকত। আর এসব কথা জেনেশুনে এবং বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ’৭৪-এর দুর্ভিক্ষ স্বচক্ষে দেখার পর দুর্ভিক্ষের কথা শুনলে বা কল্পনা করলে স্বভাবতই মনটা ভারী হয়ে ওঠে।

পঞ্চাশের মন্বন্তর এবং চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ নিয়ে খানিকটা আলোচনার কারণ হলো, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বর্তমান পৃথিবীর অন্যান্য স্থানে টানটান উত্তেজনা। রাশিয়া-ইউক্রেন ছাড়াও চীন, তাইওয়ান, দুই কোরিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কোনো কোনো রাষ্ট্রনায়ক যুদ্ধংদেহী মনোভাব প্রদর্শন করে চলায় বিভিন্ন দেশের সামরিক খাতে ব্যয় বরাদ্দ বেড়ে চলেছে। সামরিক মহড়ার নামে তারা নতুন নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, বোমা বিস্ফোরণ ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের সামরিক শক্তির প্রমাণ দেখিয়ে চলেছেন। যে ক্ষেত্রে শুধু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেই সারা বিশ্বে খাদ্য ও জ্বালানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে, সে ক্ষেত্রে চীন যদি তাইওয়ান আক্রমণ করে বসে, তাহলে পৃথিবীর মানুষের অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সে বিষয়টি সহজেই অনুমেয়।

কারণ, খাদ্য এবং জ্বালানির পাশাপাশি চীনের উৎপাদিত পণ্যসহ অন্যান্য দ্রব্যের সরবরাহ স্বল্পতা শুরু হলে গোটা পৃথিবীতেই হাহাকার শুরু হয়ে যাবে। যাক সে কথা। আপাতত চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গেই ফিরে আসি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যে সহজে থামবে না, সে কথাটি অনায়াসেই বলে দেওয়া যায়। কারণ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ন্যাটো জোট বিরাট ফাঁদে ফেলে দিয়েছে। অস্ত্রসহ অর্থের জোগান দিয়ে ইউক্রেনের মানুষদের ব্যবহারের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটো জোট যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ধ্বংস হচ্ছে ইউক্রেন; সৈন্যসহ নিহত হচ্ছেন হাজার হাজার ইউক্রেনীয় নাগরিক। আর যেহেতু এটি একটি যুদ্ধ, তাই কম-বেশি রাশিয়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলেছে। এ অবস্থায় রাশিয়াকে কিছুটা বেকায়দায় ফেলতে পারায় ন্যাটো জোট এবং তাদের মুরুব্বি আমেরিকাও খুশি। আমেরিকা এবং তার শরিকরা তাদের পুরোনো অস্ত্রশস্ত্র ইউক্রেনে পাঠিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তা ব্যবহার করায় এ যুদ্ধ কতকাল চলবে তা বলা মুশকিল। কারণ, এসব বিষয়ে আমেরিকার পুরোনো ইতিহাস ভালো নয়।

এবার নিজের দেশের কথায় ফিরে আসি। পঞ্চাশের মন্বন্তর এবং চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের কারণে আমাদের দেশের মানুষই করুণ পরিণতির শিকার হয়েছিলেন। আর সে দুটি ঘটনার একটি ছিল যুদ্ধকালীন এবং অপরটি যুদ্ধ-পরবর্তী। লেখাটির শেষাংশে আমাদের দেশের ’৭৪-এর দুর্ভিক্ষের কথাটিই আবারও স্মরণ করে এবং স্মরণ করিয়ে লেখাটির উপসংহার টানতে চাই। কারণ, আমার নিজ দেশ এবং দেশের মানুষ এবং তাদের সমস্যা নিয়েই সর্বাগ্রে চিন্তা-ভাবনা করা উচিত। আর সেই সঙ্গে সেসব সমস্যার সমাধান নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করা উচিত।

অতিরিক্ত জনসংখ্যা যেমন আমাদের জন্য একটি সমস্যা, তেমনি রাজনৈতিক দলগুলোও আমাদের দেশের মানুষের জন্য এক ধরনের সমস্যাই বটে! আর বর্তমান এ অর্থনৈতিক সংকটকালীনও সেই সমস্যাই যেন তীব্র আকার ধারণ করতে বসেছে। দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি বর্তমান অবস্থায় পরস্পর মুখোমুখি। প্রায় প্রতিদিনই রাজনৈতিক শোডাউন চলছে। ক্ষমতাসীন দল এতদিন বলে আসছিল বিএনপির আন্দোলনের কোনো ক্ষমতা নেই। কিন্তু এখন বিএনপির শোডাউন দেখে সুর পালটিয়ে ক্ষমতাসীন দল নিজেরাও শোডাউন শুরু করে দিয়েছে। অর্থাৎ বড় দুটি দল এখন একই পথে অগ্রসর হচ্ছে। এ অবস্থায় ভবিষ্যতে দেশের অবস্থা কী হবে, তা বলা মুশকিল। এদিকে দেশের সাধারণ মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা।

নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যসহ জীবনযাপনের ব্যয়ভার মেটানো তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আবার তার মধ্যেই যদি জনসাধারণকে রাজনৈতিক জাঁতাকলে পিষ্ট হতে হয়, তাহলে দেশের মানুষের দুঃখের সীমা থাকবে না। কথাগুলো বলার উদ্দেশ্য হলো, আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতা দখল এবং ক্ষমতা রক্ষার ক্ষেত্রে ন্যায়-নীতির ধারেকাছেও যায় না। সে ক্ষেত্রে জনসাধারণ মরুক, না হয় বাঁচুক-তাতে কিছু আসে-যায় না; ক্ষমতা দখলই মোক্ষম উদ্দেশ্য বলে বিবেচনা করা হয়। যদিও অতিসম্প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের উদাহরণ দেখলে বোঝা যায়, ক্ষমতার মোহ তাকে বিন্দুমাত্র স্পর্শ করতে পারেনি। অথচ আমরা ক্ষমতার জন্য কত কিছুই না করে চলেছি। দেশের মানুষ সেসব কিছুই জানেন বলে সবিস্তারে তা উল্লেখের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি না।

তবে সবশেষে এ কথাটি বলতে দ্বিধা করব না, সামনের জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া উচিত। অন্যথায় দেশ ও জাতি কিন্তু আর এক দফা বিপর্যের মুখে পড়তে পারে। আর এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা এবং দায়িত্বই মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। কোনো অঘটন ঘটলে বা ঘটানো হলে নির্বাচন কমিশনকেই কিন্তু সে দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। অতএব সাধু সাবধান। এক্ষেত্রে আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমাদের দেশও ক্ষতির মুখে; আমাদের দেশ ও জাতিও বিপর্যয়ের মুখে। সুতরাং, এ অবস্থায় আরও একটি রাজনৈতিক বিপর্যয় চাপিয়ে দেওয়া হলে কে জানে ’৭৪-এর মতো আরও একটি দুর্ভিক্ষ বা তার চেয়েও বড় কোনো সংকট আমাদের ঘাড়ে চেপে বসে কিনা। এ অবস্থায় দেশ-বিদেশের বর্তমান ঘটনা প্রবাহকে একটি ‘অশনিসংকেত’ বিবেচনা করেই আমাদের পথ চলা উচিত বলে মনে করি।

ড. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন : কবি, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ০৭ নভেম্বর ২০২২ /এমএম