শাহানা চৌধুরী :: ঢাকা শহরের প্রত্যেক এলাকায় আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে অনেক দোকানপাট। এগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে উঠেছে ভাসমান ফেরিওয়ালার সংখ্যা।
আগের দিনে মাথায় বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে এরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াত। কিন্তু ইদানীং দেখা যাচ্ছে- যেখানে একটু জায়গা পাচ্ছে, সেখানেই সারিবেঁধে তারা বসে পড়ছে। অনেকেই আবার ফুটপাতের ওপর বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসছে। ফলে ব্যস্ততম ঢাকা শহরে কর্মময় পাঁচদিন বিভিন্ন রাস্তায় চলাচলের সময় পথচারীরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
একমাত্র ভিআইপি রোড ছাড়া অলিগলিসহ প্রায় সব রাস্তা বর্তমানে একই চেহারা ধারণ করেছে। হকারদের দৌরাত্ম্যে যানবাহন-পথচারীরা রাস্তায় চলতে হিমশিম খায়।
বেশি বিপাকে পড়েন বাচ্চা নিয়ে বিদ্যালয়ে যারা আসা-যাওয়া করেন। অনেক সময় মুমূর্ষু রোগী নিয়ে বিপাকে পড়েন মানুষ। ঢাকা শহরে প্রত্যেক এলাকায় কিছু না কিছু হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং বিভিন্ন বিদ্যাপীঠ অবস্থিত। তাছাড়া বিভিন্ন মার্কেট তো আছেই।
সাধারণত আমরা ভেবে থাকি- গরিব মানুষগুলো কিছু করে বেঁচেবর্তে থাকুক। হাজার অসুবিধা সত্ত্বেও মনে করি, থাকুক! কিছু না করতে পারলে ওরা চলবে কীভাবে!
তাছাড়া অনেক সময় হয়তো প্রয়োজনীয় জিনিসটা ওদের কাছ থেকেই কেনা যায়। তাই কেউ তেমন উচ্চবাচ্য করে না। রাস্তার পাশে ফুটপাত ঘেঁষে কেউ পিঠা বা অন্য কিছু নিয়ে বসে পড়ল। ফুটপাত দিয়ে হাঁটার সময় বিপাকে পড়তে হয় এ কারণে যে, ফুটপাতের চারপাশে লোকজন দাঁড়িয়ে পিঠা খায়।
পিঠা যে বানাচ্ছে, তার খেয়াল নেই- পাশ দিয়ে গাড়ি যাচ্ছে; অসাবধানতাবশত গাড়ির কোনো ক্ষতি হতে পারে। এমনও দেখা গেছে, আনাড়ি চালকের ধাক্কা লেগে পিঠার গাড়ি উল্টে গরম পানিতে অন্য একজনের শরীর পুড়ে গেছে। বেচারা পিঠাওয়ালি তখন তাকে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়েছে পুলিশি হাঙ্গামার ভয়ে।
মাঝে মাঝে পুলিশ হানা দিয়ে সবাইকে উচ্ছেদ করে। দু’দিন পর আবার সেই একই অবস্থা। শুনতে পাই, এলাকার কিছু চাঁদাবাজ এদের থেকে নিয়মিত চাঁদা নিচ্ছে।
তখন মনে হয়, চাঁদাবাজ পুষতে দিনের পর দিন এলাকাবাসী কেন এ অসুবিধা ভোগ করবে? কর্তৃপক্ষ যদি এদের নির্দিষ্ট এলাকা ঠিক করে দেয় বা ছুটির দিনে নির্দিষ্ট কোনো স্থানে কোথাও বসার অনুমতি দেয়; তবে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/২ মে ২০১৯/ইএন