Menu

আহসান রাজীব বুলবুল, প্রধান সম্পাদক, প্রবাস বাংলা ভয়েস :: কানাডায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ অন্টারিও, বৃটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা, এবং কুইবেকে নাটকীয় ভাবে করনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে হাসপাতাল, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ব্যাপকহারে চাপ পড়ছে।

গত ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার থেকে ক্যুইবেক আবার লকডাউন শুরু হয়েছে। একমাত্র জরুরি ফার্মেসি, গ্রোসারী ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। ক্যুইবেকের জনসাধারণকে বলা হয়েছে একান্ত জরুরি প্রয়োজনছাড়া গ্রোসারিস্টোর গুলোতে কেউ যেনো একই দিনে বার বার ছোটখাটো একটি আইটেমের জন্য না যান এবং রেস্টুরেন্টগুলো শুধু টেকআউট এবং ড্রাইভথ্রো খোলা থাকবে তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রেতা-বিক্রেতারা মাস্ক পড়ে এবং দুরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। পুলিশ, স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা কড়াকড়িভাবে নজরদারিতে রয়েছে।

কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়াতে করোনা মহামারীর দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে। সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি, সরকার কর্তৃক বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেয়া সত্বেও করোনা ভাইরাস কে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রিত করা যাচ্ছে না।

ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রদেশে ইতিমধ্যেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ বিভিন্ন নিয়ম কানুন চলমান রয়েছে। কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে কড়াকড়ি নজরদারিও চলছে।লোক সংখ্যার দিক থেকে কানাডার বৃহওম প্রদেশ অন্টারিও তে প্রতিদিনই প্রচুর সংখ্যক করণা আক্রান্ত রোগীর খবর পাওয়া যাচ্ছে।

এরমধ্যে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া অন্টারিওবাসীকে বাড়িতে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। অস্বাভাবিক সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকায় এই নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড। ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতেই এ উদ্যোগ বলে জানান তিনি।

এ নতুন বিধিনিষেধ আরোপে উইন্ডসর-এজেক্স, পিল রিজিয়ন, টরন্টো, ইয়র্ক রিজিয়ন ও হ্যামিলটনে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে কোনো পাঠদান হবে না। সুযোগ থাকলে কর্মীদের বাড়িতে বসে কাজের সুযোগ দিতে হবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে। ঘরের বাইরে পাঁচজনের বেশি মানুষ এক জায়গায় জড়ো হতে পারবে না। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোর ভেতরে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে। এছাড়া আউটডোরে দুই মিটারের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রেও মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

অনাবশ্যক সব খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাত আটটার মধ্যে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে এবং কোনোমতেই সকাল সাতটার আগে খোলা যাবে না। তবে খাদ্যপণ্য বিক্রয়কারী দোকান, গ্যাস স্টেশন, ফার্মেসি, কনভিনিয়েন্স স্টোর বা টেক-আউট সেবা প্রদানকারী রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে সময়ের এ বাধ্যবাধকতা প্রযোজ্য হবে না।অনাবশ্যক নির্মাণকাজের ওপরও আরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তবে জরিপ কাজকে এ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে কানাডা বাসীর মধ্যে। তবুও করোনা নিয়ন্ত্রণে অনেক ক্ষেত্রেই হিমশিম খেতে হচ্ছে নীতিনির্ধারকদের। কানাডায় আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন বর্তমান পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনের পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ২৫ হাজার ৪শত ৯৫ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ১৮ হাজার ৪শ’ ৬২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৬ শ’ ২০ জন।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ২১ জানুয়ারি ২০২১ /এমএম

 


এই বিভাগের আরও সংবাদ