Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::‌  তীব্র যানজট, অসহ্য গরম, আবার হঠাৎ বৃষ্টি এবং যানবাহনের চরম সংকটের ভোগান্তি মাথায় নিয়েই স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দের দিনটি উদযাপনের আকাঙ্ক্ষা ইট-পাথরের হৃদয়হীন শহরে আটকে থাকা মানুষগুলোর।কোথাও কোনো স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাচ্ছেন ছাদে কিংবা ইঞ্জিন কভারে। এছাড়া পথে পথে বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়টি মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত। আবার টার্মিনালে পড়তে হচ্ছে নানা ঝামেলায়। কোথাও কোথাও হেঁটে পাড়ি দিচ্ছে দীর্ঘপথ।

শেকড়ের টানে আপন ঠিকানায় বাঁধভাঙা স্রোতের মতো ছুটছে অবিরাম। রাজধানীর কমলাপুরের রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট এবং মহাসড়ক ঘুরে এসব চিত্র পাওয়া গেছে। তবে সরকার বলছে, যাত্রীদের দুর্ভোগ আগের চেয়ে কম। তারা যানজট ও যাত্রীদের দুর্ভোগ নিসরনে কাজ করছে।

বুধবার পবিত্র ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদ। তবে করোনার কারণে গত বছরের মতো এবারের কুরবানির প্রেক্ষাপটও একটু ভিন্ন। টানা লকডাউনের পর গত ১৫ জুলাই থেকে লকডাউন শিথিল করে সরকার। ২৩ জুলাই থেকে সরকারের পক্ষ থেকে আবারও কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে সীমিত সময়ের মধ্যে নিজ নিজ কাজে নেমে পড়ে মানুষ। কুরবানির পশু, পোশাক ও নিত্যপণ্যের বেচাকেনাসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়। গণপরিবহণ ছেড়ে দেওয়ায় শুরু বাড়ি ফেরার কার্যক্রম।

যারা অগ্রিম বাসের টিকিট কাটতে পারেননি তারা বেছে নিচ্ছেন পিকআপ অথবা মাইক্রোবাস। এমনকি মোটরসাইকেলে চড়ে অনেক যাত্রীকে বাড়ির উদ্দেশে ছুটতে দেখা গেছে।যাত্রীরা বলছেন, ঈদের পর লকডাউনের কারণে পোশাক কারখানা বন্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে শেষ মুহূর্তে অনেকেই গ্রামে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভাড়া বেশি হওয়ার স্বল্প আয়ের এসব মানুষ গাদাগাদি করে ট্রাক ও পিকআপে করে রওনা দিয়েছেন।

মহাসড়কের রাবনা বাইপাসে সিরাজগঞ্জগামী যাত্রী ইব্রাহিম সিকদার জানান, প্রায় আড়াই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও যানবাহন পাচ্ছেন না।এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে রাজশাহীগামী হামেদ আলী জানান, সাড়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গাড়ির দেখা মিলছে না। মহাসড়ক থেকে ধুলাবালু উড়ে আসায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীদের চাপ আরও বাড়তে থাকে। একসঙ্গে দেখা দেয় যাত্রীবাহী পরিবহণের সংকট।