Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::‌ পরিবহন ধর্মঘটে স্থবির দেশ। ছবিটি রাজধানীর মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে তোলা জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় গণপরিবহনের ভাড়া পুনর্নির্ধারণে ম্যারাথন বৈঠক করছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও বাস মালিকরা। বৈঠকে মহানগরে বাসে কিলোমিটার প্রতি এক টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৭৯ পয়সা বাড়িয়ে দুই টাকা ৪৯ পয়সা করার প্রস্তাব করেছেন মালিকরা। আর দূরপাল্লার বাসে এক টাকা ৪২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে কিলোমিটার প্রতি দুই টাকা ৯ পয়সা প্রস্তাব করেছেন তারা। সে হিসেবে দূরপাল্লা ও মহানগরে ৪০ শতাংশেরও বেশি ভাড়া বেশি নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন মালিকরা। যদিও ডিজেলের দাম বেডেছে লিটারপ্রতি ২৩ শতাংশ ।

অন্যদিকে বিআরটিএ দূরপাল্লা এবং মহানগরে চলাচলকারী গণপরিবহনে বিদ্যমান ভাড়া থেকে ৪০ পয়সা বেশি ভাড়া নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে বলে জানা গেছে।রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার পর রাজধানীর বিআরটিএ ভবনে এই বৈঠক শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বৈঠকটি চলছে। ভাড়া নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি বিআরটিএ ও বাসমালিকরা।

বৈঠকের কার্যপত্রে বলা হয়েছে, বিআরটিএ কর্তৃক সবশেষ ব্যয় বিশ্লেষণ অনুযায়ী ভাড়া হতে পারে দূরপাল্লা ও মহানগরী এলাকায় যথাক্রমে ১.৮২ ও ২.১০ টাকা। বর্তমান বাস ভাড়ার সঙ্গে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির হার (২৩.০৮%) সমন্বয় করে বাস ভাড়া পুনর্নির্ধারণের বিষয়টি আলোচনা হতে পারে। বিষয়টি সভায় আলোচনা হচ্ছে।বর্তমানে দূরপাল্লায় কিলোমিটার প্রতি এক টাকা ৪২ ও মহানগরে এক টাকা ৭০ পয়সা করে ভাড়া নির্ধারণ করা আছে।

অন্যদিকে বৈঠকে আলোচ্যসূচিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব কর্তৃক ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীসহ দূরপাল্লার রুটে ছয় থেকে সাত বছর ধরে বাস ভাড়া বাড়ানো হয়নি। করোনাকালেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্প্রতি ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ানোয় গত ৪ নভেম্বর বাস ভাড়া বাড়াতে আবেদন করা হয়। সেই আবেদন বিবেচনায় নিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এ বৈঠক আয়োজন হয়েছে।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসাধারণ সম্পাদক রাকেশ ঘোষ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনসহ সরকারি-বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।

সরকার ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানোর পর শুক্রবার সকাল থেকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘট শুরু হয়। তখন থেকেই নগরপরিবহন ও দূরপাল্লার বাসের পাশাপাশি পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে তিন দিন ধরে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

সবশেষ ২০১৫ সালে নগর পরিবহনে বাসের ভাড়া প্রতি কিলেমিটারে এক টাকা ৭০ পয়সা এবং মিনিবাসের জন্য এক টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। আর ২০১৬ সালে দূরপাল্লায় ডিজেলচালিত বাস ও মিনিবাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয় এক টাকা ৪২ পয়সা।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ০৭ নভেম্বর  ২০২১ /এমএম