Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::‌ বাংলা চৈত্র মাসের আজ ২৮ তারিখ। এপ্রিলের ১৪ তারিখ পড়েছে আমাদের নববর্ষ-পহেলা বৈশাখ। এই সময়টা গ্রামের মানুষের জন্য বড় দুঃখের, আশঙ্কার, অনিশ্চয়তার। সামনে বোরো ফসল উঠবে বৈশাখের শেষে/জ্যৈষ্ঠের প্রথমে। এখন ঝড়-বৃষ্টি-অতিবৃষ্টি ও ঢলের সময়। হাওড় অঞ্চলের কৃষকরা এই সময় থাকে দারুণ দুশ্চিন্তায়। বছরের একটি মাত্র ফসল, ঘরে তোলা যাবে তো? না তুলতে পারলে সারা বছর যাবে অভাব-অনটনে, দেনা ও দাক্ষিণ্যে। অন্যান্য অঞ্চলের কৃষকদের মধ্যেও অনিশ্চয়তা। কালবেশাখী এসে ফসল মাড়িয়ে দিয়ে যায় কী না। খেতে সবার বোরো ফসল। বলা বাহুল্য, বোরো হচ্ছে দেশের প্রধানতম ধানি ফসল। বোরোর পরে আমন, তারপর আউশ।

এক সময় আমনই ছিল প্রধানতম ধানি ফসল। বরিশালের ‘বালাম’ চাল, ময়মনসিংহের লাল ‘বিরুই’-এর নাম ছিল মুখেমুখে। এখন শুনি শুধু ‘মিনিকেটে’র (মিনিকিট) নাম। সাদা ফকফকে চাল। কত নামে বিক্রি হয়। খাদ্যগুণ নেই বললেই চলে। এসবের মধ্যেই আমাদের বসবাস। খেতে বোরো কিন্তু শীতের সবজির সরবরাহ এখন ভাটির দিকে। শীতকাল শেষ, এখন বসন্তকাল। বাংলার ষষ্ঠ ঋতু। রঙ-এ ভরা ঋতু। প্রকৃতি বিরাট পরিবর্তনের মুখোমুখি। শুরু হবে ভয়াবহ গ্রীষ্ম। এ সময় মানুষের হাতে টাকা (ক্যাশ) থাকে না। গ্রামের মানুষের মধ্যে দেখা দেয় অভাব-অনটন। এর সুযোগ নেয় মহাজনরা-‘সুদি ব্যবসায়ীরা’। চড়া দামে তারা কৃষককে ঋণ দেয়। অনেক কৃষক খেতের ফসল অগ্রিম বিক্রি করে দেয় ‘ক্যাশের’ অভাবে। অবশ্যই অল্প দামে। নিতান্তই বাঁচার তাগিদে।

এটা বরাবরের অভিজ্ঞতা। কৃষক মরে নানাভাবে। উৎপাদনের সময় সে উৎপাদনের উপকরণ পায় না, দাম থাকে বেশ উঁচুতে। সার, সেচের পানি, কীটনাশক অনেক সময় অঞ্চলভেদে পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও দাম থাকে চড়া। আবার বিপণন বা বিক্রির সময় সে পড়ে বড় বিপদে। ক্রেতা নেই। সরকারি ক্রয়ের ব্যবস্থা অপ্রতুল। তাও সরকার কিনে ধান/চাল ও পাট। অন্যান্য ফসল কেনার সরকারি কোনো ব্যবস্থা এখনো গড়ে উঠেনি। অদক্ষ এই বিপণন ব্যবস্থার শিকার সাধারণ মানুষ। তার রবিশস্যের দাম সে পায় না। যা পায় তা খুবই নগণ্য। শহরে-নগরে যে পণ্য বিক্রি হয় তার এক-তৃতীয়াংশও সে পায় না। বাকিটা যায় ফড়িয়া, মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে।

একটি প্রতিবেদনে দেখছি শহরবাসী কর্তৃক দেওয়া দামে ভাগ আছে পুলিশের এবং চাঁদাবাজদের। তিন তারিখের একটি কাগজে সরকারি একটি সংস্থার একটি গবেষণা প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। সংস্থাটির নাম ‘কৃষি বিপণন অধিদপ্তর’। তারা দেখিয়েছেন কৃষকরা যে বাঁধাকপি সাড়ে তেরো টাকায় বিক্রি করেন, তা ঢাকার বাজারে বিক্রি হয় ৩৮ টাকায় অর্থাৎ কৃষক পর্যায়ে যে দামে পণ্য বিক্রি হয় তার তিন গুণ দামে তা বিক্রি হয় ঢাকার বাজারে। শুধু বাঁধাকপি নয়, বেগুন, শিম, ফুলকপি, কাঁচামরিচ ইত্যাদি ক্ষেত্রেও তাই। অন্য কৃষিজ পণ্যে কি ভিন্ন অবস্থা? না, আদৌ নয়। মাঠ পর্যায়ের জরিপে বলা হয়েছে, এর কারণ মধ্যস্বত্বভোগী, পরিবহণ খরচ ও পুলিশের চাঁদাবাজি। এই খবর দিতে গিয়ে একটি কাগজ তাদের খবরের শিরোনাম করেছে: ‘চাঁদাবাজি কমলে দামও কমবে।’ এফবিসিসিআই-এর সভার আলোচনার বরাত দিয়ে খবরটিতে বলা হয়েছে, ‘যেভাবে সরকারি টোল আদায় হয়, সেভাবেই সড়ক ও বাজারে গুপ্ত চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

বস্তুত সড়ক-মহাসড়কে পুলিশ ও কাঁচাবাজারে প্রভাবশালীদের ‘গুপ্ত’ চাঁদাবাজিকে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার একটি বড় কারণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন ব্যবসায়ীরা। যদি তা না হতো, তাহলে এই চৈত্র মাসে যখন লাউ সাধারণত কেউ খেতে চায় না, তখন একটি লাউয়ের দাম ৭০ টাকা কেন হবে? আমি নিজেই দুই-তিন দিন আগে মাঝারি ধরনের একটি লাউ ৭০ টাকায় কিনেছি। বলাবাহুল্য, অন্যান্য কৃষিপণ্যেও একই জরিমানা দিনের পর দিন আমরা দিয়ে যাচ্ছি। এটা কি নতুন খবর? না, বহুদিন ধরে এসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কত অর্থমন্ত্রী কত কথা বললেন কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। মুশকিল হচ্ছে এ প্রেক্ষাপটে কৃষি হয়ে পড়েছে একটি লোকসানি পেশা-ব্যবসা।

কৃষকরা এই পেশায় থাকতে চান না। তারা তাদের ছেলেমেয়েদের এই কাজে নিয়োজিত হতে দিতে চান না। অনেক ক্ষেত্রে জমি তারা অনাবাদি রাখেন। কৃষি কোনোমতে টিকে আছে ভর্তুকি ও ভাতার বদৌলতে। সারে ভর্তুকিতে, সেচের পানিতে ভর্তুকি। বিদ্যুৎ, কীটনাশক ওষুধ ও বিপণনেও ভর্তুকি দিয়ে এই পেশাটিকে কোনোমতে জিইয়ে রাখা হয়েছে। সরকার এতসব চেষ্টা করলে কী হবে, মাঠ পর্যায়ে ঘটছে নানা অনভিপ্রেত ঘটনা। সম্প্রতি আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটছে।

গত তিন তারিখের একটি খবরে মর্মস্পর্শী ঘটনার বর্ণনা পাওয়া গেছে। খবরটির শিরোনাম : ‘কৃষক আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের শাস্তি দাবি।’ খবরটিতে দেখা যাচ্ছে, রাজশাহী অঞ্চলের দুই কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। তার প্রতিবাদে কিছু সংখ্যক প্রতিষ্ঠান মানববন্ধন করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি করেছে। ধানের জমিতে সেচ না পাওয়ায় রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার নিমঘুটু গ্রামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দুই কৃষকের আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের শাস্তির দাবিতে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ও জাতীয় কৃষক সমিতি এ মানববন্ধন করে।

আত্মহত্যাকারী কৃষক দুজনের নাম : অভিনাথ মার্ডি ও রবি মার্ডি। তারা ধান খেতে পানি না পেয়ে কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেন। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, এর জন্য দায়ী জনৈক সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত পানি সেচের প্রকল্পের দায়িত্বে নিয়োজিত। কৃষক দুজন তার কাছে পানি চাইতে গেলে পানি না দিয়ে বিষ খেতে বলেন সাখাওয়াত হোসেন। ভাবা যায়, একজন সরকারি কর্মকর্তা কতদূর যেতে পারেন! কৃষককে তারা মানুষ বলে মনে করেন না। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষী ব্যক্তির বিচারের দাবিতে রংপুর নগরী এবং গাইবান্ধায় মানববন্ধন হয়েছে।

বলাবাহুল্য, এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা বাংলাদেশে বিরল। আমাদের কৃষকরা ‘সর্বংসহা’। তারা মুখ ফুটে কথা বলেন না। যুগের পর যুগ ধরে তারা অন্যায়, অবিচার সহ্য করে যাচ্ছেন। তারা ব্রিটিশদের অন্যায় ও বৈষম্যমূলক আচরণে না খেয়ে মৃত্যুবরণ করেছে হাজারে হাজারে। বাংলার তাঁতিরা মরেছে দলে দলে। একই ঘটনা স্বাধীন বাংলাদেশেও ঘটবে তা কল্পনারও অতীত। আমরা কৃষকের আত্মহত্যার খবর বেশি বেশি পাই ভারতে। ভারতের কৃষিপণ্যের দাম না পেয়ে বহু কৃষক প্রতিবছর আত্মহত্যা করেন বলে যেমন মাঝে মাঝে খবর পাই, এখন খবর পাচ্ছি পদ্মশ্রী যাজ্ঞি বাসুদেবের কাছ থেকে।

তিনি ‘মাটি রক্ষা’ আন্দোলনে ৩০ হাজার মাইল রাস্তা মোটরসাইকেলে সারা বিশ্ব পাড়ি দিচ্ছেন। তিনি অলাভজনক কৃষি, জমির গুণে ক্ষয়প্রাপ্তি, পানীয় জলের অভাব ইত্যাদি ইস্যুতে শুধু ভারতে নয়, সারা বিশ্বে জনমত গঠনে ব্যাপৃত। তার বক্তৃতা থেকেই জানতে পারলাম ভারতে বছরে হাজার হাজার কৃষক আত্মহত্যা করে মারা যান। অথচ ভারত খাদ্য রপ্তানি করে, পেঁয়াজ রপ্তানি করে। সৌভাগ্য আমাদের দেশের কৃষকরা শত বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও কৃষিকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আত্মহত্যার ঘটনা বিরল, যদিও পাটের দাম, আলুর দাম, ধানের দাম তারা কোনো বছরই পান না। কিন্তু এই মুহূর্তে যে খবর আমরা কাগজে পেলাম তা দুঃখজনক নয়, তা রীতিমতো আশঙ্কাজনক। আশঙ্কাজনক বিশেষ করে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে যেভাবে খাদ্যাভাব দেখা দিতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে।

এরই মধ্যে আত্মহত্যার হুমকির আরেকটি খবর গত তিন তারিখে প্রকাশিত হয়েছে। খবরটির শিরোনাম : ‘পানির অভাবে খেত ফেটে চৌচির সেচ দিতে প্রভাবশালীদের বাধা কৃষকের আত্মহত্যার হুমকি।’ ঘটনাটি গাজীপুরের শ্রীপুরস্থ মাওনা অঞ্চলের। গ্রামের নাম কপাটিপাড়া। কৃষকের নাম আলামিন। তার অভিযোগ, ‘আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে শত্রুতা করে আসছে।

তিনি আড়াই বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। প্রতিপক্ষের বাধার কারণে জমিতে সেচ দিতে পারছেন না। মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। পানির অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে খেতের ধান।… খেতের ধান নষ্ট হয়ে গেলে পরিবার নিয়ে উপোস থাকতে হবে।’ তাই তার আত্মহত্যা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলছেন তার মীমাংসা প্রতিপক্ষ মানছেন না।

আত্মহত্যার পর আত্মহত্যার হুমকি। এদিকে ফসল হচ্ছে নষ্ট, ফসল অনিশ্চিত। কৃষকদের এই সমস্যার অন্ত নেই। ফসল নষ্ট হচ্ছে অন্যভাবেও। এখন চৈত্র মাস। উজান থেকে পানি নেমে আসার সময়। বস্তুত তা আরম্ভও হয়েছে। একটি কাগজের খবরের শিরোনাম : ‘মৌসুমের প্রথম ঢলে বাঁধ ভেঙে ৩ হাজার একর জমির বোরো নিমজ্জিত।’ ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড়ে। খবরে দেখা যাচ্ছে, সুনামগঞ্জের পাটলাট নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তাহিরপুর উপজেলার নজরখালী বাঁধ ভেঙে যায়। এতে টাঙ্গুয়ার হাওড়ের প্রায় ৩ হাজার একর জমির বোরো ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। তাহিরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত।

কৃষকরা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণ করে ফসল রক্ষার চেষ্টা করে। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এদিকে নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি উপজেলা সদরের কয়েকটি হাওড়ের প্রায় ৫০০ একর জমির বোরো ফসল পানির তলে তলিয়ে গেছে। এসব ঢলের জল। যদি এই ধরনের ঢল আরও আসে, তাহলে এই অঞ্চলের অপূরণীয় ক্ষতি হবে বলে কৃষকরা আশঙ্কা করছেন। উল্লেখ্য, খালিয়াজুড়ীতে ২১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। আরেক খবরে দেখা যাচ্ছে, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনার হাওড়াঞ্চলে হঠাৎ ঢলের পানি নেমে আসাতে শতশত একর জমির ফসল এখন পানির তলে। উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে কিশোরগঞ্জের ইটনা ও মধ্য নগরের চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। খবরে জানা যাচ্ছে, ৪০-৪১ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা।

তাহলে দেখা যাচ্ছে কৃষকের শান্তি নেই। কোনো পর্যায়েই তার শান্তি নেই, নেই স্বস্তি। উৎপাদন পর্যায়ে কৃষি উপকরণ প্রাপ্তি নিয়ে সমস্যা, দামের সমস্যা, ঋণের সমস্যা। পরে ফসল রক্ষার সমস্যা। ঝড়, বৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, অকাল বন্যা, ঢল তার ফসল কেড়ে নেয়। সে প্রকৃতির কাছে অসহায়। বাঁধ দেওয়া ইত্যাদিও সমস্যার কোনো সমাধান দেয় না। কোনোমতে ফসল তুলতে পারলে সমস্যা শুরু হয় বিপণন ক্ষেত্রে। অল্প ফসল হলে এক ধরনের বিপত্তি। অতিরিক্ত/বাম্পার ফলন হলে আরেক ধরনের বিপত্তি। উভয় ক্ষেত্রেই তার ফসলের বাজার নেই। ফসল রাখার জায়গা নেই। ‘ক্যাশ’ নেই যে সে মাল ধরে রাখবে। মহাজনের তাগিদ আছে।

বরাবরের মতো এসব সমস্যা এবারও দেখা দিচ্ছে। বৈশাখ মাস এখনো আসেনি। উপরের ঢল, উজানের পানি, অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি এখনই সমস্যা সৃষ্টি করেছে। এতে খাদ্য নিরাপত্তার কী অবস্থা হবে তা ভেবে দেখা দরকার। বিশ্বে খাদ্যাভাব রয়েছে। আমাদের ৬০-৭০ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয়। রাশিয়া ও ইউক্রেনের গম অনিশ্চিত। অনেক দেশই খাদ্যশস্য রপ্তানি করার মতো অবস্থায় নেই। প্রতিবেশী ভারতে কিছু উদ্বৃত্ত গম আছে। তারা শ্রীলংকার এই দুর্দিনে কিছু জরুরি খাদ্য সাহায্য দিচ্ছে। তাদের চাহিদা কম, ছোট দেশ। আমরা অনেক বড় দেশ। আমাদের চাহিদা অনেক বেশি। এমতাবস্থায় প্রতি কেজি চাল যাতে কৃষকরা ঘরে তুলতে পারে তার ব্যবস্থা এখনই করতে হবে।

ড. আর এম দেবনাথ : অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ১১ এপ্রিল ২০২২ /এমএম