Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ব্যতিক্রমী। রাজনীতিতে সাহসী ও ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্তের জন্য তার সুনাম যেমন আছে তেমনি বদনামও আছে। কদিন আগে বিধানসভা নির্বাচনে বেশ কয়েকজন তারকা প্রার্থীকে মনোনায়ন দেননি। দলের বহু প্রভাবশালী নেতাকেও টিকিক দেননি। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে তার। ভোটের পর তৃণমূল কংগ্রেস ঠিকই বুঝতে পেরেছে মমতার সিদ্ধান্তই সঠিক।

এবার মন্ত্রিসভায়ও কোনো চিত্রজগতের তারকাকে স্থান দেননি মমতা। অথচ পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে সিনেমা, নাটক বা সংগীত তারকারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন।এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রতীক নিয়ে জিতে এসেছেন বেশ কয়েকজন তারকা। অবাক করা বিষয় হলো, নতুন মন্ত্রিসভায় তাদের নাম নেই।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, সামনে এসেছে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসতে চলা তৃণমূল সরকারের ৪৩ জন মন্ত্রীর তালিকা। আর তাতে নাম নেই কোনো টলিউডের তারকা প্রার্থীর।৫ মে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং তারপর শপথ নিয়েছেন বিধায়করাও। সোমবার গঠিত হবে রাজ্যের নয়া মন্ত্রিসভা। শপথ নেবেন ৪৩ জন জয়ী বিধায়ক।

এবারের ভোটে একঝাক তারকাকে মনোনয়ন দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সায়নী ঘোষ, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, কাঞ্চন মল্লিক, রাজ চক্রবর্তী, চিরঞ্জিৎ, লাভলি মৈত্র, অদিতি মুন্সি ও কৌশানি মুখোপাধ্যায়কে দলের টিকিট তুলে দেন মমতা।তবে ভোটে জিতেছেন ৬ তারকা প্রার্থী— জুন মালিয়া, লাভলি মৈত্র, রাজ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, অদিতি মুন্সি ও চিরঞ্জিৎ। তাদের কারো নাম নেই মন্ত্রিসভার তালিকায়।

আর সে খবর সামনে আসতেই সমালোচনার ঝড় তুলেছেন বিরোধী পক্ষের সমর্থকেরা। তাদের মতে, শুধু ভোট পাওয়ার জন্যই টালিগঞ্জের তারকা প্রার্থীদের মুখ ব্যবহার করেছে তৃণমূল।এবারের বিধানসভা নির্বাচনে টালিউড সেনসেশন নুসরাত ও মিমি চক্রবর্তী এবং জনপ্রিয় নায়ক দেব তৃণমূলের হয়ে ভোটের মাঠ চষে বেড়ান। তবে তাদের দলের টিকিট দেননি মমতা। তাদের কাউকে মন্ত্রিসভায়ও নেননি।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ১০ মে ২০২১ /এমএম