Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::‌ মহামারি করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। আর নতুন এ মহামারির লক্ষণগুলোর মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশি অন্যতম। সাধারণত বাংলাদেশে জ্বর ও ঠাণ্ডাজনিত উপসর্গে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই প্যারাসিটামল ওষুধ সেবন করে থাকেন। মহামারির এ সময়ে জ্বরের ওষুধের চাহিদা পূর্বের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রতিটি ৫০০ মিলিগ্রামের ১০ ট্যাবলেট সংবলিত এক পাতা প্যারাসিটামল আগে ১০ টাকায় বিক্রি হলেও গত কয়েক মাস ধরে দোকানদাররা ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করছে। এ ধরনের ঘটনা প্রতারণার শামিল। ওষুধ বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে প্যারাসিটামল সরবরাহে ঘাটতি আছে, যে কারণে বাড়তি দামে কিনে ক্রেতাদের কাছ থেকেও বেশি দাম রাখতে হচ্ছে।

প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সংকট বর্তমানে কেবল রাজধানী নয়; রাজধানীর বাইরে কুমিল্লা, গোপালগঞ্জ, পটুয়াখালী, নীলফামারী, মাগুরা, কুড়িগ্রাম, মানিকগঞ্জ, চাঁদপুর, যশোরসহ বেশ কয়েকটি জেলায় এ সংকট পরিলক্ষিত হচ্ছে। মহামারিকালে যেখানে মানুষের মধ্যে মানবিকতাবোধ জাগ্রত হওয়ার কথা; সেখানে অসাধু সংঘবদ্ধ চক্র বাজারে প্যারাসিটামলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। এতে সাধারণ মানুষকে ওষুধের জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেকে বাধ্য হয়েই বেশি দাম দিয়ে ওষুধ কিনছে, যা মোটেই কাম্য নয়।

এ অবস্থায় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে বাজারে নজরদারি বাড়াতে হবে। ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত, প্যারাসিটামলসহ মানুষের জীবন রক্ষাকারী সব ওষুধের উৎপাদন ও সরবরাহ বৃদ্ধির ব্যাপারে মনোযোগী হওয়া। একইসঙ্গে এসব ওষুধ দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে বিভিন্ন স্থানে পৌঁছানোর ব্যবস্থাও করতে হবে। বাজারে প্যারাসিটামলের কৃত্রিম সংকট তৈরির সঙ্গে জড়িতদের গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে চিহ্নিত করে প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ

ঢাকা কলেজ, ঢাকা।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ০২ সেপ্টেম্বর  ২০২১ /এমএম

 


Array