Menu

‘মানসম্মত বীজ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ানো প্রয়োজন’

বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: মানসম্পন্ন বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে ১৫-২০ ভাগের অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণে এবং টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে চাহিদামাফিক মানসম্মত বীজ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ানো প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় বীজ মেলা ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বীজ অনুবিভাগের মহাপরিচালক আশ্রাফ উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।

এদিকে বীজ মেলা উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সরকার এখন সবার পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য অর্জনে ফসল উৎপাদনে গুণগত মানসম্মত বীজের কোনো বিকল্প নেই।

মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ‘খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে মানসম্মত বীজের ব্যবহার’ প্রতিপাদ্যে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) চত্বরে ২৮-৩০ জুন জাতীয় বীজ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। আজ বিকাল ৩টায় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক মেলা উদ্বোধন করবেন। মেলা উপলক্ষে বিএআরসি অডিটরিয়ামে প্রতিপাদ্যভিত্তিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সবার জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে।

আশ্রাফ উদ্দিন বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ৪০৯ দশমিক ১৪ লাখ টন দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়েছে যার ফলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ করতে মানসম্মত বীজ ব্যবহার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় বিগত দশ বছরে ধান, গম, পাট, ভুট্টা, আলু, সবজি, তৈল ও মসলাসহ বিভিন্ন ফসলের গুণগত মানসম্মত বীজ সরবরাহ দেড়গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বিভিন্ন ফসলের গুণগত মানসম্মত বীজ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৭৪ টন এবং ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ১২ লাখ ৫২ হাজার টনের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদিত হয় ৩ লাখ ২৯ হাজার ৯২২ টন, যা দেড়গুণের বেশি উৎপাদিত হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ২৮ জুন ২০১৯/ এমএম


Array