আব্দুল্লা রফিক ,ক্যালগেরি, আলবার্টা, কানাডা :: করোনার দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে, প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, এর বাইরে প্রচুর আক্রান্ত আছে যেটা টেস্ট হয়নি অথবা হচ্ছে না। উন্নত বিশ্বে টেস্ট করানো হচ্ছে অনেক বেশী যার জন্য হয়তো আক্রান্তের সংখ্যাও অনেক বেশী বেশী মনে হচ্ছে, কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোতে সীমাবদ্ধতার কারণে বেশী টেস্ট হচ্ছে না – প্রচুর মানুষ করোনা নিয়েই সুস্থ মানুষের মতই ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং অন্যদেরকে সংক্রামিত করছে, একসময় করোনা তাদের দেহ থেকে নীরবে বিদায় নিচ্ছে।
তবে তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র মানুষগুলোর জন্মের পর থেকে বেড়ে উঠার পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে অনেক শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অধিকারী হয়ে থাকে।
আবার ফার্মাসি থেকে ডাক্তারের প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া ঔষধ কিনতে পাড়ার কারণে তারা করোনার শুরু থেকেই ম্যালেরিয়া সহ বাজারে আরো ভাইরাস প্রতিষেধক যেগুলো পাওয়া যায় সেগুলো নিয়মিত নিচ্ছে – এছাড়া হেমিওপ্যাথ ঔষধেরও প্রভাব চোখে পড়ার মত যার। ফলে করোনার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম – এটা হয়তো বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা দ্বারা স্বীকৃত নয় – কিন্তু এটাই বাস্তবতা।
ভ্যাকসিন বাজারে না আসা পর্যন্ত এটা চলতেই থাকবে। গড়ে প্রতি একশ বছরে এরকম মহামারী দেখা গেছে –
আমরা এবং আমাদের প্রজন্ম সৌভাগ্যজনক অথবা দুৰ্ভাগ্যজনক ভাবে এই মহামারীর সাক্ষী হয়ে যাচ্ছি।
তবে এটা সত্য যে করোনা না আসলে সারা পৃথিবীর স্বাস্থ খাতের ভঙ্গুরতা হয়তো আমাদের চোখে ধরাই পড়তো না, কি উন্নত আর তৃতীয় বিশ্ব?
প্রায় তেরো লক্ষ মানুষ করোনার কারণে মৃত্যু বরণ করেছে l এছাড়া প্রতিদিন ৭/৮ হাজার মৃত্যুবরণ করছে, এর বাইরে করোনা উপসর্গ নিয়ে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে, জানা যাচ্ছে না তারা আসলে করনাতে মৃত্যুবরণ করলো কি না।
আমেরিকার মত পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের স্বাস্থ খাতের ভঙ্গুরতা চোখে পড়ার মতো ছিল বই কি! প্রচুর গবেষণার বিষয়বস্তু পাওয়া যাচ্ছে এটাই বা কম কিসে?
আগামী বছরের মার্চ/এপ্রিল নাগাদ কানাডা এবং আমেরিকার সবাই ভ্যাকসিন পেয়ে যাবে, এই আশা এখন করাই যায় – আর এটা আগামী বছরের মধ্যে সারা পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের কাছেই করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছে যাবে।
একসময় হয়তো এটা প্রতি বছরের নিয়মিত ভ্যাকসিন পরিণত হবে !!
জয় হোক ভ্যাকসিনের! পরাজিত হোক করোনা!
লেখক: আবদুল্লা রফিক, ক্যালগেরি, আলবার্টা, কানাডা
প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ১৪ নভেম্বের ২০২০/এমএম





