
বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: আসন্ন ঈদ উল ফিতরের ট্রেনের অগ্রিম টিকিটের শেষ দিন আজ। রোববার সকাল ৮টা থেকে টিকিট দেয়া শুরু হয়। আজ দেয়া হচ্ছে ৪ জুনের টিকিট। এদিন থেকে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় টিকিটের চাহিদা রয়েছে বেশি।
টিকিট পেতে কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ভিড় করেছেন বাড়ি ফেরা মানুষ। টিকিট পেতে কেউ দাঁড়িয়েছেন গতকাল মধ্যরাত থেকে আবার কেউবা সন্ধ্যা থেকেই অপেক্ষা করছেন। টিকেট প্রত্যাশীদের ভিড় সামলাতে এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় গলদঘর্ম হতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
এদিকে ‘রেলসেবা’ নামক অ্যাপ নিয়ে ধীরগতির অভিযোগ রয়েছে। অ্যাপে কারও কারও টাকা কেটে নিলেও টিকিট মেলেনি। ফেরত পাচ্ছেন না টাকা। তবে, রেলের টিকেট দেয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই অভিযোগ ছিল টিকেট পাওয়া তো দূরে থাক, অনলাইনেই ঢোকা যাচ্ছে না।
তবে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়াজাহান জানিয়েছেন, কাউন্টার কিংবা অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট পাচ্ছেন না- এমন অভিযোগ সত্য নয়। আমরা প্রতিদিন টিকিট বিক্রি করছি। সীমিত টিকিট, তাই কাউন্টার থেকে সবাইকে টিকিট দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। অ্যাপে প্রচণ্ড চাপ। একই সঙ্গে প্রায় ৩ লাখ মানুষ হিট করছেন। যাদের মধ্যে ৫ থেকে ৭ শতাংশ টিকিট কাটতে পারছেন। অ্যাপেও সীমিত টিকিট রয়েছে। যাদের টাকা কেটে নেয়া হয়েছে, তাদের টাকা ৮ দিনের মধ্যে নিজ নিজ নম্বরে চলে যাবে।
এদিকে ই-সেবার সিএনএস-বিডি লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মেজর (অব.) মো. জিয়াউল আহসান সরোয়ার বলেন, সীমিত টিকিটের বিপরীতে কেউ যদি অ্যাপে প্রবেশ করতে না পারেন, সেটা নিশ্চয় সিএনএসের কোনো দুর্বলতা নয়। টিকিট বিক্রিতে কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই। কারণ টিকিট বিক্রির কোনো অর্থের সঙ্গে সিএনএসের সম্পর্ক নেই।
কমলাপুর স্টেশন থেকে দেয়া হচ্ছে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, নীলফামারী এবং খুলনা অঞ্চলের জন্য। সেই টিকেট পেতেই এমন উপচে পড়া ভিড় কমলাপুর স্টেশনে।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ২৬ মে ২০১৯/ এমএম




