Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: একসময় স্রেফ বিনোদনের জন্যই বাজারে আসে টিকটক ও লাইকি। তাদের অ্যাপের চমকপ্রদ ফিচার ব্যবহার করে খুব সহজেই তৈরি করা যায় ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ, যা মানুষকে হাসাতে পারে, কাঁদাতে পারে আর মনকে করতে পারে ভারমুক্ত।এসব কারণে অ্যাপ দুটি খুব স্বল্প সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে যায়। আশাতীত দর্শকও পেয়ে যান অ্যাপ ব্যবহারকারীরা।

রাতারাতি সেলিব্রেটি বনে যান একেকজন লাইকার, টিকটকার। সেসব ভিডিও নিজেদের ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউবে ব্যবহার করে আয় করে নেন শত শত ডলার। শুধু এটুকুতেই সীমাবদ্ধ থাকলে ঠিক ছিল। কিন্তু জনপ্রিয়তা আর ডলার আয়ের লোভে এক শ্রেণির তরুণ যেন ক্ষ্যাপা হয়ে উঠেছে। লাগামহীন, কুরুচিপূর্ণ ভিডিও তৈরি করে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রতিযোগিতায় নেমেছে তারা।

এর প্রভাব পড়ছে আমাদের সামাজিক জীবনেও। যে ধরনের আচরণ আমাদের সংস্কৃতিতে কখনই ছিল না, সে ধরনের আচরণ উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীদের মাঝে ক্রমাগতই বেড়ে চলেছে।

আগে বিনোদনের আশায় পরিবারের কয়েকজন সদস্য মিলে টিকটক-লাইকি ভিডিও দেখত। কিন্তু বর্তমানে এমন সব অঙ্গভঙ্গি আর অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করা হয়, যা পরিবারের এক সদস্যের পক্ষে অপর সদস্যের সামনে দেখা সম্ভব নয়।

তবে এ ধরনের ভিডিও দেখায় আগ্রহ রয়েছে উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীর। আর এ সুযোগটি লুফে নিয়েই লাইকার-টিকটকারেরা এসব মানহীন ও কুরুচিপূর্ণ ভিডিও তৈরি করছে, যা সামাজিক অবক্ষয়ের বিরাট কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ- এসব ভিডিও তৈরিতে নির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরির ব্যবস্থা করুন; যাতে এসব অসামাজিক, কুরুচিপূর্ণ ভিডিও তৈরি বন্ধ হয় এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কুপথে ধাবিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ০৩ ডিসেম্বর ২০২০/এমএম