বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত নিজ বাসভবন রংপুরের পল্লী নিবাসে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ৪৪ মিনিটে পল্লী নিবাসে এরশাদকে দাফন করা হয়েছে। এ সময় সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিল। কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সাবেক এ রাষ্ট্রপতিকে দাফন করার আগে বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটে তার প্রতি শোক জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
মঙ্গলবার বাদ জোহর বেলা আড়াইটায় রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে মরদেহ বহনকারী গাড়ি আটকে দেয়া হয়। এ সময় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে এরশাদকে রংপুরে দাফনের দাবি জানান। এ অবস্থায় রংপুরের মানুষের ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে পল্লী নিবাসেই সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদকে দাফন করার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় পার্টি। পরে কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দান থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে পল্লী নিবাসের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন নেতাকর্মীরা।
জাতীয় পার্টির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রংপুরের মানুষের ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে রংপুরেই এইচএম এরশাদকে দাফন করার অনুমতি দিয়েছেন বেগম রওশন এরশাদ। পাশে রওশন এরশাদের জন্য কবরের জায়গা রাখার অনুরোধও করেছেন তিনি।
এর আগে এরশাদের মৃত্যুর দিন বনানী সামরিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে বলে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। তবে এরশাদের দাফন রংপুরে করার দাবিতে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল রংপুর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। তার সাবেক স্ত্রী বিদিশাও রংপুরে দাফন করার পক্ষ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিল।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা / ১৭ জুলাই ২০১৯/ এমএম





