Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::‌ বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। গণতান্ত্রিক দেশে একজন মানুষের বৈধ কোনো পেশা বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা অবশ্যই আছে; যার মাধ্যমে সে তার আয় বৃদ্ধি করতে পারে। পৃথিবীতে যত পেশা আছে, তার মধ্যে মানুষের সেবা করা অর্থাৎ চিকিৎসাবিদ্যা অন্যতম।

এ দেশের অধিকাংশ মানুষ মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত শ্রেণির। এ শ্রেণির মানুষ নির্দিষ্ট আয় দিয়ে অতিকষ্টে সংসারের চাকা সচল রাখে। তারা চাইলেই অর্থ জমা করতে পারে না। তাই হঠাৎ করে যখন তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন অনেক সময় ডাক্তারের চিকিৎসা ফি দিতে অপারগ হওয়ায় চিকিৎসার ব্যাপারে উদাসীর থাকে; অথবা তারা ওষুধ বিক্রেতাদের (dispensary) কাছে গিয়ে রোগের কিছু লক্ষণ বলে ওষুধ ক্রয় করে রোগমুক্ত হওয়ার চেষ্টা চালায়।

এক্ষেত্রে আমার অভিমত হলো, যদি খিস্টপূর্ব ১৭৪৯ সালে পৃথিবীর প্রথম লিখিত বিধানে (হাম্মুরাবী কোড) মেসোপটেমীয় সভ্যতার ব্যাবিলনীয় রাজা হাম্মুরাবী চিকিৎসকের ফি নির্ধারণ করে দিতে পারেন-(প্রথম শ্রেণির মানুষ অর্থাৎ অভিজাত শ্রেণির মানুষ যদি বড় ধরনের অস্ত্রোপচার করে, তাহলে ফি বাবদ একজন চিকিৎসক ১০ সেকেল রৌপ্যমুদ্রা পাবেন (ধারা-২১৫); সাধারণ মানুষের অস্ত্রোপচার করলে ফি বাবদ ৫ সেকেল (ধারা-২১৬) এবং রোগী দাস হলে দাসের মালিক চিকিৎসককে ২ সেকেল ফি দিবে (ধারা-২১৭), তাহলে এ আধুনিক যুগের সরকার কেন চিকিৎসকের ফি নির্ধারণ করতে পারবে না? দেশের মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার কর্তৃক চিকিৎসকের ফি যদি নির্ধারণ করা হয়, তাহলে মানুষ সঠিক চিকিৎসা লাভ করে সুস্থ জীবনের অধিকারী হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ৩০ জুন ২০২১ /এমএম